You are currently viewing কিভাবে ই-কমার্স ওয়েবসাইট হতে পারে ব্যবসায়িক সফলতার মূলমন্ত্র

কিভাবে ই-কমার্স ওয়েবসাইট হতে পারে ব্যবসায়িক সফলতার মূলমন্ত্র

করোনা মহামারীর এই সময় টা তে আগের তুলনায় অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা বহু গুণে বেড়ে গেছে। ব্যবসা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে প্রতিযোগিতা টাও গানিতিক হারে বেড়ে গেছে। কিন্তু সবাই কি সফলতা পেয়েছে? কখনোই না, তারাই সফলতা পেয়েছে যাদের বিজনেস এর একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে। আপনার ই-কমার্স  বিজনেস টি যে ক্যাটাগরির-ই হোক না কেনো, সফলতার মূলমন্ত্র নিহিত একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ। আমি আবারও বলছি ব্যবসার সফলতার মূলমন্ত্র নিহিত একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ। একটি সাধারণ ওয়েবসাইট আর একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর কিন্তু অনেক টা-ই পার্থক্য রয়েছে। একটি সাধারণ ওয়েবসাইট এবং একটি ই-কমার্স বিজনেস ওয়েবসাইট এর পার্থক্য হলো এর ফিচার্স এ। তাই যার তার কাছ থেকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নিলেন আর ব্যবসায় সফলতা পেয়ে গেলেন ব্যপার টা এমন নয়। যেভাবে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট হতে পারে আপনার ব্যবসায়িক সফলতার মূলমন্ত্র তা নিচে আলোচনা করা হলো। 

আপনি যদি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। যেমনঃ ওয়েবসাইট টির লোডিং স্পিড কম হতে হবে, ওয়েবসাইট টি ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে অর্থাৎ রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইট বানাতে হবে, ভালো হোস্টিং সার্ভার থেকে হোস্ট করে নিতে হবে, ওয়েবসাইট এর সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে ইত্যাদি। পুরো বিজনেস এর লেনদেন, প্রোডাক্ট ডিসপ্লে ইত্যাদি কাজ যেহেতু একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে তাই অবশ্যই ওয়েবসাইট টি ভালো ভাবে তৈরি করা উচিৎ। 

যেভাবে ই-কমার্স ওয়েবসাইট হতে পারে ব্যবসায়িক সফলতার মূলমন্ত্র? 

ই-কমার্স বিজনেস করতে চাইলে ই-কমার্স ওয়েবসাইট অবশ্যই থাকতে হবে। কেননা ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর দ্বারা ব্যবসার সমস্ত কাজ সম্পাদনা করা হয়। একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর দ্বারা কাস্টমারদের বিশ্বাস ও অর্জন করা যায়। যার ফলে ব্যবসায় সফলতা আসে। নিচে এই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

 

রেডি ই-কমার্স

 

বিশ্বাস অর্জনঃ

একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট একজন কাস্টমার এর বিশ্বাস অর্জন করার চাবিকাঠি। আর এই বিষয় টা-ই ব্যবসার সফলতার মূলমন্ত্র। আমি উপরে বলেছি যে বর্তমানে ই-কমার্স বিজনেস বহু গুণে বেড়ে গেছে। তাই একে কেন্দ্র করে প্রতারক চক্ররা ও তাদের প্রতারণার নতুন জাল বুনছে। ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ খোলা যেহেতু অনেক সহজলভ্য এবং এতে কোনো টাকা ইনভেস্ট করতে হয় না, তাই তারা মাত্র কয়েক টি ক্লিক এই নামি দামী ই-কমার্স বিজনেস এর নামে ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপ ওপেন করছে। এর মাধ্যমে তারা ওই ই-কমার্স বিজনেসগুলোর ইমেজ নষ্ট করছে। আবার কেও কেও ভালো ব্র‍্যান্ড এর নামে ফেসবুক পেইজ এবং গ্রুপ খুলে কাস্টমার এর কাছ থেকে প্রি-অর্ডার এর নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এবং পরবর্তী তে দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। এগুলো অনেক পুরাতন কাহিনী। মানুষ ভুল থেকেই শিক্ষা নেয়। তাই কাস্টমাররা যেসব ই-কমার্স বিজনেস এর কোনো ওয়েবসাইট নেই সেখান থেকে প্রোডাক্ট ক্রয় করতে চায় না। এমতাবস্থায় কাস্টমাররা ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট অর্ডার করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। 

 

লেনদেনে আস্থাঃ

ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে লেনদেন করা বিষয় টা কাস্টমারদের মনে আস্থার যায়গা করে নেয়। একজন কাস্টমার যখন র‍্যান্ডম সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কোনো প্রোডাক্ট অর্ডার করে তখন তার মনে সর্বদা একটা প্রশ্ন বিরাজ করে ” টাকা তো এডভান্স পেমেন্ট করে দিলাম, প্রোডাক্ট টি সত্যিই হাতে পাবো তো?” কিন্তু এই ধরনের স্নায়ুবিক সমস্যা একজন কাস্টমার  ওয়েবসাইট এ প্রোডাক্ট অর্ডার করার পর ফিল করে না। কারণ সে নিশ্চিত থাকে ওয়েবসাইট এ প্রোডাক্ট অর্ডার করলে কখনোই টাকা মেরে দেওয়ার চান্স নেই। তাই একজন কাস্টমার ওয়েবসাইট এ লেনদেন করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। 

 

