You are currently viewing ই-কমার্স কি? বাংলাদেশে ইকমার্স এর গুরুত্ব ও ভবিষ্যত!

ই-কমার্স কি? বাংলাদেশে ইকমার্স এর গুরুত্ব ও ভবিষ্যত!

চাল-ডালও যে অনলাইনে কেনা যায় তা এই করোনাকালীন সময় শিখিয়ে দিলো দেশের মানুষকে। এখন বেশীর ভাগ মানুষ  অনলাইনে কাঁচাবাজার সারছেন, ওষুধ কিনছেন। ইলেকট্রনিকস পণ্য, পোশাক, গৃহস্থালির বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনছেন। এমনকি যাঁরা এত দিন গরুর হাটে গিয়ে শিং দেখে, দাঁত দেখে, সঙ্গে দু-একটা গুঁতো খেয়ে গরু কিনতে অভ্যস্ত ছিলেন, তাঁদের একাংশ অনলাইনেই গরু দেখা শুরু করেছেন। ঘরে বসেই পছন্দ করছেন খামারে থাকা গরু।

প্রতিনিয়তই মানুষ অনলাইনে কেনাকাটার উপর ঝুঁকছেন এবং অনলাইন নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। অনলাইনে কেনা ও লেন-দেনের যে অভ্যস্ততা তৈরি হয়েছে, এটি কিন্তু সম্ভব হয়েছে ই-কমার্সের রেভ্যুলেশন এর ফলে। যেমন- একজন ব্যবসায়ী এখন নিজস্ব দোকান বা শপিং মল থাকার পরেও ই কমার্স অর্থাৎ অনলাইনের  মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছেন।

ই-কমার্স মূলত সব ব্যবসায়ীর জন্য অবশ্য পালনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাকালীন সময়ে যেখানে অনেক যুবক চাকরি হারিয়েছেন কিংবা বেকার ছিলেন, এই  ই-কমার্সের ফলেই কিন্তু তাদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে,  ই-কমার্স এর গুরুত্ব তো ব্যাপক রয়েছে কিন্তু এই ই-কমার্স এর ভবিষ্যত কি? 

ই-কমার্স ইনে কেনাকাটা/ক্রয়-বিক্রয় এর মাধ্যমকেই সাধারণত আমরা ই-কমার্স বলে জানি। ই-কমার্স (e-commerce) হচ্ছে একটি আধুনিক ও ডিজিটাল ব্যবসা পদ্ধতি। এখানে ব্যবসার সকল কার্যক্রম অনলাইনের/ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে  পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ইন্টারনেনিয়ে অনেকের সংশয় ও সফলতা থাকলেও বাস্তবতা বলছে, এখানে ই-কমার্সের সম্ভাবনা অনেক দূর পর্যন্ত প্রসারিত। আগামী দিনগুলো অনেক সম্ভাবনাময় ই-কমার্সের জন্য। বলা যায়, এ দেশের খুচরা ব্যবসার  বেশিরভাগ  ই-কমার্সের আওতায় চলে আসবে, এমনকি কর্পোরেট ব্যবসারও অনেক কিছু। বিষয়টা এমন নয় যে, ই-কমার্স জগতে কেউ না জেনে বুঝে প্রবেশ করে সফলতা অর্জন করছে। 

কিছু সংশয় রয়েছে যেটার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তবে এগুলো কাটিয়ে উঠে যদি যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে সফলতা অর্জনের এই পর্যায় কে আরও উন্নত করা যায়, তাহলে ই-কমার্স ভবিষ্যতে আরো সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাবে। প্রিয় পাঠক, আরও বিস্তারিত জানতে চাইলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি পড়তে পারেন –

