You are currently viewing কসমেটিক ব্যবসায় ই-কমার্স ওয়েবসাইট কেনো প্রয়োজন

কসমেটিক ব্যবসায় ই-কমার্স ওয়েবসাইট কেনো প্রয়োজন

বর্তমানে ই-কমার্স বিজনেস এর মধ্যে একটি রমরমা বিজনেস হলো কসমেটিকস সেল করা। কর্মজীবী নারীরা সারাদিন ব্যস্ত থাকার পর চায় না বাইরে গিয়ে শপিং করতে। তাই তারা তাদের কসমেটিকস এর কেনা কাটা টা অনলাইন থেকে অর্ডার দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আপনি ই-কমার্স বিজনেস করবেন কিন্তু আপনার  ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকবে না ব্যপারটা শুনলে যে কেও হাসবে। ছোট বেলায় নিশ্চয়ই আপনি  “Aim in life” কম্পোজিশন টা পড়েছেন। সেখানে লেখা ছিলো একটা বৈঠাহীন নৌকা যেমন চলতে পারে না ঠিক তেমন একজন লক্ষ্যহীন মানুষ তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে না। ঠিক এরকমই একজন ই-কমার্স বিজনেস ম্যান ই-কমার্স ওয়েবসাইট ছাড়া সফল হওয়া দূরহ ব্যাপার। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি কারনে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর গুরুত্ব অনেক। 

আবার, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা যেহেতু করোনা মহামারীর এই সময় টা তে বাইরের শপিং মলগুলো থেকে তাদের পছন্দ অনুযায়ী কসমেটিকস কিনতে পারছে না তাই তারা অনলাইন থেকে তাদের পছন্দের প্রোডাক্টগুলো বেঁছে বেঁছে ক্রয় করছে। সার্বিক বিবেচনায় ছেলেদের থেকে মেয়েরা অধিক নির্ভরশীল অনলাইন থেকে কসমেটিকস কেনায়। তবে তারা কিন্তু সব কসমেটিকস সেলারদের থেকে প্রোডাক্ট ক্রয় করে না। একজন বিশ্বস্ত সেলারের কাছ থেকেই তারা কেবল তাদের পছন্দসই কসমেটিকস ক্রয় করে। কিভাবে আপনি কাস্টমার এর কাছে ট্রাস্টেড সেলার হবেন তা নিচে আলোচনা করা হবে। 

ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর প্রয়োজনীয়তাঃ

আমার তো কসমেটিকস বিজনেস টা ছোট, তাহলে আমার কি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর দরকার আছে? এই প্রশ্ন টা যে বিজনেস ম্যান করে থাকে সে আসলে বোকার স্বর্গে বাস করে। আচ্ছা আপনার কি ইচ্ছে নাই বিজনেস টা কে বড় করার?আপনি কি চান না আপনার কসমেটিকস  টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে পৌঁছে যাক? আপনার বিজনেস টা অনেক দিন লাস্টিং করুক? মানুষ শখের বশে পরিকল্পনা, ওয়েবসাইট বিহীন যখন একটা ব্যবসা গড়ে তোলে তখন সেটা কখনোই বেশি দিন টিকে না।

দুই বন্ধুর গল্প শোনাই। কাছের দুই বন্ধু একসাথে বিজনেস শুরু করলো। বিজনেস এর পরিকল্পনা টা তাদের এক সাথেই নেওয়া, এমনকি বিজনেস টাও দু’জনের একই। কয়েক বছর পর যখন দুই বন্ধুর দেখা হলো তখন প্রথম বন্ধু বললো, “জানিস, আমার বিজনেসে আল্লাহর রহমতে কাল ২৫ নাম্বার কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছি।” এই কথা শুনে দ্বিতীয় বন্ধুর মুখ কালো হয়ে গেলো। তখন দ্বিতীয় বন্ধু বললো, ” আর আমি গত বছর আমার বিজনেস টা কে দেউলিয়া ঘোষণা করেছি।” এটা কিন্তু গল্প আকারে বললেও মোটেও গল্প নয়, বাস্তব উদাহরণ। গল্প হলেও সত্যি! প্রথম বন্ধুর কাছে দ্বিতীয় বন্ধু তার সাফল্যের গল্প শুনতে চাইলে সে বলে, ” আমার বিজনেস টা ছোট হলেও আমি প্রথমেই আমার বিজনেস এর জন্য একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নেই একটি ভালো এজেন্সির কাছ থেকে। এর ফলে আমার কাছে অনলাইন থেকে বহু কাস্টমার আসতে থাকে। আমি একা সামলাতে না পেরে কর্মচারীদের নিয়োগ দিতে থাকি। আর মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এখন আমি একজন সফল ব্যবসায়ী। ”  দ্বিতীয় বন্ধু তখন ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরে আক্ষেপে ফেঁটে পরে। 

