You are currently viewing ই-কমার্স ওয়েবসাইট বিক্রি বাড়াতে কিভাবে সাহায্য করে?

ই-কমার্স ওয়েবসাইট বিক্রি বাড়াতে কিভাবে সাহায্য করে?

ধরুন আপনি আজকে একটা চাকরি তে জয়েন করলেন। আপনি চাকরিতে জয়েন করার পরের মাস থেকেই বেতন পেতে শুরু করবেন এবং এর জন্য আপনার পকেটের টাকাও খরচ হবে না, এবং নির্দিষ্ট দায়িত্বের বাইরে কোনও দায়িত্বও নিতে হবে না। তাই নয় কি? কিন্তু বিজনেস বিষয়টা একটু আলাদা। মনে রাখবেন ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে পুরো দায়িত্ব নিতে হবে। নিজের কাজ সঠিক ভাবে করার পাশাপাশি, অন্যদের কাজ যেন সুন্দর ভাবে  হয় – সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।আপনার মেধা আর বুদ্ধি কে সবসময় কাজে লাগাতে হবে। বিজনেসে  আপনার নিদির্ষ্ট কোন ডিউটি টাইম নেই। এবং সময়ের সাথে আপনার বিজনেস এর কৌশল ও পরিবর্তন করতে হতে পারে। আপনার বিজনেস এর বিক্রি বাড়াতে নতুন নতুন আইডিয়াও ভাবতে হবে । আচ্ছা বলুন তো আইডিয়া ভাবতে কি টাকা লাগে? না আইডিয়া ভাবতে টাকা লাগেনা। আইডিয়া ভাবতে বুদ্ধি, জ্ঞান, আর কল্পনাশক্তি ছাড়া আর কিছুই লাগে না। এগুলো খুবই মূল্যবান বস্তু হলেও এগুলোর জন্য আপনার কাউকে টাকা দিতে হবে না, বা কোনও জিনিস স্থাপন করতে হবে না। তবে কোন আইডিয়া বাস্তবায়ন করার আগে ভালোভাবে জেনে,বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আসলে এই আইডিয়া টা আপনার বিজনেস এর জন্য কতটুকু ভালো ফলাফল বয়ে আনবে। 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ই-কমার্স ওয়েবসাইট বিক্রিঃ

ই-কমার্স ওয়েবসাইট নামটি শুনলেই আমরা বুঝে নেই যে অনলাইনে পণ্য কেনা-বেচা করার যে মাধ্যম তার নাম ই-কমার্স। ধরুন আপনার একটা ছোট বিজনেস প্রতিষ্ঠান আছে। আপনি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং  দ্রুত সাবলম্বী হওয়ার জন্য আপনি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা ভাবছেন। আমি বলবো এটা একটা  সময়পোযোগী ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। চাহিদার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কাজ করা উচিৎ সবসময়। আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়েই কাজ করুন না কেন অবশ্যই আপনাকে মানুষের অর্থাৎ কাস্টমারের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং গ্রাহকের পছন্দ বুঝতে হবে।

আপনি চাইলে আমাদের ডিজাইনকৃত রেডি ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো দেখতে পারেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ দিন দিন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে বলতেই হয়। সরকারের জোরালো পদক্ষেপের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিজিটাল ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন লক্ষ করা যায়। এক্ষেত্রে ই-কমার্স এর দিক থেকে বাংলাদেশ নতুন হলেও কিন্তু পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ ই-কমার্স নিয়ে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে এবন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হচ্ছে ।  ঘরেই বসেই মাত্র কয়েক ক্লিকের মাধ্যমে চলে  আসছে পছন্দের সব পণ্য, এমন সুবিধা পেলে মানুষ অনলাইন মার্কেটে ঝুঁকবে এটাই স্বাভাবিক।তাই ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুন। আর এ ই-কমার্স ওয়েবসাইট কিভাবে বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করে এই বিষয়ে আজকের পর্বে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে। 

ই-কমার্স বিজনেস শুরুর A to Z গাইডলাইন 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ব্যবসায় ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করা যায়ঃ 