ই-কমার্স কি?ই-কমার্স কি

অনলাইনে কেনাকাটা/ক্রয়-বিক্রয় এর মাধ্যমকেই সাধারণত আমরা ই-কমার্স বলে জানি। ই-কমার্স (e-commerce) হচ্ছে একটি আধুনিক ও ডিজিটাল ব্যবসা পদ্ধতি। এখানে ব্যবসার সকল কার্যক্রম অনলাইনের/ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে  পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রেতা ঘরে বসেই যে কোন পণ্যের মান, পণ্যের দাম এবং পন্যের সকল বিস্তারিত সর্ম্পকে জানতে পারে এবং তেমনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তা অর্ডারও দিয়ে ক্রয় করতে পারে। ই-কমার্সের ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনারা লেনদেনের সময় ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। 

 

ই-কমার্স ব্যবসার উৎপত্তি এর ইতিহাস

১৯৭৯ সালে মাইকেল এলড্রিচ নামের একজন ব্যক্তি সর্বপ্রথম টেলিস্কোপিং নামক একটি সিস্টেম চালু করেন যার উদ্দেশ্য ছিলো যে কোন পন্য বা বিক্রয় যোগ্য মালামাল টিভিতে এ্যাড হিসাবে দেয়া হবে এবং তা অনলাইনের মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে বিক্রি করা হবে । তবে বলে রাখা ভালো অনলাইন বলতে এখানে ওয়েবসাইট কেই বুঝানো হয়েছে এমনটা নয় ।

এবং এই টেলিস্কোপিং সিস্টেমের উপর ভিত্তি করেই ১৯৯১ সালে প্রথম বারের মতো অনলাইনে ই কমার্স এর উৎপত্তি ঘটে। এবং তার পর থেকেই সময়ের সাথে সাথে এর অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং আগের থেকে অনেক বেশি উন্নতি সাধন করেছে।

ই-কমার্স ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স

ব্যাবসা পরিচালনার বিশেষ সুবিধা

 

১. যেকোনো স্থানে বসে ব্যবসার পরিচালনা করা সুবিধা

ই-কমার্সে (e-commerce) নির্দিষ্ট জায়গার প্রয়োজন নেই, এটি হলো সর্বব্যাপী একটি ব্যবসা। এটি সব সময় সব জায়গায় সহজলভ্য। আপনার একটি মোবাইলে বা ল্যাপটপে বা অন্য কোন ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে আপনি যেকোনো জায়গায় বসে দ্রব্য কেনা – বেচা করতে পারবেন। ই-কমার্স (e-commerce) ব্যবসা কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না।আপনি যদি অল্প কিছু পন্য দিয়ে আপনার অনলাইনের যাত্রা শুরু করতে চান তাহলে আপনার খুব অল্প জায়গার প্রয়োজন হবে যা আপনি আপনার ঘরে অথবা বাড়ির যে কোন একটি যায়গায় নিতে পারবেন।

২. সল্প বিনিয়োগ ব্যবসা করা

অনেকেই মনে করেন বিজনেস করতে হয়তো অনেক টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে। কথাটা সম্পূর্ণ ভুল। আপনি খুব অল্প টাকায় আপনার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনি কিছু বই এর বিজনেস করবেন । ধরুন আপনি দশটি বই কিনেছেন এবং প্রত্যেকটি বই  এর মূল্য ৪০ টাকা, তাহলে আপনার মোট মূল্য হলো ৪০০ টাকা । ধরুন আপনার ডেলিভারি দিতে যদি কোন খরচ হয় না । আপনি প্রত্যেকটি বই ৮০ টাকা করে বিক্রি করছেন । প্রত্যেক বই থেকে লাভ হচ্ছে ৪০ টাকা । তাহলে আপনার মোট লভ্যাংশ থাকে ৪০০ টাকা । আশা করি আপনারা বুঝতে পারেছেন ।