আপনি চাইলে আজই রেডিমেড ই-কমার্স ওয়েব সাইট নিয়ে আপনার ই-কমার্স বিজনেস কাজ শুরু করতে পারেন 

রেডি ই-কমার্স

ব্র‍্যান্ড আইডেন্টিটিঃ

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোট খাটো অনেক ব্যবসা গড়ে উঠেছে কিন্তু কয় জন দীর্ঘস্থায়ী করতে পেরেছে নিজের ব্যবসা কে? সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কয় জনই বা পেরেছে নিজের বিজনেস এর ব্র‍্যান্ড আইডেন্টিটি গড়ে তুলতে? নেট জগতের এই বিশালতার ভিরে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনি কখনোই পারবেন না আপনার কসমেটিকস এর বিজনেস টা কে একটা ব্র‍্যান্ড হিসেবে পরিচয় দিতে। এই জন্য আপনার অবশ্যই দরকার হবে একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর। দেখুন, যারা এখন টপ লেভেলের ই-কমার্স বিজনেস ম্যান তাদের সবারই কিন্তু ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে। আমাজন, আলিবাবাসহ বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান অনলাইন শপিং মল দারাজের ও কিন্তু রয়েছে ই-কমার্স ওয়েবসাইট। তারা তাদের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে তাদের বিজনেস এর ব্র‍্যান্ড আইডেন্টিটি গড়ে তুলেছে সবার কাছে। তাদের ও কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় পেইজ রয়েছে কিন্তু সেটা জাস্ট প্রোমোশনের আরেকটি মাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়া কখনো ব্র‍্যান্ড তৈরি করে না, হয়তো ব্র‍্যান্ড তৈরি তে সহায়তা করতে পারে। তাই আপনার উচিৎ প্রথমেই একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নেওয়া নিজের কসমেটিকস বিজনেস এর ব্র‍্যান্ডিং করার জন্য। 

বিশ্বস্ততা অর্জনঃ

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায়  যেহেতু অনেক মানুষ ই-কমার্স বিজনেস খুলে বসেছে, তাই এখানে প্রতারক চক্র মানুষ কে ঠকানোর জন্য ওত পেতে আছে৷ এখন কয়েকটা ক্লিকের মাধ্যমেই একটি ফেসবুক পেইজ খোলা যায়। আর ফেসবুক পেইজ খোলার মাধ্যমেই অনেকে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কথায় আছে সস্তার চার অবস্থা। এখানেও ঠিক তাই। প্রতারক চক্র খুব সহজেই ফেসবুক পেইজ খুলে ভালো ই-কমার্স বিজনেসগুলোর নামে খারাপ প্রোডাক্ট দিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের বদনাম করছে। কিংবা কিছু অসাধু লোক ফেসবুক পেইজ এ একরকম পণ্য দেখিয়ে অন্য রকম প্রোডাক্ট সেল করে কিছু দিন পর গায়েব হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত কারণে এখন কেও আর শুধু মাত্র ফেসবুক পেইজ থাকলেই সেই অনলাইন শপ থেকে প্রোডাক্ট কিনতে চায় না। কারণ শুধুমাত্র একটা ফেসবুক গ্রুপ কিংবা পেইজ কখনোই একটা মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। এই জন্য দরকার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট। একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটই পারে কাস্টমারদের মনে বিশ্বাস স্থাপন করতে। উপরে বলেছিলাম কিভাবে ট্রাস্টেড সেলার হওয়া যায় সেটা পরে আলোচনা করবো। হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন। একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ট্রাস্টেড সেলার হওয়া যায় এবং কাস্টমারদের বিশ্বাস অর্জন করা যায়। তাই আজই একটা ভালো এজেন্সি থেকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নিন। 

