You are currently viewing ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে? ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম?

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে? ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম?

ওয়েবসাইট তৈরি – অনলাইন এবং অফলাইন এই দুটি শব্দের সাথেই আমরা বেশ পরিচিত। তবে বর্তমানে অনলাইন শব্দটির সাথে আমরা সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং দৈনিন্দন কথা বার্তায় এই শব্দটি উল্লেখ করে থাকি। অনলাইনে উপস্থিতির সহজ এবং বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম হলো ওয়েবসাইট। একমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই পৃথিবীর যে কোন কোনায় কি ঘটছে তা জানতে পারি। ওয়েবসাইট কত গুলো ওয়েব পেজ বা পৃষ্টার সমন্বয়ে গঠিত যেখানে ইনফোরমেশন থাকে। ওয়েবসাইট তৈরি করার পূর্বে প্ল্যান করতে হয়। তবে তার আগে জানার জানতে হবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এবং ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তা কি? কেন দরকার। 

ওয়েবসাইট কি

ওয়েবসাইট শব্দটির সাথে আমরা সকলেই কম বেশি পরিচিত। তবে শুরুতেই আমাদের জানতে হবে ওয়েবসাইট কি? বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে আপনার যে কোন ইনফরমেশন তুলে ধরার একমাত্র মাধ্যমকেই ওয়েবসাইট বলা যায় । এটা কে আপনি আপনার অনলাইন প্রোপার্টি অর্থাৎ সম্পদ  বলতে পারেন। 

বর্তমানে  বিভিন্ন ব্যক্তি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা বিভিন্ন সার্ভিস কম্পানি গুলো এই ওয়েবসাইট এর মধ্যমে তাদের বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে জমা করে। যেন একজন ইউজার খুব সহজেই তাদের বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে।

 

ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স 

ওয়েবসাইট তৈরি করা কেন দরকার আপনার বিজনেসের জন্য?

আপনার বিজনেস বড় করার জন্য এবং নিজকে অনলাইনে তুলে ধরার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করা দরকার। বর্তমান সময়ে আপনার বিজনেসের যদি কোন ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে তার বৈধতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারে। বাংলাদেশে এমন ট্রেণ্ড তেমন না থাকলে নতুন জেনারেশন এবং বর্তমানে সবকিছু ডিজিটাল হওয়াই ওয়েবসাইটের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোন ওয়েবসাইট কাস্টমারের মনে আপনার বিজনেসের ফার্স্ট ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করে যা মানুষের মনে আস্থা আনে। একই সাথে আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সার্ভিস সমূহ সুন্দর ভাবে কাস্টমারের নিকট তুলে ধরে।

ওয়েবসাইট তৈরি করার ধাপ – ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয়?ওয়েবসাইট তৈরি - ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম

এত কিছুর পূর্বে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজে বুঝতে হবে এবং পরিকল্পনা করতে হবে আপনি ওয়েবসাইট কেন নিবেন? নিলেও কেমন ডিজাইন হবে, দেখতে কেমন হবে। আপনি ওয়েবসাইটের কোথায় কি দেখাতে চান তা নিয়ে আপনার সম্পূর্ন ধারনা থাকতে হবে। তাহলে আপনি আপনার মনের মত ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন । আপনি যদি এই বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে পারেন এবং নিজের বিজনেস প্ল্যান স্টেপ বাই স্টেপ তৈরি করতে পারেন তাহলে ওয়েবসাইট যেমন সুন্দর হবে তেমনিভাবে আপনার আডিয়েন্সও বেশি পছন্দ করবে। যে কোন সুন্দর এবং রিসপোনসিভ ফার্স্ট ওয়েবসাইট আপনার বিজনেসের গতি অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে একই সাথে আপনার কাস্টমারও আপনার নিকট থেকে দ্রুত সার্ভিস পাবে। কম সময়ে হাতের কাছে যে কোন পন্য বা সার্ভিস পেতে কে না চায়!

