সার্চ ইঞ্জিনে র্যায়িংক এর জন্য অনপেজ এসইও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে ব্যবসায় করুন না কেন তা সার্চ ইঞ্জিনের টপে আসার জন্য অনপেজ এসইও এর কোন বিকল্প নেই। এটা সার্চ ইঞ্জিন এবং কাস্টমার উভয়ের জন্য সুবিধাজনক। ফলে ভোক্তা সহজে তার পছন্দের পণ্য খুঁজে পায়।
অনপেজ এসইও ব্যতীত আপনি যদি কিওয়ার্ড রিসার্চ টেকনিক্যাল এসইও লিংক বিল্ডিং ইত্যাদি কাজে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সময় ব্যয় করেন তবে আপনার পরিশ্রম বৃথা যাবে। কেননা এক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিনের রোবট আপনার ওয়েব সাইটের পেজগুলো ক্রল করতে আসবে না। ফলে আপনার ওয়েব পেজের মূল বিষয়বস্তু সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারবে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা অনপেজ এসইও করে থাকি।
এখন আমরা অনপেজ এসইও পাঁচটি টেকনিক সম্পর্কে জানব। অনপেজ এসইও কিছু বেসিক ইনফরমেশন আপনাদের সাথে শেয়ার করা হবে।
অনপেজ এসইও কি?
কোন ওয়েবসাইটের পেজ কনটেন্ট এবং সম্পূর্ণ কাঠামো অপটিমাইজ করাই মূলত অনপেজ এসইও এর কাজ। এর মাধ্যমে ইউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন এর মধ্যে মেলবন্ধন ঘটে।অন্যান্য এসইও ব্যাংকিং সেক্টরের সাথে ফ্যাক্টর এর সাথে অনপেজ এসইও সাইটে অর্গানিক ট্রাফিক জেনারেট করতে সহায়তা করে। কিন্তু অনপেজ এসইও এবং on-site এসইওর এরমধ্যে সামান্য পার্থক্য রয়েছে।
অনপেজ এসইও বলতে আমরা কোন একটি ওয়েব পেজের কন্টাক্ট মেটাডাটা টাইটেল ট্যাগ ইত্যাদি সহ অন্যান্য কাজ করে অপটিমাইজেশন করে থাকি। অন্যদিকে on-site এসইও বলতে আমরা কোন ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ অপটিমাইজেশন করাকে বুঝি এর মধ্যে অবশ্যই এস এস এল ইনস্টল সহ সকল অনপেজ এসইও কাউন্ট করা হয়।
অনপেজ এসইও গুরুত্ব
সাধারণত মানুষ কোন কিছু জানার জন্য গুগল কিংবা বিং এর সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে থাকে। সার্চ ইঞ্জিন ও ইউজারের চাহিদামত রেজাল্ট দেওয়ার জন্য নিজেদের অ্যালগরিদম প্রায়ই আপডেট করছে।
ইউজারের সার্চের প্রবণতা উপর গুগোল কতগুলো বিষয়ের উপর এনালাইজ করে ইউজার এর সামনে রেজাল্ট প্রদর্শন করে। এক্ষেত্রে এই অনপেজ এসইও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
অনপেজ এসইও করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন ওই ওয়েবপেজ অথবা কনটেন্ট এর সম্পূর্ণ বিষয়বস্তু ভালোভাবে বুঝতে পারে।
সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার ক্রল করার মাধ্যমে ওয়েবপেজ গুলোকে ইন্ডেক্সিং করে থাকে। ইনডেক্সিং করার সময় ইউজারের সার্চে প্রবনতার ওপর ভিত্তি করে কিছু বিশেষ বিশেষ কিওয়ার্ড কে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এভাবে ইউজারের সামনে কাঙ্খিত রেজাল্ট প্রদর্শনের গুগোল সক্ষম হয়।
আপনি যদি অফ পেজ এসইও ব্যতীত এক বা একাধিক নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড কে ফোকাস করে আপনার ওয়েব পেজ অপটিমাইজ করতে চান তবে এ সম্পূর্ণ কন্ট্রোল আপনার হাতে রয়েছে। কি ওয়ার্ড যত বেশি অপটিমাইজ করতে পারেন সার্চ ইঞ্জিনের ভিসিবিলিটি তত বাড়বে।
অপটিমাইজেশন করা ওয়েবসাইট অফ পেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও সহযোগিতায় অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দারুন ভাবে কাজ করে। বিপরীতে অনপেজ এসইও কে গুরুত্ব না দিলে ঠিক তার উল্টো ঘটনা ঘটতে পারে।
নিঃসন্দে অনপেজ এসইও ব্যতীত সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট রেংকিং করা প্রায় অসম্ভব। আপনার ওয়েবসাইটের এসইও স্কোর বাড়াইতে এর চেয়ে সুবর্ণ সুযোগ আর কি হতে পারে ?
