You are currently viewing কাপড়ের ব্যবসায় কেনো ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন?

কাপড়ের ব্যবসায় কেনো ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন?

‘ব্যবসা করে খুব সহজে ধনী হওয়া যায়’ এই কথাটি সেই পুরোনোকাল থেকেই আমাদের কাছে বেশ পরিচিতি। পাশাপাশি অনেকেই এটিকে ধনী হওয়ার সৎ এবং সঠিক উপায় বলে মনে করেন। তবে এক্ষেত্রে কোন ব্যবসা করে সবচাইতে সহজে ধনী হওয়া যায় এর উত্তর নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। যদিও এক্ষেত্রে আমরা কাপড়ের ব্যবসাকে গুরুত্ব দিতে পারি। এই ডিজিটাল যুগকে কাজে লাগিয়ে যদি কেউ কাপড়ের ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হতে চায়, তবে আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি সে সঠিক পথেই হাঁটছে। কেননা ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতন মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ডিজিটাল সুবিধা ভোগ করে সময়কে ছোট করে নিয়ে আসা মানুষের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। এই অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার সবচেয়ে বড় একটি মাধ্যম হলো ই-কমার্স ওয়েবসাইট। আজকে আমরা জানবো কাপড়ের ব্যবসায় সফল হতে হলে একটি ওয়েবসাইট কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। 

কাপড়ের ব্যবসায় কেনো ই-কমার্স ওয়েবসাইট

প্রথমেই আমাদের জানতে হবে অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে। এক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কয়েকটি দিক বিবেচনা করতে হবে। চলুন, সেকথা মাথায় রেখে একটি চেকলিস্টে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। 

  • সবসময় কাপড়ের মান যেনো ভালো থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 
  • মার্কেট অনুযায়ী সঠিক এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ দাম নির্ধারণ করতে হবে। এতে করে আপনার পণ্য সকল পেশার মানুষ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। পাশাপাশি দূর হবে অনলাইনে পণ্যের দাম বেশি মনে করার মতো ভুল মন-মানসিকতা। 
  • প্রতিযোগী ব্যবসায়ীর সাথে কিছুটা মিল রেখে দাম নির্ধারণ করার চেষ্টা করতে হবে। 
  • সঠিক সময়ে দ্রুত ডেলিভারি দিতে পারে এমন একটি কুরিয়ার নির্বাচন করতে হবে। 
  • সবসময় ক্রেতাসাধারণের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। তাদের যেকোনো সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। হতে পারে সেটি পণ্য সম্পর্কিত কিংবা পণ্য ডেলিভারি সম্পর্কিত। 

অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা হোক কিংবা অন্য যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে এসব পয়েন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা এসব মাথায় রেখে কাজে নামবে তাদের সফলতা ঠেকানোর সাধ্যি কারোরই নেই। পাশাপাশি সবসময় সৎ থাকার চেষ্টা করতে হবে। দ্রুত না হোক পার্মানেন্ট সফলতা লাভের ক্ষেত্রে এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। 

কাপড়ের বিজনেস ওয়েবসাইটের নাম কেমন হওয়া উচিত?

ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট ডোমেইন নেইম এবং ব্যবসায়ীক ওয়েবসাইট ডোমেইন নেইমের মাঝে অনেক তফাৎ। মনে রাখবেন একটি বিজনেস ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেইম ঠিক করা আর সন্তানের জন্য নাম ঠিক করা..দু’টোই প্রায় সমান গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং ব্যাপারটিকে একেবারেই ফেলে দেওয়া যাবে না। 

আপনার ব্যবসায়িক ভাবভঙ্গি ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করবে আপনার সেই নির্বাচিত ডোমেইন নেইমটি। মূলত এর ইউআরএল শুরু হয় www. দিয়ে। যা সার্চ ইঞ্জিন ক্রলারের প্রথম এবং প্রিয় খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে পরবর্তী শব্দটিই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আপনাকে যে যে ব্যাপারগুলি মাথায় রাখতে হবে সেগুলি হলোঃ-