 

 

ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম  – ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে

ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম নিজের ওয়েবসাইটের বা বিজনেসের জন্য ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে। আপনি কেমন ওয়েবসাইট বানাতে চান তার সম্পূর্ন পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যেমন ইচ্ছা থাকতে হবে তেমনি সুন্দর ওয়েবসাইট হাতে পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ খরচ করতে হবে।

ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের সাথে পরিচয় করে দিয়ে এসইও করার ব্যবস্থা করতে হবে। যদিও এসইও বিষয়টি ওয়েবসাইট তৈরির খরচের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয় না। কারন ওয়েবসাইট লাইভ হওয়ার পর লং টার্মে রেজাল্ট পাওয়ার জন্য এসইও দরকার। নিচে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে তা স্টেপ বাই স্টেপ তুলে ধরা হল।

কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়
 

ডোমেইন সিলেকশন

এরপর আপনাকে আপনার বিজনেসের জন্য নাম সিলেক্ট করতে হবে। যদি আপনার বিজনেস দীর্ঘ দিন ধরে অফলাইনে চললেও অনলাইনে নেই। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার বিজনেসের নামেই ডোমেইন কিনতে পারেন। তবে দেখতে হবে ডোমেইনটি অনলাইনে অ্যাভেইলএবল আছে কি না। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে ডোমেইন কি? সহজ কথায় ডোমেইন হল কোন কিছুর নাম। আপনার বিজনেসের নামই হল আপনার ডোমেইন নেম। যে নির্দিষ্ট নামে আপনার বিজনেসকে সহজেই চিনতে পারবে। 

হোস্টিং হোস্টিং

ডোমেইন ঠিক করার পর আপনাকে হোস্টিং কিনতে হবে। হোস্টিং বলতে একটি নির্দিষ্ট পরিমান স্পেসকে বুঝায় যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি অনলাইনে রাখবেন। সহজভাবে বুঝার জন্য আপনি আপনার মোবাইলে মেমোরি কার্ড থাকে। সেখানে আপনি আপনার পছন্দের গান ভিডিও ছবি ইত্যাদি রাখতে পারেন এবং সেখানে সংরক্ষিত থাকে। একই ভাবে ওয়েবসাইট যে জায়াগায় রাখা হয় সেটিকে হোস্টিং বলে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি ঐ জায়গা থেকে হোস্ট করা হয়। এটিই ওয়েব হোস্টিং। আপনার ওয়েবসাইটের ইনফোরমেশন হোস্টিং থাকে। ইউজারের সার্চ কুয়েরি অনুযায়ী সার্চ গুগল সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইটে যদি রিলেভেন্ট ইনফোরমেশন পায় তাহলে ইউজারের সামনে নিয়ে আসবে। মূলত এভাবেই যে কোন ইউজার ওয়েবসাইটে আসে এবং সার্ভিস কিনে থাকে। এই কারনে ওয়েবসাইট তৈরিতে হোস্টিং এত গুরুত্বপুর্ন। 

ওয়েবসাইট ডিজাইন লে আউট প্ল্যান

আপনি যদি আপনার বিজনেসের জন্য ডোমেইন হোস্টিং ঠিক করে থাকেন অথবা কিনবেন এমন মনস্থির করে থাকেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট কিংবা ডিজাইন কেমন নিতে চাইবেন তা ঠিক করতে হবে। কোন অপশন থাকবে কোনটি থাকবে না এবং ইউজারে জন্য আরও কত সহজ করা যায় পেমেন্ট মেথড কি রাখতে চান ইত্যাদি আপনাকে হাতে কলমে ঠিক প্ল্যান করতে হবে। কেননা বাজারে যেমন বিভিন্ন ক্যাটাগরির বিজনেস আছে তেমনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট রয়েছে। যাদের আউট লুক কিংবা লে আউট ভিন্ন ক্যাটাগরির সাথে মিলে না।

সহজ ভাবে বললে আপনার যদি হোটেল রেস্টুরেন্টের বিজনেস থাকে তাহলে আপনাকে ফার্নিচার কিংবা হার্ডওয়্যার স্টোরের লে আউট এর মত ওয়েবসাইট বানালে হবে না। এতে করে আপনার টার্গেটেড অডিয়েন্স বা কাস্টমার বিরক্ত হবে এবং সার্ভিস নিতে চাইবে না। কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট যদি রেস্টুরেন্ট ওয়েবসাইটের মতই হয়ে থাকে তাহলে যে কোন কাস্টমার আগ্রহের সাথে আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানার জন্য ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজ ঘুরে ঘুরে দেখবে। ওয়েব সাইট ডিজাইন এই কারনেই গুরুত্বপূর্ন। আর্থৎ সহজ কথায় আগে দর্শনদারী পরে গুন বিচারী। এমনই কিছু ওয়েবসাইট দেখতে ক্লিক করুন 