ধরে নিলাম আপনার ছোট একটা জামা-কাপড় এর দোকান আছে বগুড়া শহরে। তাহলে আপনার দোকান এর বেশিরভাগ ক্রেতা হবে নিশ্চয় আপনার আশেপাশের এলাকার। কেউ চাইলেও কিন্তু রংপুর বসে আপনার দোকান থেকে জামা কিনতে পারবে না।

তবে আপনার ব্যবসার এই ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে পারেন একটা ইকমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে। ক্রেতারা চাইলেই  ওয়েবসাইট এ দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে আপনার পণ্য গুলো দেখতে পারবে, পছন্দ করতে পারবে এবং চাইলে তারা ঘরে বসে অর্ডার ও করতে পারবেন অনলাইনে। আপনি  যদি  ভেবে থাকেন যে একটা ভালো মানের ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে হাজার হাজার টাকা খরচ হয়, তাহলে এটা আপনার ভুল ধারনা। Yappobd এর কাছ থেকে খুবই অল্প বাজেটে আপনার পছন্দ অনুযায়ী একটা সুন্দর ইকমার্স সাইট বানিয়ে নিতে পারেন।

সহজে পণ্য খুঁজে পাওয়া যায়ঃ

আপনি যে পণ্য নিয়ে কাজ করেন সেই পণ্যগুলো আপনি কিভাবে ক্রেতাদের কাছে উপস্থাপন করবেন এবং তাদের কাছে পৌঁছাবেন তা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে আপনার পণ্য যদি সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে না পারেন তাহলে ব্যবসার উপর একটা খারাপ প্রভাব পড়বে।পন্য

আপনার পণ্যের ফিচার গুলো ক্রেতাদের কাছে সুন্দর করে তুলে ধরতে হলে একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।আর ক্রেতাকে একবার আকৃষ্ট করতে পারলে  ওই ক্রেতা আবার ওই পণ্যটি অর্ডার করবেন। ইকমার্স ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনার পণ্যটির স্পেসিফিক বৈশিষ্ট গুলো পণ্যের পাশেই লিখে রাখতে পারবেন। পণ্যের রঙ,সাইজ এবং দাম দেখেই আপনার পণ্য অর্ডার করতে পারবেন ক্রেতারা। তাছাড়া অনলাইন অর্ডারে ডিস্কাউন্ট অফার সেট করতে পারেন। নিদৃষ্ট কোন পণ্যের উপর প্রমো কোড দিয়ে ডিস্কাউন্ট অফার সেট করতে পারেন, যা আপনার পণ্য বিক্রি পরিমান বাড়াতে সহায়তা করবে।

 

সহজে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করা যায়ঃ

আপনি নিশ্চয় প্রথম দিনেই আপনার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসবেন না। আবশ্যই তার জন্য ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। তেমনি  প্রোডাক্ট সেল করার আগে ক্রেতার সাথে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে হবে। যাতে করে তিনি খুব সহজেই ভরসা করতে পারেন এবং নিশ্চিন্তে পণ্য ক্রয় করতে পারেনন। আপনি চাইলে খুব সহজেই ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর লাইভ চ্যাট অপশন থেকে ক্রেতাদের সাথে তাদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। এতে করে তাদের সাথে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

আপনার কাস্টমারদের কি ম্যাসেজ দিবেন তা আগে চিন্তা করুন তারপর লিখুন। নিজের বা বিজনেসের পরিচিতি নিয়ে গল্প বলুন। প্রতিযোগীদের থেকে আপনার এগিয়ে যাবার গল্প ক্রেতাদের বলুন। চাইলে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেও আপনার বিজনেস এর গল্প বলতে পারেন আপনার ক্রেতাদের সাথে। সবসময় ক্রেতাদের মনের অবস্থা বুঝে মার্কেটিং করতে হবে। যদি আপনি এটি করতে সফল হোন তবে কাস্টমার আপনার কাছে নিজে থেকেই ধরা দিবে। পন্য বা সেবার দাম নির্ধারনের সময়ে অবশ্যই আপনার টার্গেট কাস্টোমারদের পছন্দ, সংস্কৃতি, অভ্যাস – ইত্যাদি ভালোভাবে বিবেচনা করতে হবে। শুধু তাই নয় ক্রেতাদের সামর্থ কেমন সেটি বুঝতে হবে। ক্রেতাদের সামর্থ যদি কম হয় – তবে পন্য বা সেবা বাজারের সেরা হলেও তারা আপনার কাছ থেকে বেশি দামে কিনবে না। সেক্ষেত্রে পণ্যের মানের থেকে দামকে আগে গুরুত্ব দিতে হবে। ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি এই বিষয় গুলো বিশ্লেষন করতে পারবেন আর ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের দাম বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।

এছড়াও আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আপনি ব্লগিং করতে পারেন। আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন। ই-কমার্স ওয়েবসাইট ‘লাইভ’ হবার দিন থেকেই একটি সমৃদ্ধ তথ্যবহুল ব্লগ থাকলে আপনি খুব সহজে কাস্টমারদের আকৃষ্ট করতে পারবেন এবং দ্রত সেল নিয়ে আসতে সক্ষম হবেন। সাইট এর ব্লগ পোস্ট গুলো যদি গুগোল এর প্রথম পেইজে আসে তবে সেখান থেকেও কিন্তু আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ ভিজিটর আসবে। ব্লগ পড়তে আপনার সাইটে ভিজিটর আসবে আর আস্তে আস্তে তারাই আপনার কাস্টমারে পরিনত হবে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

ঘরে বসেই ক্রেতারা প্রোডাক্ট এর নির্বাচন করতে পারেঃ

ঘরে বসে প্রোডাক্ট নির্বাচন করার সুবিধার কারণে কিন্তু বর্তমানে ই-কমার্স ওয়েবসাইট এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ক্রেতারা বর্তমানে খুবই সচেতন। আমরা যখনই আমাদের কষ্টের টাকা দিয়ে কোন শখের জিনিস কিনতে যাই তার আগে অনলাইনে সার্চ করে তার দাম, মান ও অন্যান্য বৈশিষ্ট গুলো যাচাই করি। তারপর কোন জিনিস পছন্দ হয়ে গেলেই আমরা অর্ডার করে ফেলি। অফলাইন বা অনলাইন যেখানেই হোক না কেন একটা সফল ব্যবসা নির্ভর করে পণ্য এবং তার গুণগতমান এবং সেবার উপর। যদি পণ্যের গুনগত মান যাচাই করে এবং ক্রেতা যে পণ্যটি অর্ডার করেছে সঠিক পণ্যটিই আপনি ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেন, তাহলে অনলাইনে আপনার ইকমার্স ওয়েবসাইট এর ভালো রিভিউ আসবে। 

আর আপনি যে ধরনের প্রোডাক্ট বা সেবা বিক্রি করছেন সে ধরনের সেবা কেউ কেনার আগে নিশ্চয় ঘরে বসে আপনার ওয়েবসাইট এর পণ্য গুলো দেখে নিতে পারবে। আপনার ব্যবসা যদি হয় অফলাইনে একটা নির্দিষ্ট শহর কেন্দ্রীক তাহলে এই সুবিধাটা কিন্তু আর থাকছেনা। কেউ আপনার পণ্য যাচাই করতে চাইলে অবশই আপনার প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। যা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না ।

 

পরিশেষে-

ই-কমার্স ওয়েবসাইট কিভাবে বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করে তা আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে। এখন যদি আপনি আপনার বিজনেস এর জন্য কম খরচে একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে চান তাহলে আজই যোগাযোগ করুন ইয়াপ্পোবিডি এর সাথে। বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আমরা চাইলেই ভালো ও অভিজ্ঞ মানুষদের পরামর্শ একদম বিনামূল্যে পেতে পারি। আর সে চিন্তা থেকেই যারা নতুন কিছু শিখতে চায়, জানতে চায় বা করতে চায় – তাদের জন্য Yappobd কিছু গুরুত্বপুর্ন আইডিয়া সহজবোধ্য ভাবে পাঠকদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।

 

Facebook Comment