পাঁচটি এসইও টিপসঃ
কোন ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিংয়ের জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলোর অবলম্বন করে ওয়েবসাইটকে রেঙ্ক করানো যায়। তবে এর মধ্যে ওয়েবসাইট রেংকিং এর জন্য এমন কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে যা চাইলেও অস্বীকার করা যাবে না। নিচে তা দেওয়া হলঃ
কন্টেন্ট কোয়ালিটিঃ
ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ যাই হোক না কেন উচ্চ কোয়ালিটি সম্পূর্ন কন্টেন্ট হতে হবে। কন্টেণ্টটি অবশ্যই তথ্যবহুল ইউনিক এবং ইউজারের পড়ার জন্য আনন্দদায়ক হতে হবে। কোন ইউজার গুগোলে সার্চ করলে সাধারনত নিচের চার ক্যাটাগরির কন্টেন্ট খুঁজে থাকে।
- তথ্যসমৃদ্ধ ( যেমনঃ ব্লগ পোষ্ট কিংবা তথ্যবহুল কন্টেন্ট)
- ট্রানজেকশনাল ( প্রোডাক্ট পেজ )
- নেভিগেশনাল ( হোম পেজ , ল্যান্ডিং পেজ )
- কমার্শিয়াল ( রিভিউ, বায়িং গাইড)
লো কোয়ালিটি কন্টেন্ট এর চেয়ে ইউজার এবং সার্চ ইঞ্জিন হাই কোয়ালিটি কন্টেন্টকে প্রাধান্য দেয়। সার্চ ইঞ্জিন এর জন্য কিওয়ার্ড এর উপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। তবে মনে রাখতে হবে শুধুমাত্র কিওয়ার্ডের ওপর গুরুত্ব দিলেই হবে না; একই সাথে প্রাসঙ্গিক তথ্য প্রদান করতে হবে।
ইউজার এবং সার্চ ইঞ্জিনের কন্টাক্ট কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে নিচের উপায় গুলো ফলো করতে পারেনঃ
- সহজেই পড়ে বুঝা যায়।
- H1, H2, H3 এর মত কিছু ভিন্ন ট্যাগ ব্যবহার করা।
- কন্টেন্ট এর প্রথম ১০০ ওয়ার্ডের ভিতর কি ওয়ার্ডটি ব্যবহার করা।
- কি ওয়ার্ডের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা
- সবিস্তারে কন্টেন্ট এর বিষয়টি তুলে ধরা
পেজ টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন অপটিমাইজেশনঃ
গুগল এবং বিং সার্চ ইঞ্জিন এনালাইজ করার সময় কনটেন্টের পেজ টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন চেক করে। এজন্য অন্যান্য এসইও টেকনিক মধ্যে পেজ টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন অপটিমাইজ করা অনেক জরুরী। এতে করে সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবপেজ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা ক্লিয়ার ভাবে বুঝতে পারে। এজন্য আমরা এটাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
পেজ টাইটেল
- পেজ টাইটেল এর শুরুতে ফোকাস কিওয়ার্ড এমনভাবে ব্যবহার করবে যেন কনটেন্টকে ন্যাচারাল মনে হয়
- সংক্ষিপ্ত কিন্তু প্রাসঙ্গিক তথ্য বহুল হলে ভালো হয়
- কিছু টাইটেল মডিফায়ার ব্যবহার করা ভালো। যেমনঃ best, guide, review, fast, etc
- সংখ্যা ব্যবহার করলে ভালো হয়। যেমনঃ 5, 7, 10, or power words like Ultimate, amazing, etc.
