You are currently viewing আপনার ব্যবসার মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়াতেই কেন করবেন?

আপনার ব্যবসার মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়াতেই কেন করবেন?

আপনার ব্যবসার মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়া তেই কেন করবেন? আপনি কি জানেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি? আমরা যে ব্যবসায় করি না কেন, সেটা কোথায় করি? যেখানে কাস্টমার থাকবে সেখানেই। ফাঁকা মাঠে গিয়ে তো করি না। ঠিক এই কারনেই আপনার ব্যবসার মার্কেটিং করবেন সোশ্যাল মিডিয়াতেই। কারন এখানে মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনার ব্যাবসার সফলতা আসার সম্ভাভনা অনেক বেশি থাকে। 

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ

সোশ্যাল মাধ্যমে এখন মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখন মানুষ ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ হাতে নেওয়ার আগে মোবাইল হাতে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া চেক করে। শুধু ঘুম থেকে উঠেই নয়, ঘুমানোর আগেও চেক করেই ঘুমায়। আর অন্যান্য ফ্রী সময়ের তো হিসাব নাই। তাহলে যেখানে সব সময় কাস্টমারের আনাগোনা সেখানে মার্কেটিং করবেন না তো কি মাঠে গিয়ে করবেন? এখন সব কিছুই সোশ্যাল সাইট নির্ভর। কোন কিছু কেনার আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সাজেশন নিয়ে তারপর খোজে অনলাইনে কার রিভিউ বেশি, সেখান থেকেই তার প্রয়োজনীয় জিনিষ কেনে। আবার অন্যকেও সাজেস্ট করে। এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই আপনার ব্যবসার প্রচার-প্রসার করতে পারবেন। ৫ মিনিট সময় ব্যয় করে সম্পূর্ন পোস্ট পড়ুন, বৃথা যাবে না।

তবে যদি আপনি আপনার ব্যবসাকে একটি ব্র্যান্ড হিসাবে গড়ে তুলতে চান তাহলে, শুধুমাত্র সোশ্যাল সাইটে সীমাবদ্ধ না থেকে ব্যবসার জন্য একটি ই-কমার্স বিজনেস ওয়েবসাইট তৈরিও একান্ত জরুরী। আপনার ফেসবুক পেজ বিজনেসকে কেন ইভ্যালি, দারাজের মত ই-কর্মাসে রূপ দিবেন? তা জানতে পড়ুন।

মার্কেটিং

পরিচিতি লাভ করাঃ

আপনি যে ব্যবসা করেন সেটা যদি কেউ না জানে তাহলে আপনার প্রোডাক্ট কিনবে কিভাবে? সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি এটা খুব সহজেই করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব এ ক্ষেত্রে অনেক বেশী।  এর প্রথম ধাপে থাকবে আপনার ফ্রেন্ডলিস্ট। আপনার পেজে ইনভাইট করে তাদের জানিয়ে দিন আপনি কি নিয়ে ব্যবসা করছেন, যখন তাদের সেই প্রোডাক্ট এর দরকার পড়বে, কেনার জন্য অবশ্যই আপনাকেই নক দিবে। তাকে যদি ভাল সার্ভিস দিতে পারেন তাহলে সে অবশ্যই তার ফ্রেন্ডদের সাজেস্ট করবে। এভাবেই আপনার প্রথম ধাপের কাস্টমার পাবেন। এর পর আসে পেজ বুস্ট। এখন আপনার পরিচিত না এমন মানুষদের কাছে পৌছানোর পালা। এর জন্য পেজ বুস্ট করতে হবে। তবে এখানে অনেকেই আটকে যান পেমেন্ট করতে গিয়ে। অনেকেই আছে যাদের কোন ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড নাই। আবার সেই কাজের জন্য আলাদা ভাবে সময় দিতে পারেন না, বা অভিজ্ঞ না হওয়ার জন্য বুস্ট কাজে আসে না। তার জন্য কোন সার্ভিস প্রোভাইডার এর হেল্প নিতে পারেন। আমাদের আছে ফেসবুক বুস্ট এক্সপার্ট যার মাধ্যমে আপনার মার্কেটিং ব্যবসা এর জন্য ফেসবুক বুস্ট করে নিয়ে আপনার ব্যাবসার বিস্তার ঘটাতে পারেন। তাই আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

যোগাযোগ বৃদ্ধিঃ

যে কোন ব্যবসার সব থেকে গুরুত্বপূর্ন জিনিস হচ্ছে কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ। এই যোগাযোগ এর দুরত্ব যত কম হবে কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক করা তত বেশি সহজ হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য এই দূরত্ব এখন শূন্য। যে কোন সময় যে কোন জায়গা থেকে কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই। 