প্রোডাক্ট ডিসপ্লে করার সুযোগঃ

ফেসবুক পেইজ কিংবা গ্রুপের মাধ্যমে আপনি যদি বিজনেস করতে চান তাহলে আপনার কসমেটিকস শপের বিভিন্ন ক্যাটাগরির কসমেটিকস প্রতিনিয়ত পোস্ট করতে হবে। কোনো প্রোডাক্ট যদি অনেক নিচে চলে যায় তাহলে সেটা কাস্টমারদের নাগালের বাইরে চলে যাবে, ফলে কাস্টমার কাংখিত প্রোডাক্ট টি খুঁজে পাবে না এবং সেই প্রোডাক্ট সেল হওয়ার সম্ভাবনা ও কম। ফেসবুকে প্রোডাক্টগুলো আপলোড করার পর আবার ইনবক্সে নিয়ে এসে আপনার কাস্টমারদের প্রাইজ বলা লাগছে যে টা সতিই ক্লান্তিকর। আর কাস্টমারদের জন্য ও এটা খুবই বিরক্তিকর। অনেক মানুষ কে একসাথে হ্যান্ডেল করাও অনেক টাফ। কিন্তু আপনার যদি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি আপনার কসমেটিকস এর বিভিন্ন ভ্যারাইটির প্রোডাক্টগুলো ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ক্যাটাগরি এবং সাব – ক্যাটাগরিতে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখতে পারবেন। এতে কোনো কাস্টমার আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করে কসমেটিকস এর বিস্তারিত তথ্য এবং দাম জানতে পারবে। এবং খুব সহজেই সে তার কাংখিত প্রোডাক্ট টি ও পেয়ে যাবে। এতে করে কাস্টমার টি একটি সুন্দর অনলাইন শপিং অভিজ্ঞতা লাভ করবে৷ 

পেমেন্ট গেটওয়েঃ

বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে যে বিজনেসগুলো হয় সেখানে একজন কাস্টমার আগে টাকা পেমেন্ট করতে অনেক ভয় পায়। কারণ তারা ভাবে যে সত্যিই তারা প্রোডাক্ট টি পাবে কিনা। যদি প্রতারক চক্র হয় তাহলে পুরো টাকা টা-ই জলে গেলো। আবার যদি অনেকে প্রি পেমেন্ট করেও তবে সেটা নিতে হয় ম্যানুয়ালি। ক্যাশ অন ডেলিভারি কিংবা কিছু মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পেমেন্ট করা ছাড়া অন্য কোন মাধ্যম থাকে না। যার জন্য অনেকের মনেই সন্দেহ থেকে যায় প্রোডাক্ট টি তারা আদৌ হাতে পাবে কি না। কিন্তু ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে লেনদেন অনেক নিরাপদ। এখানে পেমেন্ট ম্যানুয়ালি না নিয়ে অটোমেটিক্যালি নেওয়া হয়। এখানে শুধু মোবাইল ব্যাংকিং না। মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ডের মাধ্যমে ও পেমেন্ট করতে পারবেন। তাই সর্বস্তরের মানুষ ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্ট কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। 

অটোমেটেড বিজনেসঃ 

ধরুন আপনার কাছের একজন বন্ধু ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুলে বিজনেস করছে,যেখা  নে সব কিছুই অটোমেটেড। এদিকে আপনি ম্যানুয়ালি ফেসবুক পেইজ কিংবা গ্রুপের মাধ্যমে তার সাথে কি পাল্লা দিতে পারবেন?  কখনোই না। ব্যবসার ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি কাজ করাটাই অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। একটি ওয়েবসাইট থেকে কাস্টমারের প্রোডাক্ট দেখা, পেমেন্ট করা সবকিছুই অটোমেটেড। তাই এখানে লক্ষ লক্ষ কাস্টমার হ্যান্ডেল করাও আপনার বা হাতের কাজ। তাহলে বুঝতেই পারছেন ই-কমার্স বিজনেস এর ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট কতটা গুরুত্বপূর্ণ। 

পরিশেষেঃ

সাধারণ একটি ওয়েবসাইট এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর ভেতর যথেষ্ট তফাৎ রয়েছে। তাই যার তার কাছ থেকে একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে নিলেন আর কসমেটিকস এর ব্যবসায় সফলতা পেয়ে গেলেন ব্যাপার টা কিন্তু মোটেও এমন না। আপনার কাছের কোনো ভাই ওয়েবসাইট বানাতে পারে তার কাছ থেকে ওয়েবসাইট বানিয়ে নিলেন কিন্তু কয়েক দিন পর কাস্টমার না পেয়ে হতাশায় ভুগলেন, বেপার টা ঠিক এমনই হবে। যেনো তেনো ওয়েবসাইট বানিয়ে বিজনেস এ সফলতা যদি পাওয়াই যেতো তাহলে আমাজন, আলিবাবা, দারাজ লাখ লাখ টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট বানাতো না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদিও আপনাকে একটি ওয়েবসাইট এর জন্য লাখ টাকা খরচ করতে হবে না, আবার ফ্রি তে স্ট্যান্ডার্ড ওয়েবসাইট কখনই পাবেন না। তাই আপনার উচিৎ ভালো একটা এজেন্সি থেকে সুন্দর, প্রিমিয়াম কোয়ালিটির একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে নেওয়া। আপনি আজই ইয়াপ্পোবিডি ওয়েবসাইট এর সাথে যোগাযোগ করে বানিয়ে নিতে পারেন সুলভ মূল্যে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট, সাথে রয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ এর সুব্যবস্থা। তাই দেরি না করে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। 

 

Facebook Comment