ভিন্নতাঃ

নিজেকে সবসময় আলাদা করে তুলতে হবে। অনেক লম্বা কিংবা বড় ডোমেইন নেইম নির্বাচন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোটি কোটি ওয়েবসাইটের ভিড়ে যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে হারাতে না চান তবে আপনাকে আলাদা হতে হবে। এক্ষেত্রে ছোট ছোট ডোমেইন নেইম খুবই কার্যকর। পাশাপাশি ক্রেতাসাধারণের মস্তিষ্কেও তা অনেকসময় ধরে স্থায়ী হবে৷ যার ফলে পরবর্তীতে তারা খুব সহজেই আপনাকে খুঁজে নিবে৷ 

.com ডোমেইন নির্বাচনে আগ্রহী হোনঃ

বর্তমানে .com ডোমেইন হলো রাজকীয় ডোমেইন। অডিয়েন্সের কাছে এটিই সবচেয়ে প্রিয় ডোমেইন বলে থাকেন অনেকেই। সুতরাং যদি সুযোগ হয় চেষ্টা করবেন ডোমেইন হিসেবে .com ডোমেইনকে প্রাধান্য দিতে। 

ফিঙ্গার ফ্রেন্ডলি রাখুনঃ

এর মানে হলো ডোমেইন নেইমকে সবসময় এমনভাবে নির্বাচন করুন যাতে এটি দেখতে আরাম লাগে এবং টাইপ করতেও সুবিধা হয়। সহজ কথায় ছোট এবং সাবলীল ডোমেইন নেইমকে সাইটের জন্য নির্বাচন করার চেষ্টা করুন। 

ক্যারেক্টার ফ্রি রাখুনঃ

ডোমেইন নেইমে অযথা বিরামচিহ্ন ব্যবহার করবেন না৷ অনেকেই জনপ্রিয় ডোমেইন নেইম ব্যবহার করে তাতে বিভিন্ন বিরামচিহ্ন লাগিয়ে ইউনিক করার চেষ্টা করেন। যার পরবর্তীতে আপনার ওয়েবসাইটের প্রানঘাতীর একমাত্র কারণ হিসেবে বিবেচিত হবে। 

ডোমেইন নেইমে মনোযোগ দিলেই শুধু হবে না৷ এটি ওয়েবসাইট সাজানোর প্রথম শর্ত। বাড়তি শর্তগুলিতেও সমানভাবে মনোযোগী হতে হবে। এসম্পর্কে আপনার সাইটের ওয়েবসাইট রিলেটেড আর্টিকেগুলি চেক করতে পারেন।

কাপড়ের ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট কেমন হওয়া উচিত? 

অফলাইনে একটি নতুন ব্যবসা দাঁড় করাতে যেমন শ্রম লাগে অনলাইনের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমন সময় দিতে হয়। চলুন, এবার জেনে নিই অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার ‘ই-কমার্স ওয়েবসাইট’ কেমন হওয়া উচিত সে-সম্পর্কে। 

  • প্রথমেই কিছু অর্থ ইনভেস্ট করার চেষ্টা করুন। কেননা ভালোকিছু পেতে হলে অবশ্যই কিছু অর্থ ইনভেস্ট করতেই হয়। ধরে নিন এটি ফরজ কাজ। 
  • সাইট বানানোর আগে পরিকল্পনা করুন। প্রতিযোগী ব্যবসায়ীর সাইটগুলি রিসার্চ করুন। দেখুন কি কি পরিবর্তন করলে কিংবা যোগ করলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। 
  • ভালোমানের ওয়েব হোষ্টিং সার্ভিস গ্রহণ করুন। রিভিউ দেখে তারপর সার্ভিস কেনার চিন্তা করুন।
  • ভালোভাবে ওয়েব ডিজাইন করুন। যাতে তা ইউজার ফ্রেন্ডলি হয়।
  • সাইট স্পিড যাতে বাড়তি থাকে সেদিকটা মাথায় রাখুন।
  • অডিয়েন্সের কাজে লাগে এমন কন্টেন্ট পাবলিশ করুন। হতে পারে বিভিন্ন কাপড় কিংবা ফ্যাশন রিলেটেড কন্টেন্ট। 
  • ভালোভাবে এসইও করার চেষ্টা করুন। 
  • আপনার কাজ এবং কোন কোন ধরণের কাপড় আপনার কালেকশনে আছে, অফিস থাকলে সরাসরি অফিসের ঠিকানাসহ গুরুত্বপূর্ণ সকল তথ্য যুক্ত করুন। 
  • পেমেন্ট সিস্টেমটা অডিয়েন্সের চোখে পড়ে এমন কোথাও সেট করুন। 
  • পণ্যের সঠিক এবং স্পষ্ট ছবিসহ পণ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যুক্ত করুন।
  • সঠিক উপায়ে মেন্যু সেটআপ করুন।