UI/UX ডিজাইইন UI/UX

UI হল User Interface।  অর্থাৎ আপনার কাষ্টমাররা/ব্যবহারকারী যে অংশটা দেখে (Visual Design)।  যার মাধ্যমে কাষ্টমার/ব্যবহারকারীদের কোন জিনিষের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হয় । অর্থাৎ সহজ ভাবে বলতে গেলে কোন ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের জন্য কোথায় কি কি থাকবে এবং  কোন অপশনের ধরন কেমন হবে ইত্যাদি ডিজাইন করা । 

অপর দিকে  UX হল User Experience । কারা আপনার প্রোডাক্ট এর টার্গেট কাষ্টমার, তারা কেন আপনার প্রোডাক্ট  কিনবে আর প্রোডাক্ট  কেনার পর সেই প্রোডাক্ট এর সাথে তাদের অভিজ্ঞতা কেমন – এসব বিষয় নিয়ে কাজ করাই হচ্ছে  UX ডিজাইন ।

একটি সুন্দর ও আকর্ষনীয় UI/UX তৈরি করা অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়, বিশেষ করে এটি ব্যবহারকারীদের সহজে বোধগম্য হওয়া জরুরী । এক জরিপে দেখা গিয়েছে কিছু ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করা হয়, শাওমি বা অ্যাপল মোবাইলে মধ্যে কোনটি আপনাদের বেশী পছন্দ , অধিকাংশের মতামত হল পছন্দের ক্ষেত্রে তারা শাওমি ফোনকেই বেশী পছন্দ করে। এর প্রধান কারন এটি অনেক বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলী।

 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

 

 

ডিজাইন অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরি

আপনার ওয়েবসাইটের লে আউট বা ডিজাইন কমপ্লিট। এখন আপনাকে ওয়েবসাইট কোডিং করে অথবা বিভিন্ন CMS প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ডেভলপ বা তৈরি করতে হবে । অর্থাৎ স্বপ্নকে বাস্তবে নিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি নিজে কোডিং করে অথবা CMS প্ল্যাটফর্ম ব্যাবহার করে কিভাবে ওয়েবসাইট বানাতে হয় তা শিখে নিজেই বানাতে পারেন। কিন্তু এই পদ্ধতি বেশ সময় সাপেক্ষ।

আরও সহজ পদ্ধতি হল আপনি কোন ওয়েব ডেভলপমেন্ট এজেন্সি বা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি থেকে আপনার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন। এসব এজেন্সি ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। তারা তাদের নিজস্ব ডেভলপার দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। আপনার চাহিদা অনুযায়ী ফাংশন এবং ফিচার নিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত খরচ পড়বে ইত্যাদি আপনি সরাসরি সশরীরে তাদের সাথে আলোচন করতে হবে। এর জন্য আপনাকে শুধুমাত্র তাদের সাথে যোগাযোগ করে মিটিং ফিক্স করতে হবে।

 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্লাগইন ইনস্টল করুন

প্লাগইন ইনস্টল

এসইও প্লাগিন- আপনি যখন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তখন আপনাকে অবশ্যই সেই ওয়েবসাইট এর ব্যাসিক কিছু এসইও করতে হবে। যদিও এস ই ও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তবে ওয়ার্ডপ্রেস এর ক্ষেত্রে এস ই ও করার জন্য ভালো ২ টি প্লাগিন রয়েছে । যেমনঃ Rank Math ও Yoast SEO। আপনি খুব সহজেই এই প্লাগিন দুটি ব্যবহার করতে পারেন।

 

সিকিউরিটি প্লাগিন- ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরী করা যেকোন ওয়েবসাইট হোক না কেন সকল ধরনের ওয়েবসাইটের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রতিটি ওয়েবসাইটের ওনাররা  জানে কিভাবে কত কষ্ট করে একটি  ওয়েবসাইট মেইটেইন করতে হয় আর সেই ওয়েবসাইট টি যদি অন্য কারো নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং সব কিছু মুছে ফেলে তখন কি হবে? 

এ কারনে সব সময় ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি নিশ্চিত করা উচিত। আর যদি আপনার ওয়েবসাইট টি যদি ই-কমার্স ওয়েবসাইট, তাহলে তো আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ এটি অন্য সব ওয়েবসাইত এর মতো না। এতে থাকে বিভিন্ন পন্য, ব্যবহারকারীদের  ইনফরমেশন, পেমেন্ট ডিটেইলস ইত্যাদি আর এই গুলো কোন অসাধু ব্যক্তির হাতে চলে যায় তাহলে ব্যবহারকারী এবং  আপনার প্রতিষ্ঠানের অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে।

 