কাস্টমার সাপোর্টঃ

কাস্টমারদের সব ধরনের ফুল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি একজন কাস্টমার কে প্রোডাক্ট কেনার সময় যত বেশি ইনফরমেশন দিয়ে সাপোর্ট করবেন আপনার তত বেশি সেল হবে। কাস্টমার প্রোডাক্ট টি অর্ডার করার সময় যাতে আপনার সাথে চ্যাট করতে পারে সেই অপশন টি ও ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ রয়েছে। চ্যাট অপশন থাকলে কেও যদি অর্ডার ক্যানসেল করতে চায় সেই বিষয় টি ও ওনার কে জানাতে পারবে। কোনো কাস্টমার যদি কারণ বশত আপনার প্রোডাক্ট অর্ডার পর ক্যানসেল করে তাহলে আপনার উচিত তার টাকা দেরি না করে দ্রুত ব্যাক দেওয়া। এর ফলে আপনার প্রতি তার আস্থা আসবে এবং পরবর্তী তে সে আপনার থেকে প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। 

 

ব্রান্ডিং

ব্র‍্যান্ডিংঃ

আপনার ই-কমার্স বিজনেস থাকলে তার ব্র‍্যান্ডিং করা সবচেয়ে আগে জরুরি। অন্য ভাবে যদি চিন্তা করি তাহলে বলা যায় ই কমার্স মার্কেটিং করতে হবে। আর বিজনেস এর ব্র‍্যান্ড আইডেন্টিটি গড়ে তোলার সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম হলো ই-কমার্স ওয়েবসাইট। ব্র‍্যান্ডিং কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা গল্পে গল্পে উপস্থাপন করা যাক। 

এক প্রচন্ড রৌদ্রজ্বল দিনের কথা। কোচিং করে বাসায় ফিরছি দুই ফ্রেন্ড। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। আমার ফ্রেন্ড সামনে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর দেখেই ঢুকে পরলো। উদ্দেশ্য তার কোমল পানীয় পান করা। ফ্রিজে নানা ধরনের কোমল পানীয় থাকলেও আমার ফ্রেন্ড ঝটপট কোকা-কোলার বোতল হাতে নিয়ে চুমুক দিলো। এর একমাত্র কারন কি বলতে পারেন? হ্যাঁ, ব্র‍্যান্ডিং। 

ব্র‍্যান্ডিং নিয়ে আরও গল্প বলা যায়। Heinz এর নাম আপনি অবশ্যই শুনে থাকবেন। Heinz একটি নামি দামি ব্র‍্যান্ড, যা টমেটো সস এবং বেকড বিনের জন্য খুবই জনপ্রিয়। Heinz এর একটি প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি চিন্তা করলো কেনো মানুষ এতো Heinz এর প্রোডাক্ট কেনে? তারা রহস্য উদঘাটন করার জন্য একটি ব্লাইন্ড টেস্ট টেস্ট ( Blind taste test) এর আয়োজন করলো। যেখানে কিছু সংখ্যক লোক অংশগ্রহণ করলো। আয়োজনে তারা সবার চোখ বেঁধে Heinz এর প্রোডাক্ট এবং তাদের নিজস্ব প্রোডাক্ট সবাই কে দিলো। আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, অংশগ্রহণকারীরা বেশিরভাগই তাদের প্রোডাক্ট পছন্দ করছিল চোখ বাঁধা অবস্থায়। যেই চোখ খুলে দেওয়া হলো তখন সবাই নিঃসংকোচে Heinz এর প্রোডাক্ট এর প্রশংসা করতে শুরু করলো। এর কারণ কি বলতে পারেন? হ্যাঁ, আপনার ধারণাই ঠিক। ব্র‍্যান্ড মানুষের পছন্দের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। ব্র‍্যান্ড সাইলেন্টলি মানুষের পছন্দ কে পরিবর্তন করে দেয়। উপরের গল্প গুলো পড়ে নিশ্চয়ই ব্র‍্যান্ডের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছেন।

আপনি ও পারেন আপনার ই-কমার্স বিজনেস/ই কমার্স কোম্পানি এর  একটা ব্র‍্যান্ড আইডেন্টিটি গড়ে তুলতে। তার জন্য আপনাকে প্রথমেই একটা নিট এন্ড ক্লিন, ইউজার ফ্রেন্ডলি, স্ট্যান্ডার্ড মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। যার মাধ্যমে আপনার বিজনেস এর ব্র‍্যান্ডিং এবং মার্কেটিং করা সম্ভব। যদি একবার আপনার বিজনেস এর ব্র‍্যান্ডিং গড়ে তুলতে পারেন তাহলে আপনাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হবে না। আপনি কাস্টমার পাবেন দ্রুত এবং সেল জেনারেট হবে অনেক। 

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বোঝাই যাচ্ছে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্যবসার সফলতার চাবিকাঠি। 

 

পরিশেষেঃ

একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর গুনগান লিখে শেষ করা সত্যিই অসম্ভব বেপার। ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ রয়েছে প্রোডাক্ট ডিসপ্লে, লেনদেনের সুবিধা ইত্যাদি। একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এ রয়েছে একের ভিতর সব। যা হতে পারে আপনার ব্যবসায়িক সফলতার মূলমন্ত্র। আপনি যদি উপর্যুক্ত ব্লগ টি পড়ে ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারেন এবং একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য মনস্থির করেন তাহলে আমাদের সাথে আজই যোগাযোগ করুন। আমরা আপনাকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী প্রিমিয়াম কোয়ালিটির একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট সুলভ মূল্যে তৈরি করে দেবো। সাথে থাকছে মেইনটেন্যান্স এর সুবিধা। তাই দেরি না করে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

 

Facebook Comment