You are currently viewing ৮ টি উপায়ে কনটেন্ট অপটিমাইজেশন করা যায়

৮ টি উপায়ে কনটেন্ট অপটিমাইজেশন করা যায়

কনটেন্ট অপটিমাইজেশনঃ

এস.ই.ও এর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কনটেন্ট অপটিমাইজেশন। কনটেন্ট অপটিমাইজেশন হলো এক ধরনের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে  নিশ্চিত করা হয় কনটেন্টগুলো যেভাবে লেখা হয়েছে সেভাবে  সঠিক বিষয়ে  টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানোর যোগ্য হয়েছে  কি না। একটা কনটেন্ট কে অডিয়েন্স এর কাছে পারফেক্ট করে তুলতে সঠিকভাবে কনটেন্ট অপটিমাইজেশন করা দরকার। এখন আমরা জানব কি কি উপায়ে এটিকে অপটিমাইজেশন করা যায়।

টাইটেলঃ 

টাইটেল হচ্ছে একটি আর্টিকেল এর প্রাণ। আপনার আর্টিকেল টি অডিয়েন্স এর কাছে কেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করবে তা নির্ধারণ করে আপনার আর্টিকেল এর টাইটেল। একজন ভিজিটর যখন কোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তখন সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম ১০ টি রেজাল্টের ভেতর যেটার টাইটেল সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় সেটাতেই সে ক্লিক করে। তাই টাইটেলের দিকে নজর না দিলে আপনি হারাতে পারেন অনেক ভিজিটর। টাইটেল অপটিমাইজেশন করুন সুন্দর ও পারফেক্ট ভাবে। টাইটেল অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে আপনি নিচের টিপসগুলো অনুসরণ করতে পারেন। 

  • টাইটেল অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন সেটি যেনো লং টেইল টাইটেল হয়। আর্টিকেলে এমন ছোট  টাইটেল দিবেন না যাতে করে মুল বিষয়বস্তু বুঝতে অসুবিধা হয়। টাইটেল টি কে ভিজিটরের বোধগম্য করতে লং টেইল টাইটেল ব্যবহার করুন। তবে খেয়াল রাখবেন সেটা যেন ৫৫-৬০ ক্যারেক্টারের ভিতরেই থাকে। 
  • ফোকাস কিওয়ার্ড কে সব সময় টাইটেলের শুরুতে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। কারণ একজন ভিজিটর যখন কোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করবে তখন আপনার আর্টিকেল যদি গুগলের ফার্স্ট পেজে থাকে এবং ফোকাস কিওয়ার্ড টি শুরুতেই থাকে তাহলে সে নিশ্চয়ই আপনার আর্টিকেল এই ক্লিক করবে। 
  • টাইটেল কে আকর্ষণীয় করতে অবশ্যই টাইটেলের ভেতরে পাওয়ার ওয়ার্ড রাখুন। কেননা পাওয়ার ওয়ার্ড ব্যবহার এর ফলে ভিজিটর এর আগ্রহ বাড়ে আর্টিকেলের ভেতরে ঢুকতে। কিছু পাওয়ার ওয়ার্ড হলো new, most, exclusive,  wonderful, amazing ইত্যাদি। 
  • টাইটেল কে ইউজার ফ্রেন্ডলি করতে নাম্বার ব্যবহার করুন। যেমনঃ ৭ টি উপায়ে আপনার ত্বক কে করতে পারবেন আরও উজ্জ্বল। নাম্বার ব্যবহারের ফলে এটি একই সাথে ইউজার এবং গুগলের কাছেও অধিক প্রিয়। 
  • ভিজিটরের মনে যেন টাইটেল টি দেখলেই আপনার আর্টিকেল টি সম্পর্কে পজিটিভ চিন্তা আসে তাই টাইটেল টি কে আকর্ষণীয় এবং অর্থপূর্ণ ভাবে তৈরি করুন। 

এভাবে টাইটেল অপটিমাইজেশন করলে নিশ্চয়ই এটি গুগলে র‍্যাংক করবে।

মেটা ডেসক্রিপশনঃ 

মেটা ডেসক্রিপশন ইউনিক ভাবে অপটিমাইজড করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারন এটি সার্চ ইঞ্জিন কে এটা ধারণা দেয় যে আপনার আর্টিকেলটির ভেতরে কি আছে। অর্থাৎ সহজ কথায় মেটা ডেসক্রিপশন হলো একটি আর্টিকেল এর সারাংশ। এটি সাধারণত ২-৩ লাইনের ভেতর লিখতে হয়। মেটা ডেসক্রিপশন লেখার যদিও কোনো লিমিটেশন নেই তবুও এটি ১৫৫-১৬০ ক্যারেক্টার এর ভেতরে তথ্যবহুল করা উচিত। কারণ আপনি যেভাবেই মেটা ডেসক্রিপশন লিখুন না কেনো গুগল সব সময় ১৫৫-১৬০ ক্যারেক্টারই ভিজিটরের সামনে শো করবে। মেটা ডেসক্রিপশনে কিওয়ার্ড অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। একজন গ্রাহক যখন কোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করবে তখন সেটা যদি মেটা ডেসক্রিপশন এর ভেতর থাকে তাহলে কিওয়ার্ড টি কে বোল্ড করে দেখাবে। তাই মেটা ডেসক্রিপশন কে এমন ভাবে লিখতে হবে যেনো একজন গ্রাহক কিওয়ার্ড সার্চ করার ফলে যখন আপনার কনটেন্ট এর মেটা ডেসক্রিপশন টা দেখবে তখন সে বুঝতে পারে এই আর্টিকেল টা তার জন্য তথ্যবহুল। তাই সুন্দর এবং ইউনিক ভাবে মেটা ডেসক্রিপশন অপটিমাইজেশন করুন। 

H1 ট্যাগঃ  

হেডিং ট্যাগ রয়েছে ৬ টি। এর মধ্যে  H1 ট্যাগ হলো সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ ট্যাগ। তাই এটি কে আমরা হেডিং এ ব্যবহার করব। এইচ ওয়ান ট্যাগ কন্টেন্টে এক বারই ব্যবহার করা উচিত। 

ডুপ্লিকেট কনটেন্ট পরিহারঃ 

আপনার ওয়েবসাইট এ যদি আপনি ডুপ্লিকেট কনটেন্ট পাবলিশ করেন তাহলে সাথে সাথে গুগল সেটা বুঝে যায়। তাই অবশ্যই ইউনিক কন্টেন্ট পাবলিশ করুন। আপনি যদি কোনো রাইটার হায়ার করে আপনার কনটেন্ট গুলো লিখিয়ে নেন তাহলে অবশ্যই দেখে নিবেন কনটেন্টগুলো ইউনিক কি না। টাকা দিয়ে কনটেন্ট লিখালেন অথচ পাবলিশ করার পর সেটি ডুপ্লিকেট কনটেন্ট বলে গুগলে র‍্যাংক করলো না তাহলে আপনার সব টাকা জলে যাবে। তাই কনটেন্ট পাবলিশ করার আগে অবশ্যই দেখে নিবেন সেটা ইউনিক কন্টেন্ট নাকি ডুপ্লিকেট কনটেন্ট। কনটেন্ট চেক করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্রি এবং পেইড টুলস রয়েছে। আপনি তাইলে কনটেন্ট পাবলিশ করার পূর্বে ফ্রি টুলস দিয়ে চেক করে নিতে পারেন। ১০০০ হাজার ওয়ার্ড পর্যন্ত ফ্রি টুলসগুলো তে চেক করা যায়। এই সীমাবদ্ধতা কাটাতে আপনি পেইড টুলসগুলো ব্যবহার করতে পারেন। পেইড টুলসগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কপিস্কেপ। ডুপ্লিকেট বা কপি কোনো কন্টেন্ট গুগলে পাবলিশ করলে এটি কখনোই র‍্যাংক করবে না। তাই ডুপ্লিকেট কনটেন্ট পাবলিশ করা থেকে বিরত থাকুন।