রেডিমেড ওয়েবসাইট বা টেমপ্লেট

এভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতেও আপনাকে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। পরিস্থিতি যদি এমনও হয় আপনার কাছে যে কোন কারনে সময় নেই হাতে কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট লাগবেই সেক্ষেত্রে রেডিমেড ওয়েবসাইট কিনতে পারেন। বাজারে যেমন রেডিমেড জামা কাপড় কিংবা খাবার থাকে এবং জলদিই কেনা যায়; রেডিমেড ওয়েবসাইটও তেমনি ভাবে কেনা যায়। স্ট্যান্ডার্ড মানের রেডিমেড ওয়েবসাইট গুলো কাস্টম ভাবে তৈরি করা হয়। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ওয়েবসাইট গুলোর ভিন্নতা রয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড মানের রেডিমেড ওয়েবসাইট গুলোর কালেকশন দেখতে চান? রেডিমেড ওয়েবসাইটের সাথে কিছু ফ্রি ফিচার ও থাকছে। প্রোডাক্ট গুলো দেখলে এসম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

 

 

ওয়েবসাইট তৈরি করা শেষ

ওয়েবসাইট তৈরি করা শেষ এবং লাইভ করাও হল। Congratulations আপনার বিজনেসের একটি অনলাইন উপস্থিতি বা ওয়েবসাইট আছে। আপনি নিজেও নিজের এন্ড্রয়েড ফোন থেকে সার্চ করে নিজের ওয়েবসাইট দেখতে পারবেন। কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকেই যায়। আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলের সাথে পরিচয় করে দিয়েছেন তো ? গুগলের সাথে পরিচয় না করিয়ে থাকলে আপনার ওয়েবসাইট অন্যের কাছে যাবেনা এবং দেখতেও পারবে না। আসুন দেখে নেয়া যাক কি ভাবে গুগলের সাথে ওয়েবসাইট এর পরিচয় করিয়ে দিবেন!

 

ইকমার্স ওয়েবসাইট

 

ওয়েবসাইটকে গুগল এর সাথে পরিচয় করে দেওয়া

আপনি অফলাইনে ব্যবসা করলে যেমন আপনার কম্পিটিটর বা প্রতিদ্বন্দ্বী আছে তেমনি অনলাইনেও আপনার বিজনেসের কম্পিটিটর আছে। আপনি আমি যে কোন কিছু সার্চ দিলে ১ম, ২য় এবং ৩য় অবস্থানে যেসব রেজাল্ট আসে সেগুলোই ভিজিট করে থাকি। এখন আপনার ওয়েবসাইটকেও সে অবস্থানে নিয়ে আসতে হবে; যেন আপনার সার্ভিস নিয়ে যে কেউ সার্চ দিলে আপনাকেই খুজে পায়। এই বিষয়টিকে অনলাইন ভিজিবিলিটি বলে। এই অনলাইন ভিজিবিলিটি যার যত বেশি তার ওয়েবসাইটে ত বেশি ভিজিটর বা ট্রাফিক ঢুকে এবং সার্ভিস সেল হওয়ার চান্স বেশি থাকে। এই অনলাইন ভিজিবিলিটি বাড়ানোর জন্যই এসইও করা দরকার হয়। এসইও আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলে র‍্যাংক করাতে মেজর ভুমিকা রাখে। আপনার ওয়েবসাইটের এসইও কোথা থেকে করবেন তা নিয়ে চিন্তিত?

 

১. সাইটম্যাপ সাবমিটসাইটম্যাপসাইটম্যাপ হল কোন একটি ওয়েবসাইট এর মানচিত্র। এটি search engine কে বলে দেয় আপনার ওয়েবসাইটটি কি বিষয়ের উপর তৈরি করা এবং এই আপনার ওয়েবসাইটের কোথায় কি কি আছে।

যেমন ধরুন- আপনাকে দেশের বাইরে ( আমেরিকা) যেতে হবে, এখন আপনার হাতে যদি আমেরিকার একটি ম্যাপ তলে দেয়া হয় তাহলে আপনি খুব সহজেই বুঝে যাবেন যে, কোথায় থেকে কি ভাবে এবং কোন পথে আপনার গন্তব্যে যেতে হবে। ঠিক এই রকম ভাবে সাইটম্যাপ ও সার্চ ইঞ্জিন কে বলে দেয় আপনার ওয়েবসাইটের কোথায় কি কি তথ্য দেয়া আছে। এই জন্যই প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই আপনাকে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট এর সাইটম্যাপ সাবিমিট করতে হবে।

 

