You are currently viewing ই-কমার্স সাইট ডিজাইনের দারুণ কিছু টিপস 

ই-কমার্স সাইট ডিজাইনের দারুণ কিছু টিপস 

ই-কমার্স ওয়েবসাইট নিয়ে কথা বলতে গেলে  শুরুতেই আলোচনা করতে  হয় ওয়েবসাইট ডিজাইন নিয়ে। কারণ ই-কমার্স সাইটের জন্য ডিজাইনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার ওয়েবসাইট এ একজন ক্রেতা যেন যেকোনো প্রোডাক্ট  খুব সহজেই খুঁজে পায়, আপনার ওয়েবসাইট টি এমন আকর্ষণীয় হওয়া জরুরি।  আপনার ওয়েবসাইট টি খুব বেশি আকর্ষণীয় হতে হবে তা কিন্তু নয়, ওয়েবসাইটটি এমন ভাবে সাজাতে হবে যেন ভিজিটরদের বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারে। যে ব্র‍্যান্ড বা প্রোডাক্ট এর  জন্য ওয়েবসাইট টি তৈরি করা হয়েছে সেটা কে যেন সঠিক ও সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারে এমন ভাবে  ডিজাইন করা আবশ্যক। পাশাপাশি এমন ভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন একটি প্রোডাক্ট এ ক্লিক করলে ওই প্রোডাক্ট রিলেটেড আরো কিছু প্রোডাক্ট সে দেখতে পায়। যেকোনো ই- কমার্স সাইটে  আপনি যদি রিলেটেড প্রোডাক্ট এড করেন তাহলে সেল বহুগুনে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এরকম চমৎকার ই- কমার্স সাইট  ডিজাইনের দারুণ কিছু টিপস! 

ডিজাইন সিম্পল রাখুনঃ

ই কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন এর জন্য  আপনার যে  বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি সেটি হচ্ছে ডিজাইন সহজ ও সাবলীল রাখা। ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন করার সময় অবশ্যই মনে রাখবেন,  ডিজাইন  যত সাধারণ হবে  তত আপনার জন্য লাভজনক হবে। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে,  যেন আপনার ওয়েব ডিজাইন টি আপনার ব্র‍্যান্ড ভ্যালু এবং আপনার ব্যবসার  উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করতে পারে।

“Keep It Simple, Silly! এই ব্যাপারটা মাইন্ডে রাখতে হবে, যখন আপনি ডিজাইন করবেন বা করাবেন। আপনি যত বেশি ইলিমেন্টস এ্যাড করবেন ( যেমন, ব্যানার অ্যাডস, রঙ, বিভিন্ন ধরনের পপ আপস ইত্যাদি) কাস্টমার তত আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে, এতে আপনার সেল  জেনারেট কমে যাবে। আপনি বেশ কিছু বেসিক মূলনীতি অনুসরণ করতে পারেন যেমন  ফন্ট, খালি জায়গার সঠিক ব্যবহার, রংয়ের অতিরিক্ত ব্যবহার পরিহার করা। আপনার ডিজাইন ক্লিন ও সিম্পল রাখুন এবং সেলের প্রতি ফোকাস করুন। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইট টি নান্দনিক হয়ে উঠবে।

ব্র্যান্ডিং

ই-কমার্স ব্র‍্যান্ডিং এর ব্যাপারকে প্রায়োরিটি দিনঃ

ব্র‍্যান্ডিং হল কাস্টমারের কাছে আপনার প্রতিশ্রুতি। কাস্টমার হাজারো প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের মধ্যে কেন আপনার ই কমার্স সাইট থেকে প্রোডাক্ট ক্রয় করবে এটা নির্ভর করে আপনার ব্র‍্যান্ডিং এর উপর। এরকম কোন সাইট থেকে না,  যেটির কোন ভ্যালু নেই বা কাস্টমারের মনে সন্দেহ দেখা দিতে পারে যে এখান থেকে আমার ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি হতে পারে। আপনার ই-কমার্স  বিজনেসটিকে  ব্র‍্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এই কৌশলগুলো অবলম্বন করতে পারেনঃ 