অফার লঞ্চ করাঃ

ব্যবসার পরিচিতি বাড়ানোর নিঞ্জা টেকনিক হচ্ছে অফার দেওয়া। এটা যে শুধু আপনার রেগুলার কাস্টমারকেই আকৃষ্ট করবে তা না, অন্যান্যদেরও আপনার প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী করবে। তাই মাঝে মাঝেই বিভিন্ন অফার দিয়ে সেটা সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং। ভাল কোন কিছু কেউ আমাদের শেয়ার করলে আমরা অনেক খুশি হই। আর সেটা যদি কোন প্রোডাক্টের অফার হয় তাহলে তো কথায় নেয়। সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রোডাক্ট অফার গুলো অনেক বেশি ভাইরাল হয়, যেটা আপনার প্রচার অনেক গুন বাড়িয়ে দিবে।

কম খরচঃ

প্রচলিত বিজ্ঞাপন যেমন টিভি এড, বিলবোর্ড, নিউজপেপার এগুলাতে এড দিয়ে মার্কেটিং করা অনেক ব্যয়বহুল। অন্য দিকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর খরচ প্রায় শূন্য। আপনি চাইলে ফ্রীতেই মার্কেটিং করে আপনার ব্যবসা প্রসার-প্রসার করতে পারবেন। ডিজিটাল যুগে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর, তাই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বেশি কার্যকরী।

কাঙ্খিত কাস্টমারঃ

নিশ্চয় আপনার প্রোডাক্টের নির্দিষ্ট কাস্টমার আছে। যেমনঃ কিছু প্রোডাক্ট আছে শুধু ছেলেদের দরকার, কিছু প্রোডাক্ট আছে মেয়েদের। আবার বয়স সীমারও একটা ব্যাপার আছে। এরকম ভাবে সঠিক কাস্টমার খুজে অফার বা মার্কেটিং করা খুবই দুঃসাধ্য কাজ। কিন্তু এটার উপরেই আপনার ব্যবসার সফলতা সম্পূর্ন নির্ভর। আপনার মেয়ে ক্যাটেগরির প্রোডাক্টের এড যদি ছেলে কাস্টমারের কাছে যায় বা অফার করা হয়, তাহলে আপনার মার্কেটিং সম্পূর্ন বৃথা। কিন্তু এই কাজটা খুব সহজেই করতে পারবেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে। যেমন ফেসবুকের কথায় বলা যাক। আপনার প্রোডাক্টের ক্যাটেগরি অনুযায়ী সেই বয়স, জেন্ডারের মানুষকেই আপনার প্রোডাক্ট শো করাবে। আর আপনি যদি একটু খরচ করে ফেসবুক পেজ বুস্ট করলে কি হয় তা জানার ট্রায় করেন তাহলে তাহলে জানতে পারবেন আপনার কাস্টমার গুলো কোন এলাকার, কোন বয়সের, কোন জেন্ডারের কাস্টমার খুজতেছেন সেটা বলে দিতে পারবেন। এগুলা প্রচলিত অফলাইন মার্কেটিং করে অসম্ভব।

কাস্টমার সেটিসফেকশনঃ

সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে এখন সবাই ভয়েস কলের থেকে মেসেজিং করতে বেশি পছন্দ করে। আপনার প্রোডাক্ট কিনতে এসে কাস্টমারের অনেক প্রশ্ন থাকতেই পারে, এর কারনে আপনার সাথে যোগাযোগটা অনেক সহজ এবং কম সময়ে হয়ে যায়, এবং সাথে সাথে প্রশ্নের উওর পেলে প্রোডাক্ট কিনতে আরো বেশি আগ্রহ থাকে। প্রোডাক্ট ডেলিভারি নিশ্চিত হওয়া  যায়  সহজেই এবং কাস্টমার ফিডব্যাক নেওয়া অনেক সহজ হয় যেটা অন্য কাস্টমারদের আগ্রহী করে।

এত এত কারন থাকার পরও যদি সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার না করেন, তাহলে আপনার ব্যবসাকে খুব একটা দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না এই ডিজিটালাইজেশন এর যুগে। সোশ্যাল মিডিয়ার সর্বোচ্চ ব্যবহার করুন আর ব্যবসাকে করুন ডিজিটাল, দ্রততম।

শেষ কথাঃ

উপরের লেখা থেকে এতক্ষনে হয়তো বুঝতে পেরেছেন বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া হলো একটি মানুষের নিত্যদিনের সাথী। দিনের বেশিরভাগ সময় মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটিয়ে থাকে। সেখানে হয়তো আপনার টার্গেট করা অডিয়েন্সও থাকতে পারে। যা কাজে লাগিয়ে নিজের অনলাইন বিজনেস খুব  সহজেই  বড় করাতে পারেন।

Facebook Comment