৩. ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা সহজ

প্রথমত আপনাকে বুঝতে হবে ই কমার্স কি ?  ই কমার্স বলতে এখন আমরা বুঝি অনলাইনের মাধ্যমে বিজনেস, যা ওয়েবসাইট এর দ্বারা পরিচালনা করা হয়। এটা সহজ বলার কারন এ জন্যই যে ওয়েবসাইটে আপনি আপনার সকল পণ্যের বিবরন সুন্দর করে সাজিয়ে লিখে রাখবেন যা প্রতিটি পণ্যের জন্য একবার ই লিখতে হবে। বার বার আপনাকে কাস্টমারের সাথে পন্য নিয়ে কথা বলার প্রয়োজন হবেনা । কাস্টমার সকল কিছু দেখে নিজেই ওয়ার্ডার কনাফার্ম করে যাবে।

৪. খুব অল্প সংখ্যক কর্মী দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা যায়

আপনার বিজনেস যদি ছোট হয় তবে আপনি নিজেই সকল কিছু ম্যানেজ করে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন। যেমন পণ্যের ছবি তোলা,আপলোড করা,পন্যের বিবরন আপডেট করা, কাস্টমারের প্রশ্নের উত্তর দেয়া ইত্যাদি । তবে আপনার বিজনেস যদি কিছুটা বড় হয় তবে সে ক্ষেত্রে ২/৩ জন কর্মী নিয়োগ দিতে পারেন যাতে করে আপনার কাজের প্রেসার কিছুটা কম হয় এবং আপনি আপনার ব্যবসায় ভালোভাবে ফোকাস করতে পারবেন। তবে সেইম ব্যবসা যদি ট্র্যাডিশনাল ওয়ে তে করেন তবে ২/৩ জন কর্মী দিয়ে আপনি সঠিক ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না।

৫. এক সাথে একাধিক ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা

ধরুন আপনার একটি খেলনার দোকান আছে। আপনি এর সাথে আরো একটি নতুন দোকান দিতে চাচ্ছেন। ভেবে দেখুন তো আপনি এক সাথে ২টি দোকানে সময় দিতে পারবেন কিনা ? অবশ্যই আপনার উত্তর হবে না। অপর দিকে আপনি চাইলে ই কমার্স এর মাধ্যমে ২/৩ টি বিজনেস এক পরিচালনা করতে পারবেন। এর কারন হিসেবে উপরের একটি প্যারায় আলোচনা করে হয়েছে যে, ই কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা সহজ।

৬. ডিসকাউন্ট বা অফার সহজে প্রদান সুবিধা

একটু খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন ইদানিং কালে যারা বিজনেস করছেন তারা মাঝে মাঝেই তাদের পণ্যের ডিসকাউন্ট দিচ্ছেন। এতে করে পন্য বিক্রি বৃদ্ধি হয়ে থাকে । পন্যের বিক্রি বৃদ্ধি হলে অবশ্যইন লভ্যাংশ বৃদ্ধি পাবে।

সেইম ভাবে আপনি যদি ই কমার্স এর মাধ্যমে বিজনেস টি পরিচালনা করেন আপনি ওয়েবসাইট এর শুরুতেই অর্থাৎ হোম পেইজে আপনার অফারটি সুন্দর ভাবে শো করাতে পারবেন । এতে করে আপনাকে বার বার কষ্ট করে সকল কাস্টমার কে ডিসকাউন্ট এর কথা বলতে হবেনা। তারা ওয়েবসাইট এ এসে শুরুতেই দেখতে পারবে।

রেডিমেইড ই-কমার্স ওয়েবসাইট

ই কমার্স ব্যবসায় সফল/এগিয়ে নেবার টিপস

১. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা

আপনাদের শুরুতেই বলেছিলাম ই কমার্স বিজনেস করতে হলে অবশ্যই আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা জরুরি। এতে করে কাস্টমারের মনে আপনার বিজনেস নিয়ে একটি পজেটিভ সাইড তৈরি হবে। যা আপনার ব্যবসাকে আরো সুন্দর করে তুলতে সহায়ত করবে।

২. দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার/প্রতিষ্ঠান দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করানো

আপনি যে ওয়েবসাইট নিয়ে বিজনেস করবেন তা যদি সুন্দর সাজানো গুছানো না হয় তবে আপনার কাস্টমাররা বিরক্তবোধ করবে। এতে করে আপনার কাস্টমার হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই আপনার উচিত দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার/প্রতিষ্ঠান দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করানো। যাতে করে আপনার ওয়েবসাইট টি সুন্দর ও মার্জিত হয়।

৩. গ্রাহকের জন্য ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করা

ইউজার ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট বলতে বুঝানো হয়েছে আপনি আপনার বিজনেস এর জন্য যে ওয়েবসাইট টি তৈরি করছেন তার সকল কিছু যেন খুব সহজেই আপনার কাস্টমার রা ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ পণ্যের ছবি,বিবরন,মূল্য ইত্যাদি ওয়েবসাইটে সুন্দর ভাবে দেখতে পারা। পণ্যের সঠিক ভাবে ওয়ার্ডা করতে পারা ইত্যাদি।

৪. সুন্দরভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করা

ধরুন আপনি কোথাও বেরাতে গেছেন কিন্তু সেখানে গিয়ে আপনার লোকেশনটা ভালো লাগেনি,তাহলে কিন্তু আপনার সেই জায়গার প্রতি ভালোলাগা কাজ করবেন না। ঠিক তেমন ভাবে আপনার বিজনেস ওয়েবসাইট টি যদি সুন্দর না হয় তবে আপনার কাস্টমার রা এসে কোন কিছু না দেখে না কিনে ফিরে চলে যাবে। তাই কাস্টমারের ফাস্ট ইম্প্রেশন তৈরি করতে অবশ্যই আপনাকে ওয়েবসাইট ডিজাইন এর উপর নজর দিতে হবে।

৫. প্রতিযোগীদের তুলনায় পণ্যের দাম কম রাখা

আপনি বাজারে গিয়ে কোন পন্য ক্রয়ের পূর্বে অবশ্যই সেই পণ্যের মান এবং মূল্য যাচাই করবেন এবং সে পণ্যের মান ভালো ও দাম কম সেইটা কিনে নিবেন। তেমনি আপনি যে পন্য নিয়ে বিজনেস করছেন আপনাকে অবশ্যই সেই পণ্যের গুনগত মন ও আপনার প্রতিযোগীদের তুলনায় পণ্যের দাম কম রাখতে হবে। এতে করে দেখবেন আপনার বিক্রি বৃদ্ধি পাবে।

৬. YappoBD ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন

এখন আপনি যদি চিন্তায় পড়ে যান, আমি কোথা থেকে একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার পবো?

তবে চিন্তার কারন নেই, এখন আপনার হাতের নাগালেই পাচ্ছেন দক্ষ ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান “ইয়াপ্পোবিডি” । যারা খুব সহজেই আপনার কাক্ষিত ওয়েবসাইট টি সুন্দর ভাবে সাজিয়ে দিতে আপনাকে সহোযোগিতা করবে। এ ছাড়াও আমাদের রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রেডিমেড ওয়েবসাইট। যা ব্যবহার খুব সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি । তবে দেরি কেন এখন ই ওয়ার্ডার করে ফেলুন আপনার প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট। এবং আপনার বিজনেসকে সমৃদ্ধ করে তুলুন।

ই-কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা

ই-কমার্সের মাধ্যমে আপনি এখন খুব সহজেই বিশ্বব্যাপী পণ্যের আদান-প্রদান করতে পারবেন।  যেমন, যে কেউ ইচ্ছা করলে সুদূর আমেরিকা থেকে তার পছন্দনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারে। খুব দ্রুত সময়ে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই পণ্য পাওয়া যায়। কারণ ভোক্তা বা ক্রেতা নিজে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে অর্ডার করে থাকে কোনো প্রকার তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই। তাছাড়া সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো যে কেউ নিজের পণ্য সারা বিশ্বে যে কারোর কাছে বিক্রি করতে পারেন। ই-কমার্স সাইট গুলো ২৪ ঘণ্টা বা সপ্তাহে ৭ দিন খোলা থাকে।

যেকোনো স্থান থেকে ই-কমার্স সাইটগুলো যেকোনো স্থান থেকে ব্যবহার করা যায়। তাই ই-কমার্সের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসে পণ্য ক্রয় করতে পারেন। তবে,ই-কমার্সের কিছু অসুবিধা হলো অনেকেরই মাঝে মাঝে অনলাইনে পণ্য কেনা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার, অনেক সময় ইন্টারনেট এক্সেস করার ক্ষেত্রে গ্রাহকরা সমস্যার সম্মুখীন হন। প্রায় সময় ই কমার্স সাইটগুলো থেকে পণ্য ক্রয় করার সময় নিজের অনেক ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়।

এছাড়া দেখা যায় গ্রাহকরা যখন অনলাইনে পণ্য অর্ডার করে তখন পণ্যের ডেলিভারী নিয়ে সমস্যা হয়ে থাকে। তবে, অনলাইনে কোনো জিনিস কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো কিছু কিছু পণ্যের মানের কোনো গ্যারান্টি থাকে না। তবে সে ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট ওনার যারা থাকেন তাদের গাফিলতির কারনে এমনটা হয়। 

ই-কমার্স সাইট তৈরি

ই-কমার্স সাইট তৈরি করে নিতে চাইলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

ইকমার্স ওয়েবসাইট

বাংলাদেশে ই-কমার্সের গুরুত্ব

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ই-কমার্সের গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ার কারণে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ই-কমার্সের দিকে ঝুঁকছে। ই-কমার্সের দিকে ঝোঁকার অন্যতম আরেক টি কারণ হলো এই প্ল্যাটফর্মে বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের কাছে সহজেই পৌঁছানো যায়। বিশেষ করে যারা আরাম প্রিয় কিংবা শৌখিন তাদের জীবন কে অনেকটাই সহজ করে দিয়েছে ই-কমার্স। সেই সাথে, বাংলাদেশে ই-কমার্স   বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। 

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যুক্ত করেছে নতুন ধারা, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে তরুণ প্রজন্মের জন্য, নতুন উদ্যোক্তারা যুক্ত হয়েছে ই-কমার্সের সাথে এবং নানাভাবে সমৃদ্ধ করে চলেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের যাত্রাকে। আর এইসব কারণেই বাংলাদেশে ই-কমার্স  এত গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলা যায় যে বাংলাদেশে ই-কমার্সের গুরুত্ব অনেক।

বাংলাদেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ

ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা ভবিষ্যতে জনপ্রিয় করে তুলতে হলে প্রতি টা ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর যেন ক্রেতার আস্থা থাকে এটি নিশ্চিত করতে হবে । কারণ এই ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা উন্নত বিশ্বে যেমন জনপ্রিয় তেমনই সফল। এবং সেসব উন্নত দেশের ধারণা নিয়েই আমাদের দেশে এই ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা চালু করা হয়েছে। তাই উন্নত দেশে যেসব শর্ত এবং মানদণ্ড মেনে এই ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা জনপ্রিয় এবং সফল হয়েছে, সেগুলো আমাদের দেশেও যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে, অন্যথায় ইভ্যালির মতো অঘটন ঘটতেই থাকবে।

ই-কমার্স ভবিষ্যৎ

দেশে ই-কমার্স যাত্রা শুরু করতে না করতেই ইভ্যালি কেলেঙ্কারি বাংলাদেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। অথচ ই-কমার্স বা অনলাইন শপিং এখন এক নতুন বাস্তবতা। আমরা স্বীকার করি বা না করি আগামী দশকের ব্যবসা-বাণিজ্য যে যথেষ্টই অনলাইন নির্ভর হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