২. অ্যানালাইটিকস সেটাপ-গুগল অ্যানালিটিক্স গুগল অ্যানালিটিক্স হ’ল এমন একটি ওয়েব অ্যানালিটিক্স পরিষেবা যা বর্তমানে ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক ট্র্যাক করে এবং একটি খসরা তৈরি করে। আপনার ওয়েবসাইটের ব্যবহারকারীদের আপনার ওয়েবসাইটের সাথে সম্পর্ক কেমন তাদের বয়স,কোন লিঙ্গের,তাদের লোকেশন ইত্যাদি গুগল অ্যানালিটিক্স এর মাধ্যমে জানা যায়। আর তাই আপনাকে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট এর সাথে গুগল অ্যানালিটিক্স সংযোগ করতে হবে যাতে করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ আসা সকল ব্যবহারকারীর তথ্য যেনে ,সে অনুসারে পদক্ষেপ নিতে পারেন।

 

৩. গুগল মাই বিজনেস –গুগল মাই বিজনেস GOOGLE MY BUSINESS (GMB) আপনার অনেকেই হয়তো এটার নাম শুনে থাকবেন। এটি গুগলের এমন একটি সার্ভিস যা গুগলের মাধ্যমে আপনার বিজনেস বা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন পরিচিতি নিশ্চিত করে। এর মাধ্যমে আপনার বিজনেস/ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  গুগল সার্চ রেজাল্ট পেজ এবং গুগল ম্যাপে সহজে খুঁজে পেতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে কোন খরচ ছাড়াই আপনার প্রতিষ্ঠানকে বা ব্যবসাকে পরিচালনা করার সুযোগ দিয়ে থাকে। অপর দিকে গুগুল মাই বিজনেস লোকাল এস ই ও এর একটি অংশ। GOOGLE MY BUSINESS পেজ তৈরি করে এবং ভেরিফাইয়ের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে গুগুলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সময়ের সাথে সাথে গুগলের প্রথম পেইজে আসতে সাহায্য করে। তাতে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বৃদ্ধি পাবে এবং সেল জেনারেট বৃদ্ধি পাবে। তাই গুগুল মাই বিজনেস হচ্ছে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি  অন্যতম মাধ্যম। যার মাধ্যমে বিনা খরচে আপনি আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

 

শেষকথা

এতক্ষনে আপনি এই বিষয় ভালভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে । আবহওয়া খারাপ হলে আপনার বিজনেস সেদিন ধীরগতির হয় এবং কাস্টমার কম থাকে। কেননা মানুষ বাড়ীর বাহিরে কম বের হয়। কিন্তু আপনার বিজনেসের যদি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে কাস্টমার ঘরে বসেই ফোন থেকে আপনার সার্ভিস সম্পর্কে জানতে পারছে এবং কিনতে পারছে। অর্থাৎ, ব্যাবসা থেমে থাকছে না। আবহওয়ার উন্নতি হলে কাস্টমারের নিকট পন্য পৌছানো যেতে পারে অতি অল্প সময়েই। এতে করে আপনার এবং কাস্টমারের উভয়ের সময় যেমন বেঁচে গেল তেমনি ভাবে দুই জনই খুশি। কেউ সার্ভিস দিয়ে; কেউ সার্ভিস নিয়ে।

ওয়েবসাইট তৈরি সংক্রান্ত সাম্প্রতিক সার্চ টার্মসঃ

মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ওয়েবসাইট তৈরি করেছে কোন প্রতিষ্ঠান, কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ, বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি, প্রথম ওয়েবসাইট তৈরি হয় কত সালে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ওয়েবসাইট তৈরি করেছে কোন প্রতিষ্ঠান, নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি করুন, ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়, প্রথম ওয়েবসাইট তৈরি হয় কবে, ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ওয়েবসাইট তৈরি করেছে কোন প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট তৈরির ধাপ কয়টি, ওয়েবসাইট তৈরি করার ধাপ

কিভাবে নিজের নামে ওয়েবসাইট তৈরি করবো, কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়, ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করুন এবং অর্থ উপার্জন, ওয়েবসাইট তৈরির পদ্ধতি, কি ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করব, ওয়েবসাইট তৈরির প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট তৈরির ধাপসমূহ, কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করব, ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই, ওয়েবসাইট তৈরি করুন, ওয়েবসাইট তৈরির নিয়ম, ওয়েবসাইট তৈরি করার সময় বিবেচ্য বিষয় কোনটি, ফ্রীতে নিজের একটা ওয়েবসাইট তৈরি, নতুন ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি, একটি ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরির ধাপ, ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করুন, ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে খরচ, ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে নিউজ ওয়েবসাইট তৈরি,

Facebook Comment