মেটা ডেসক্রিপশন
- টার্গেট কি ওয়ার্ড যুক্ত করা
- ১৫০-১৬০ ওয়ার্ডের মধ্যে মেটা ডেস্ক্রিপশন লেখা
- কন্টেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অ্যাড করা।
ভিজুয়ালঃ
আগে দর্শনধারী পরে গুণ বিচারী। ইউজার সাধারণত ভিডিও ইমেজ ইনফোগ্রাফিক ইত্যাদি তথ্যচিত্র দেখতে বেশি পছন্দ করে। এজন্য কনটেন্ট এর ভিতরে এদের ব্যবহার অতি জরুরী।এছাড়াও গুগল ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক এসে থাকে।কিন্তু ভিজুয়াল কনটেন্টগুলো অপটিমাইজ না করলে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে না। ভিজুয়াল কনটেন্ট অপটিমাইজ করার জন্য নিচের উপায় গুলো ফলো করা যেতে পারে।
- ওয়েবসাইটে ইমেজ আপলোড করার পূর্বে অবশ্যই তার jpg ফরমেট হতে হবে এবং কম্প্রেস করার মাধ্যমে ইমেজ সাইজ কমাতে হবে। ইমেজ রিসাইজার টুলস এর মাধ্যমে ইমেজ গুলোকে নির্দিষ্ট অনুপাতে ছোট করে ওয়েবসাইটে আপলোড করা যাবে এতে করে ওয়েবসাইটের ইমেজগুলো লোডিংয়ে টাইম লাগবে।
- ইমেজের নিচে বর্ণনামূলক নাম দিতে হবে। যেন তা পড়ে ইউজার সহজেই বুঝতে পারে কনটেন্ট কোন বিষয়ের উপর লেখা
- অবশ্যই Alt tag ব্যবহার করতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন Alter tag এর মাধ্যমে ইমেজ কে চিনতে পারে। এক্ষেত্রে ইমেজ এর সাথে কিওয়ার্ড রিলেটেড হলে কিওয়ার্ড কেউ Alt tag হিসেবে ব্যবহার করা যায়
পেজ লোডিং স্পিডঃ
ইউজার এবং সার্চ ইঞ্জিনের জন্য এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি শুধুমাত্র এসইও এবং রাঙ্কিং ফ্যাক্টর এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং অর্গানিক ট্রাফিক কে কাস্টমারের রূপান্তর এর উপায় বলা চলে। এমনকি গুগল এটিকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকে এবং ওয়েবসাইট র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে এর জন্য বিশেষ নজর দিতে হয়। ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বেশি হলে ভিজিটর বিরক্ত হয় এবং অন্যত্র চলে যাওয়ায় পছন্দ করবে।
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড বাড়াবেন যেভাবে জানতে পড়ুনঃ
মোবাইল ফ্রেন্ডলিঃ
ওয়েবসাইটের অডিয়েন্স বাড়ানোর জন্য অবশ্যই তা মোবাইল ফ্রেন্ডলি হতে হবে। কেননা আজকাল সবাই মোবাইল ব্যবহার করে বেশি। প্রায় ৭০ % লোক স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট থেকে গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন সার্চ করে থাকে । এজন্য নিজের ওয়েবসাইট টি সকল ডিভাইসে ভালোভাবে ফাংশন করে তা নিশ্চিত করতে হবে।
পরিশেষেঃ
এ লেখাটি সম্পূর্ন পড়ে থাকলে উপায় গুলো আপনার নিজের ওয়েবসাইট এর উপর প্রয়োগ করুন। আমাদের চেষ্টা এটাই থাকে যে আমাদের কমপ্লিট গাইডলাইন এর মাধ্যমে যে কেউ উপকৃত হোক। আপনার এসইও নিয়ে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে তবে তা আমাদের নিকট হতে সমাধান করে নিতে পারেন। আমাদের আছে দক্ষ এস ই ও এক্সপার্ট যাদের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েব সাইট এর এস ই ও করে নিতে পারেন। আমাদের সার্ভিস নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন.