You are currently viewing ই-কমার্স বিজনেস করতে গেলে কেনো নিজেরও ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে 

ই-কমার্স বিজনেস করতে গেলে কেনো নিজেরও ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানতে হবে 

চাকরির বাজার প্রচন্ড রকমের প্রতিযোগিতাময় হওয়ায় ইয়াং জেনারেশন নিজেরাই ঝুঁকছে কিছু করার জন্য। আগের থেকে ইয়াং জেনারেশন এখন বেশি আত্মনির্ভরশীল। এর মূল কারণ হতে পারে প্রযুক্তির অগ্রগতি এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের পারদর্শীতা।বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা তেমনি এক মাধ্যম যার ফলে আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে হাজারো তরুণ তরুণী। ই-কমার্স বিজনেস এর প্রসারতার জন্য একটি ওয়েবসাইট খোলা যেমন আবশ্যক তেমনই এই ওয়েবসাইট সম্পর্কে কিছু বেসিক তথ্য জানাটা ও আবশ্যক। তার সাথে আপনার অবশ্যই ই-কমার্স বিজনেস প্ল্যান থাকা জরুরী। আপনার যদি নিজের ই-কমার্স ওয়েবসাইট টি সম্পর্কে বেসিক ধারণা না থাকে তাহলে ওয়েবসাইট টি কে পরিচালনা করতে অনেক ধরনের প্রব্লেম ফেস করতে হতে পারে৷ একজন ই-কমার্স বিজনেস ম্যান এর কেনো তার নিজের ই-কমার্স ওয়েবসাইট টি সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকা দরকার, না জানলে কি ধরনের প্রব্লেম ফেস করতে হতে পারে তা নিয়েই মুলত আজকের আর্টিকেল। আপনি নতুন উদ্দোক্তা হলেও আর্টিকেল টা পড়তে পারেন কারণ এখানে অনেক ইনফো তুলে ধরা হবে। নিচে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

ই-কমার্স বিজনেসঃ 

আপনি জানেন তো ই কমার্স ব্যবসা কি? সাধারণত ই-কমার্স সম্পর্কে আমাদের বেসিক ধারণা হলো ” ইন্টারনেট ব্যবহার করে ওয়েব সাইট এর মাধ্যমে যে বিজনেস করা হয় সেটাই ই-কমার্স বিজনেস “। কিন্তু এর যে কয়েকটি ধরন রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানি না। আমরা ই-কমার্স বিজনেস বলতে শুধু বিজনেস ট্যু কনজিউমার অর্থাৎ ব্যবসা থেকে ক্রেতার সরাসরি কেনাকাটা কেই বুঝি। কিন্তু ই-কমার্স বিজনেস কয়েক ধরনের হতে পারে। যেমনঃ

  • Business to consumer (B2C): 

এই পদ্ধতিতে একজন ক্রেতা তার প্রোডাক্ট টি সরাসরি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা উৎপাদনকারীর নিকট থেকে গ্রহণ করে।

  • Business to business (B2B): 

এখানে ব্যবসা সংঘটিত হয় এক বা একাধিক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এর সাথে। এখানে পাইকারি দরে বেচা কেনা হয় ২টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সাথে। 

  • Consumer to Business (C2B): 

এখানে ভোক্তা থেকে কোনো পণ্য কিনে ব্যবসা পরিচালনা করা হয়।

  • Consumer to consumer (C2C): 

এখানে ব্যবসা পরিচালনা করা হয় শুধু ভোক্তাদের মাধ্যমে। এখানে ভোক্তার ১টি পণ্য সরাসরি অন্য একটি ভোক্তা ক্রয় করে থাকে। bikroy.com এ এরকম ব্যবসা পরিচালনা হয়ে থাকে।

Website Maintenance

রেগুলার ওয়েবসাইট চেক-আপঃ 

একজন ই-কমার্স বিজনেস ম্যান যদি ওয়েবসাইট সম্পর্কে অজ্ঞ হয় তাহলে সে কখনোই ওয়েবসাইট ঠিক ঠাক মতো চেক করতে পারবে না। একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ধরনের পেইজ থাকে সেই পেইজ গুলো রেগুলার চেক করতে হয়। আবার ওয়েবসাইট এ একজন কাস্টমার যখন কিছু অর্ডার করে, তখন সেটি ও একজন বিজনেস ম্যান কেই হ্যান্ডেল করতে হয়। আবার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ধরনের অফার দেওয়া, নতুন প্রোডাক্ট এর আপডেট দেওয়া ইত্যাদি রেগুলার ওয়েবসাইট চেক-আপ এর কাজ একজন বিজনেস ম্যান কে করতে হয়। তাই ই-কমার্স বিজনেস করতে গেলে একজন বিজনেস ম্যানের ওয়েবসাইট সম্পর্কে বেসিক নলেজ থাকতে হবে। তা না হলে এই সমস্ত সিম্পল কাজের জন্য অন্য আরেক জন কে নিয়োগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে  আপনার সকল দুঃচিন্তার অবসান ঘটাতে পারে yappobd.com.

প্রোডাক্ট আপলোড করার সুবিধাঃ 

একজন বিজনেস ম্যান এর ওয়েবসাইট সম্পর্কে বেসিক ধারণা টা থাকলে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা হয়। যেমন, সে তার ওয়েবসাইট এ নতুন প্রোডাক্ট গুলো আপলোড দিতে পারে এবং প্রোডাক্টগুলোর ফিচারস সম্পর্কে ক্রেতাদের বিস্তারিত জানাতে পারে। এতে সে কোনো নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ করলে তার পুরাতন বা নতুন ক্রেতারা ওয়েবসাইট এ ভিজিট করলেই প্রোডাক্ট গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে। 

পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহারে সুবিধাঃ 

আমরা যারা অনলাইন এ কেনাকাটা করি তারা কম বেশি সবাই পেমেন্ট গেটওয়ে সিস্টেম এর সাথে পরিচিত। আপনি যদি ইয়াং জেনারেশন এর হয়ে থাকেন তাহলে রকমারি, দারাজ, ফুডপান্ডা থেকে নিশ্চয়ই কিছু অর্ডার করেছেন। বই কেনার নেশা নেই এমন কাওকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমার এক ফ্রেন্ড রকমারি থেকে একটি বই অর্ডার করে এবং তাকে প্রি-পেমেন্ট করতে হয়। সে ডেবিট কার্ড এর মাধ্যমে তার বিল পরিশোধ করে। আপনি চাইলে বাংলাদেশের যেকোনো বৈধ এ্যাকাউন্ট থেকেই আপনি বিল পরিশোধ করতে পারেন, হতে পারে সেটা ব্যাংক এ্যাকাউন্ট অথবা মোবাইল ব্যাংকিং।  এই প্রি-পেমেন্ট করার জন্য আমার ফ্রেন্ড কে যে সিকিউর ওয়েবপেইজ এ নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো সেটাই ইন্টারনেট পেমেন্ট গেটওয়ে। উদাহরণ এর মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন পেমেন্ট গেটওয়ে টা আসলে কি। আপনার ওয়েবসাইট এ যদি পেমেন্ট গেটওয়ে ওয়েবপেজ টি থেকে থাকে তাহলে কাস্টমাররা পেমেন্ট করে সুবিধা পাবে এবং আপনার ও এ বিষয়ে বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে। এখন প্রায় সকল ই-কমার্স ওয়েবসাইট এই পেমেন্ট গেটওয়ে মেথড চালু আছে। আর পেমেন্ট গেটওয়ে মেথড টি কাস্টমার এর তথ্য নিরাপদ রাখে। পেমেন্ট গেটওয়ে এর মাধ্যমে এক সাথে লক্ষ্য লক্ষ্য কাস্টমার তাদের পেমেন্ট পরিশোধ করতে পারে। এখানে পেমেন্ট পরিশোধ করতে কোনো ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয় না। এই সমস্ত নানা ধরনের সুবিধা থাকার জন্য পেমেন্ট গেটওয়ে মেথড টি এখন সব ই-কমার্স ওয়েবসাইট এই চালু আছে। 

ডিস্কাউন্ট অফার দেওয়াঃ 

আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট টি সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর ডিসকাউন্ট ওয়েবসাইট এ দিতে পারবেন। সাধারণত ডিস্কাউন্ট অফার দেওয়া হয় পুরাতন প্রোডাক্ট এর উপর। তাই আগে আপনি কোন প্রডাক্ট ওয়েবসাইট এ পাবলিশ করে থাকলে সেই প্রোডাক্টেরই ডিস্কাউন্ট অফার ওয়েবসাইট এ ইডিট করে দিলেন। এক্ষেত্রে আপনার এইটুকু বেসিক ধারণা থাকা টা আবশ্যক। 

পরিশেষেঃ

উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলোর মাধ্যমে ইতিমধ্যে আপনি অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন ই-কমার্স বিজনেস করতে গেলে কেনো নিজের ওয়েবসাইট সম্পর্কে কেন জানতে হবে। তবে আপনি চাইলে ওয়েব এক্সপার্ট হায়ার করতে পারেন যাতে করে আপনার ব্যবসায় কোন ধরনের সমস্য সৃষ্টি না হয়, এ ক্ষেত্রে আপনার সকল ধরনের সমস্যার সমাধান হতে পারে yappobd.comআপনার ব্যবসাকে দিবে এক নতুন রূপ, তৈরি করবে ডিজিটালভাবে গ্রাহকের হাতের মুঠোয় পৌছানোর সুযোগ।

Facebook Comment