রেডি ই-কমার্স

কাপড়ের ব্যবসায় কেনো ই-কমার্স ওয়েবসাইট প্রয়োজন? 

অনেকেরই ইচ্ছা থাকে অফলাইনে সরাসরি দোকান কিংবা স্টোর হাউজ তৈরি করে কাপড়ের ব্যবসা করবে। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত তা আর করা হয়ে উঠে না। অতিরিক্ত বাজেট এবং জায়গা সংকুলান সম্পর্কিত জটিলতা মাথায় জেঁকে বসে। এক্ষেত্রে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট হতে পারে পারফেক্ট সমাধান। 

আজকাল আমরা কমবেশি সকলেই গুগলের উপর নির্ভরশীল। কোনো সমস্যা সমাধানে কিংবা কোনো পণ্য কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করলেই সবার আগে গুগলের কথা মাথায় আসে। যদিও আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেও পণ্য পছন্দ করার পর্বটি সারি। কিংবা অনেকসময় কেনা-বেচা করারও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। তবে যারা স্ট্যান্ডারড লেভেলের ক্রেতা তারা কখনোই পণ্য কিনতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে না। তাদের কাছে স্মার্ট মাধ্যম হলো এই ওয়েবসাইট। 

শুধুমাত্র কাপড়ই কেনো, বিভিন্ন পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বস্ত মনে করে অডিয়েন্স। একটি মানসম্মত ই-কমার্স ওয়েবসাইট তাদের পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহী করে তোলার কাজে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। পাশাপাশি বর্তমানে বড় বড় সব মার্কেটই এখন সরাসরি অনলাইনেই হাজির। পণ্যের সমাহার সাজিয়ে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমদিকে অবস্থান করে তারা আয় করছে কোটি কোটি অর্থ। প্রতিযোগিতা বেড়েছে বলেই এর চাহিদা বেড়েছে। 

বর্তমানে অনলাইন দুনিয়াতে প্রথাগত ব্যবসার পাশাপাশি নতুন মাধ্যম হিসেবে অনলাইন বিজনেস এর ধারা শুরু হয়েছে। যা ই-কমার্স বিজনেস নামে অধিক পরিচিত। এর যাত্রা এবং বিকাশ বহু আগে থেকে শুরু হলেও করোনা মহামারির সময়ে ই-কমার্স বিজনেস সর্বোচ্চ আকারে বিকাশ লাভ করেছে। পাশাপাশি রয়েছে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সহজলভ্যতার ব্যাপারটিও। সবমিলিয়ে কাপড়ের ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে দৃশ্যমান৷ সুতরাং তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই৷ 

শেষ কথাঃ

একথা ঠিক যে কাপড়ের ব্যবসায় সফল হতে হলে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে একথাও ঠিক যে, যেনোতেনো সাইট তৈরি করে সফল হবার কথা চিন্তা করাটা নেহায়েতই বোকামি। শুরুটা যদি বোকামি দিয়েই হয় পরবর্তীতে সেল না হওয়া কিংবা উপযুক্ত প্রচারণা না হওয়াতেও ভেঙে পড়বে অনেকেই। যা অপ্রত্যাশিত। এক্ষেত্রে আমরা পাশে আছি। যেকোনো ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরিতে আমরা দিচ্ছি মানসম্মত সার্ভিসের শতভাগ নিশ্চয়তা। সার্ভিস নিতে চাইলে আজই যোগাযোগ করুন। 

 

Facebook Comment