এমনকি উন্নত বিশ্বের অনলাইন ব্যবসা সর্বোচ্চ পর্যায় পৌঁছে যাওয়ায় বিশ্বের বিশাল বিশাল অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান যেমন আমাজন, আলিবাবা, ওয়ালমার্ট এখন উন্নয়নশীল দেশগুলোর দিকে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত করেছে। ভারতে তো এসব কোম্পানি তে এরই মধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে বসে আছে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি এবং জনসংখ্যার কারণে তাদের দৃষ্টি যে আমাদের দেশের দিকেও আছে তা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। এ রকম অবস্থায় ইভ্যালি কেলেঙ্কারি কিন্তু আমাদের দেশের ই-কমার্স বা অনলাইন ব্যবসা ভবিষ্যতের জন্য মোটেই ভালো খবর নয়। 

বাংলাদেশে ই-কমার্সের ভবিষ্যৎ কেমন

এইতো কিছুদিন আগের কথা করোনার কারনে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারেনি। এতে করে অনেকেই অনেক কিছু প্রয়োজন হলেও দোকানে যেতে পারেনি । ঠিক তখন ই মানুষ অনলাইনের প্রতি ধাবিত হয় এবং যার রেশ থেকে গেছে। বাংলাদেশে দিন দিন যে ভাবে অনলাইনের প্রতি মানুষের আকর্শন বেড়ে চলেছে তাতে করে নিশ্চিত বলা যেতে পারে বাংলাদেশে ই কমার্স এর ভবিষ্যৎ অনেক অগ্রশর হবে।

 

দেশে ই-কমার্সের প্রসারে কাজ করছে দারাজ.কম

বাংলাদেশে  ই-কমার্স একটি সম্ভাবনার জায়গা তৈরি করেছে। মানুষ এখন ঘরে বসে পণ্য কিনছে। দেশ ডিজিটাল হচ্ছে। সে যাত্রায় দারাজ ডট কম অংশীদার। সম্ভাবনাময় ই-কমার্স খাতে দারাজ ডটকম নিজের জায়গা করে নিয়েছে। দেশি উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ ডটকমের (daraz.com) যাত্রা শুরু।

দারাজ ডট কম শীর্ষ স্থানীয় জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট হিসেবে ই-কমার্সের প্রসারে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বাজারে ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে এ প্রতিষ্ঠান। দারাজ ডটকম শুধু বিক্রি নয়, একইসঙ্গে দেশের ব্র্যান্ডিং হিসেবে কাজ করেছে। বাংলাদেশের জামদানির মতো ঐতিহ্যবাহী পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রি সারাবিশ্বের সামনে  তুলে ধরেছে দারাজ ডট কম। পাশাপাশি,  ক্ষুদ্র-ব্যবসায়ীরা নিজেদের পণ্য যাতে বিক্রয় করতে পারে সেই ব্যবস্থাই করছে প্রতিনিয়ত। সরকারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে দেশের পণ্যকে বাইরের হাজারো অথিতিদের মাঝে তুলে ধরেছে দারাজ ডটকম।

ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন

ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন

ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন

পরিশেষে

আপনি যদি চান তাহলে খুব সহজেই আপনি ও আলিবাবা, আমাজন এমনকি দারাজ ডট কম এর মতো ই-কমার্স বিজনেস চালু করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার বিজনেস এর ব্র‍্যান্ডিং করার জন্য আবশ্যক একটি প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ই-কমার্স ওয়েবসাইট। এটি প্রমাণিত যে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট পারে একটি ই-কমার্স বিজনেস এর সফলতা এনে দিতে। তাই দেরি না করে আজই আপনার ই-কমার্স বিজনেস এর জন্য বানিয়ে নিন একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এবং যেকোনো ধরনের ডিজিটাল সেবা নিতে ইয়াপ্পোবিডি  এর সাথে যোগাযোগ করুন। 

ই-কমার্স ওয়েবসাইট সার্ভিস
Facebook Comment