  • আপনি যদি কাস্টমারদের বিশ্বাস অর্জন করতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে সাইট থেকে অনেক সেল আনতে হবে।
  • টার্গেট কাস্টমার নির্ধারণ করুন, খুঁজে বের করুন কাদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট ও সার্ভিস পৌঁছে দিতে চান।
  • মার্কেটিং এর জন্য বাজেট নির্ধারণ করুন । মার্কেটিং হলো একটি বিজনেস এর মূল চালিকা শক্তি। মার্কেটিং ছাড়া আপনার ওয়েবসাইট টি  কখনো ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে পারবেন না । 
  • ভার্চুয়াল জগতে যথেষ্ট তথ্য না পেলে কাস্টমার কোন কিছু ক্রয় করতে দ্বিধা করে। তাই কন্টেন্ট মার্কেটিং এর উপর জোর দিন। তথ্যবহুল কিন্তু চিত্তাকর্ষক কন্টেন্ট তাদের সামনে উপস্থাপন করুন।

ডিজাইন করার আগে আপনার ব্রান্ড ডিফাইন করুন এবং এরপর আপনার ব্র‍্যান্ড কে সাইট ডিজাইনে ব্যবহার করুন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতার বাজারে ব্র‍্যান্ডিং – ই পারে আপনাকে সকলের মাঝে সুপরিচিত করে তুলতে। তাই  ব্র‍্যান্ডিং এর ব্যাপারকে প্রায়োরিটি দিন 

নিজেকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের ভিজিটর হিসেবে ভাবুন। ভিজিটর-ই হল ওয়েবসাইটের প্রাণ। আপনাকে প্রথমে অডিয়েন্স হিসেবে চিন্তা করতে হবে, যদি আপনার ই-কমার্স সাইটের ডিজাইনের সাথে কাস্টমারকে কানেক্ট করতে চান।

ডিজাইন প্রসেসর এর সময় নিজেকে আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর হিসেবে 

ভাবুন, যেমনঃ ( আপনি যখন কোন সাইট ভিজিট করেন তখন আপনার কোন জিনিস টি ভালো লাগছে না, কোন ব্যাপারগুলোর জন্য বিরক্ত হচ্ছেন বা কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ভালো না লাগলে আপনি ঠিক কি কারণে  নিচ্ছেন না, এসব জিনিস আপনার সাইটের ক্ষেত্রে ভাবুন।

কাস্টমার চায় এমন একটি সাইট যে সাইট কে সহজে বুঝা যায় যেমনঃ প্রোডাক্ট সার্চ থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট কেনা, সুন্দর একটি ডিজাইন, শপিং প্রসেস যতটা সহজ হয় ও ঝামেলামুক্ত হয়। আর আপনি যদি এটি ঠিকমত করতে পারেন তাহলেই আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়তে থাকবে ও সেল জেনারেট হবে। 

ই-কমার্স সাইটের কালারকে গুরুত্ব দিনঃ

রঙ আছে বলেই পৃথিবী টা এত সুন্দর। একবার ভাবুন তো, চারপাশে  যদি কোন কালার না থাকত,  সবকিছু  সাদা কালো হত তাহলে কি হত! আসলে আমরা রঙ ছাড়া কিছু ভাবতে পারি না। আবার একেকটি রঙ বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। তাই সাইটের সঠিক ও মানানসই কালার আপনার বিজনেসকে দ্রুত প্রসার করতে সাহায্য করবে। মূলত, আপনাকে রঙের সাইকোলজি জানতে হবে। কালারের এই ব্যাপার টি কে এতোটাও সহজ করে ফেলবেন না যে, আপনার সবুজ রঙ পছন্দ হল আর ওয়েবসাইট এর সব জায়গাতে আপনি সেটা ব্যবহার করলেন। বিভিন্ন রঙ আবেগ, অ্যাকশনকে রিপ্রেজেন্ট করে। তাই আপনাকে আপনার ক্রেতা কারা, তাদের অনুভূতি, আবেগ কি রকম এগুলো চিন্তা করে এরপর সে অনুযায়ী রঙ সিলেক্ট করতে হবে।