ইন্টারনাল লিংকঃ 

ইন্টারনাল লিংক হলো সেই ধরনের লিংক যে লিংকে ক্লিক করলে একজন ভিজিটর আপনার প্রেজেন্ট আর্টিকেল থেকে আপনার ওয়েবসাইটেরই অন্য আর্টিকেলে প্রবেশ করবে। ইনটার্নাল লিংক ব্যবহার করা হয় একই ওয়েবসাইট এর অন্য একটা আর্টিকেলে অথবা পেইজ এ। ধরুন আপনি একটি আর্টিকেল লিখলেন, আপনার লেখার সাথে যদি আপনার ওয়েবসাইট এর অন্য আরেকটি আর্টিকেলের যদি সাদৃশ্য থাকে তাহলে আপনি সেখানে লিংক এড করে দিলেন। আর এটাই হলো ইন্টারনাল লিংক। ইনটার্নাল লিংক একটি কন্টেন্ট এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যবহার এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ একজন ভিজিটর কে বেশি সময় ধরে স্টে করাতে পারবেন। যা আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলে র‍্যাংক করাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 

এক্সটার্নাল লিংকঃ 

এক্সটার্নাল লিংক হলো আপনার ওয়েবসাইট এ অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটের লিংক এড করে দেওয়া। কন্টেন্ট এর সোর্স উল্লেখ করতে অনেক সময় এক্সটার্নাল লিংক ব্যবহার করা হয়। ধরুন আপনি আপনার আর্টিকেলে এমন একটি তথ্য দিয়েছেন যেটা আপনি প্রথম আলো থেকে কালেক্ট করেছেন। এক্ষেত্রে ভিজিটরদের আস্থা বাড়াতে নিউজটার সাথে আপনি প্রথম আলো ওয়েবসাইট এর লিংক এড করে দিলেন। আর এটাই হলো এক্সটার্নাল লিংক। কিংবা আপনি কোন ফুড রিভিউ নিয়ে লিখছেন।  সে ক্ষেত্রে আপনি যে  রেস্টুরেন্ট থেকে ফুডগুলো কিনেছেন সেই রেস্টুরেন্টের লিংক আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ দিয়ে দিলেন। এগুলো হলো এক্সটার্নাল লিংক।  এক্সটার্নাল লিংক এর মাধ্যমে একজন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট থেকে আপনার রেফার করা ওয়েবসাইট এ চলে যায়। তাই ফেমাস ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইট এর এক্সটার্নাল লিংক বানান। যাতে তাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসে। 

কিওয়ার্ড স্টাফিংঃ 

কিওয়ার্ড অধিক মাত্রায় ব্যবহার করা কে কিওয়ার্ড স্টাফিং বলে ৷ একটি আর্টিকেল এ  বার বার কিওয়ার্ড ব্যবহার করার ফলে এটার ভাল্যু কমে যায়। এবং গুগলে স্পেম ধরে বসে। তাই কিওয়ার্ড যে মাত্রায় ব্যবহার গুগল পছন্দ করে সেই মাত্রায় কিওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। সাধারণত একটি আর্টিকেলে ২১/২২ বারের বেশি কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে গুগল সেটা কে স্প্যাম হিসেবে ধরে নেয়। তাই আর্টিকেলে কিওয়ার্ড ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। 

ইমেজঃ 

একটি কন্টেন্ট এ ইমেজ অপ্টিমাইজড করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেনো বেশি ইমেজ ব্যবহার করা না হয়। কারণ অতিরিক্ত ইমেজ ব্যবহার করার ফলে ওয়েবসাইট এর লোডিং স্পিড কমে যেতে পারে। ইমেজ এড করার ভালো মন্দ দুই দিকই রয়েছে। তাই কনটেন্ট অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে ইমেজ সঠিক নিয়ম মেনে এড করুন।

পরিশেষেঃ 

কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন অবশ্যই একজন SEO এক্সপার্ট এর কাজ। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্টগুলো সুন্দর, আকর্ষণীয় এবং গুগলের নিয়ম মেনে করাতে চান তাহলে yappobd.com ওয়েবসাইট এর সাথে যোগাযোগ করুন। কারণ এখানে আপনি পেয়ে যাবেন দক্ষ SEO এক্সপার্ট। যারা আপনাকে ডেডিকেটেড সাপোর্ট দিবে। তাই দেরি কেনো?  আজই যোগাযোগ করুন yappobd এর সাথে। 

Facebook Comment