এতে আপনি আপনার কাস্টমার এর কাছে বাড়তি একটা ভ্যালু পাবেন। আমরা অনেক সময় দেখে থাকি বিভিন্ন কোম্পানির ব্র‍্যান্ডের কিছু নির্দিষ্ট কালার থাকে, যেটি তাদের কাজের প্রতীক বহন করে। কোম্পানির উন্নতির জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোম্পানির ব্র‍্যান্ডের কালারের সঠিক নির্বাচন গ্রাহক এমন কি কর্মীদেরও মন-মানসিকতার উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। একটি সঠিক রঙের বাছাই আপনার ওয়েবসাইট কে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে। যেমন ধরুন, আপনি যদি সেল চান তাহলে কাস্টমার যে বাটনে ক্লিক করে প্রোডাক্ট কিনবে সেটি অন্যগুলোর থেকে আলাদা করে ফেলুন। এক্ষেত্রে আপনি লাল রঙ দিয়ে বাটনটি ডিজাইন করতে পারেন। কালার সাইকোলোজি হিসেবে, লাল রঙ উত্তেজনা ও আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করে, যা কিনা ব্যয় করার পিছনে কারণ হিসেবে দেখা যায়। লাল রঙের বাটন আপনার সেল কনভার্সনকে ৩৪% পর্যন্ত বাড়াতে সাহায্য করে । নীল রঙ ও বিশ্বাস ও আবেগ প্রকাশ করতে সহায়তা করে। নীল রঙ মন কে প্রশান্ত করে দেয়। নীলের প্রভাব বেশি থাকলে ভিজিটরদের ওয়েবসাইটের উপর আস্থা বাড়বে।

ভালো মানের ছবি ব্যবহার করুনঃ

আমরা সবাই জানি যে ডিজিটাল ওয়েব ডিজাইনের দুনিয়ায় ভালো মানের ছবি সেলস বাড়ায়। কাস্টমার ছবি না দেখে প্রোডাক্ট কিনবে না এটাই স্বাভাবিক। ভালো মানের ছবি কাস্টমারকে প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী করে তোলে।  তবে ছবির মানই যদি ভালো না হয় তাহলে কাস্টমার এর মধ্যে একটি বিশ্বাস চলে আসে যে সাইটের প্রোডাক্ট এর ছবির মান ভালো না, প্রোডাক্ট এর মান কেমন হবে। তাই বুঝতেই পারছেন আপনার প্রোডাক্ট ভালো হবার পরও ছবির মান ভালো না হওয়ায় সেল হচ্ছে না। বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে প্রোডাক্ট এর ছবি ব্যবহার করা কাস্টমার এর মনে আত্ববিশ্বাসের জন্ম দেয়। আর কাস্টমার যখন কোন প্রোডাক্ট এর ব্যাপারে আত্ববিশ্বাসী থাকে তখন কেনার ব্যাপারে ফাইনাল ডিসিশন নিয়ে নেয়। তাই আপনাকে আপনার সাইটে প্রোডাক্টের প্রফেশনাল ও ক্লিন ছবি ব্যবহার করতে হবে। সেই সাথে ছবির মানটিও ভালো রাখতে হবে। 

পরিশেষেঃ

আপনি হয়তো ভাবছেন এতো কিছু মাথায় রেখে কে বা কারা আপনাকে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে দিবে। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করছি যে, আমাদের একটি ডিজিটাল এজেন্সি রয়েছে যেখানে সবাই দক্ষতার সাথে এবং সুন্দর, রুচিসম্মত ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে থাকে। আমাদের মেইন থিম গ্রাহকের সন্তুষ্টি। তাই আপনি যদি সুলভ মূল্যে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির  একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে আজই যোগাযোগ করুন ইয়াপ্পোবিডি ওয়েবসাইট এর সাথে। 

Facebook Comment