You are currently viewing বিক্রয় বাড়াতে ফেসবুক এ্যাড এর ভূমিকা 

বিক্রয় বাড়াতে ফেসবুক এ্যাড এর ভূমিকা 

ফেসবুক কি? 4G এর দুনিয়ায় এখন শহর পাড়ি দিয়ে গ্রামে-গঞ্জে সবার হাতেই রয়েছে স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ। আর নেটওয়ার্কের উপর নির্ভরশীল এই যুব সমাজের কাছে অনলাইন কেনাকাটা যেনো এক চিরচেনা মাধ্যম। ধরে নিন আপনার একটি দোকান আছে। দোকান টা শহরের বা গ্রামের এমন এক পজিশনে আছে যেখানে ক্রেতার ভীড় নাই বললেই চলে। দোকানের পজিশন খারাপ হওয়ার জন্য আপনার দোকানে ক্রেতা যেতেই চায়না। এমনকি আপনি ইচ্ছে করলেও দোকান টা কে স্থানান্তর করতে পারছেন না। আপনার দোকানের প্রোডাক্ট এর মান ভালো এবং দাম ও তুলনামূলক কম, তবুও ভালো সেল হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি তে আপনার ব্যাবসায় যেনো লাল বাতি। আপনি মাথায় হাত দিয়ে হয়তো ভাবছেন ” ইশ, আমিও যদি পারতাম আমার প্রোডাক্টস সবার কাছে পৌঁছে দিতে”। চিন্তার কোন কারণ নেই, সার্বিক সহায়তা এবং দিক নির্দেশনা নিয়ে yappobd টিম সর্বদা আছে আপনার পাশে। সঠিক দিক নির্দেশনা পেতে আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ব্যবসা-বানিজ্য আর আগের মত নেই। দোকান যেখানেই হোক না কেনো আপনার প্রোডাক্ট সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এমনকি আপনার যদি দোকান না ও থাকে তাও অনলাইন ভিত্তিক বিজনেস আপনি করতে পারবেন। তাই প্রথমেই যে দিকনির্দেশনা থাকবে তা হলো আপনার এ্যানালগ দোকান টা কে ডিজিটাল মার্কেট এ কনভার্ট করে ফেলুন। অর্থাৎ আপনি আপনার দোকানের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন। অনলাইন মার্কেট প্লেস শুরু তৈরি করলেই হবে না, এর সাথে দরকার ফেইসবুকের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন। মানুষ এখন অনলাইন এর উপর বেশি নির্ভরশীল। বিশেষ করে, করোনার প্রাদুর্ভাবে মানুষ নিরুপায় হয়ে ঘর বন্দী হয়ে আছে। তাই এই সময় টা তে যেনো অনলাইন ব্যবসা বানিজ্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় তাই যেন অনলাইন ব্যবসার হিড়িক লেগে গেছে। তো আপনি-ই বা পিছিয়ে থাকবেন কেনো? সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট এর মাধ্যমে জানা গেছে, বাংলাদেশের ৫ লাখের ও বেশি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও নতুন উদ্যোগতা তাদের ব্যবসার বিক্রয় বাড়ানোর জন্য ফেসবুক এ্যাড কে ব্যবহার করছে। হ্যাশট্যাগ এর দুনিয়া তে মানুষ এখন একটা এ্যাড, ভিডিও কিংবা একটা পোস্ট এর মাধ্যমেই রাতারাতি সফল হচ্ছে। 

ফেসবুক এ্যাডবিক্রয় বাড়াতে ফেসবুক এ্যাড: 

বাস্তব কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক। করোনার এই সময় টা তে যাদের আগে ফেইসবুক আইডি ছিলো না, তারাও এখন টাইম পাসের জন্য কিংবা বন্ধু-বান্ধব এর সাথে ভালো টাইম কাটানোর জন্য ফেইসবুক আইডি খুলছে। এবং এখন যেহেতু লকডাউন দিচ্ছে প্রতিনিয়ত তাই কেও বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করতে পারছে না। তাই এখন সবাই ফেসবুক এ্যাড কিংবা ফেইসবুকে প্রোডাক্ট এর লাইভ দেখেই পছন্দসই পন্য টি ক্রয় করছে। গত ঈদের ড্রেস টি ও আমার ফ্রেন্ড সার্কেল এর সবাই অনলাইন থেকে ম্যাচিং করে কিনেছি। আবার যেহেতু ঈদের পরে বিয়ের হিড়িক লেগে যায় অথবা বলা যায় করোনার প্রাক্কালে সব তরুণ তরুণীরা বিয়ে করে নিচ্ছে। কিন্তু এই সময় টা তে তাদের বিয়ের কেনা-কাটা শপিং মলে গিয়ে ঘুরে ঘুরে কেনা সম্ভব নয়। তাই তারা যে অনলাইন মার্কেট এর পাবলিসিটি বেশি তার কাছ থেকেই হলুদ সন্ধ্যার ম্যাচিং শাড়ি, পাঞ্জাবি ইত্যাদি ক্রয় করছে। তাই সবার আগে আপনার উচিত হবে ফেসবুক এ্যাড এর মাধ্যমে আপনার বিজনেস টা কে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং পাবলিসিটি বাড়ানো।  আপনার মার্কেট এর বিজ্ঞাপন যত ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারবেন তত আপনার বিক্রি বাড়বে। সম্প্রতি ট্রেন্ডিং এর শীর্ষে ছিলো কাকলি ফার্নিচার। যদিও ইয়াং জেনারেশন “কাকলি ফার্নিচার” নিয়ে করা এ্যাড টা কে মজার ব্যাপার হিসেবে নিয়েছে।  কিন্তু ভাইরাল এই নেট দুনিয়ায় কে না এখন “কাকলি ফার্নিচার” শপটা কে চিনে না। এ্যাড টা ভাইরাল হওয়ার পর কেও কেও তো ইউটিউবে ও সার্চ করে ডিটেইলস টা দেখে নিয়েছে ফার্নিচার কেনার জন্য।  কারণ তাদের মূলকথা ছিলো “দামে কম মানে ভালো “। আর কে-ই বা চাইবে সুযোগ কে হাত ছাড়া করতে। আমার মতে এ্যাড টা ভাইরাল হওয়ার পরে দোকানটির পাবলিসিটি বেড়েছে এবং সাথে সেল ও বেড়েছে। তাই আপনার প্রোডাক্টের বিক্রয় বাড়াতে ফেইসবুক এ্যাড এর ভূমিকা অপরিসীম। 

ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দিলেই যে আপনার ব্যাবসা রাতারাতি সফল হয়ে যাবে তা কিন্তু নয়। ফেসবুক পেজ বুস্ট করার নিয়ম জানা জরুরী। অনেকেরই সেম অবজেকশন, ফেসবুকে এ্যাড  দিচ্ছি, বুস্ট করছি তাও কেনো সেল ভালো হয় না? ফেসবুকে এ্যাড দেওয়ার সময় আপনার কিছু টেকনিক অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে। অনেকেই ফেইসবুক এ বিজ্ঞাপন দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু কমন কিছু মিসটেক এর জন্য তার ভালো সেল হচ্ছে  না। ফেইসবুকে এ্যাড দেওয়ার সময় যে যে বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা নিছে আলোচনা করা হলো। 

টার্গেটেড কাস্টমারঃ 

আপনি ফেসবুকে এ্যাড দিয়ে নিজের ব্যাবসার পাবলিসিটি এবং বিক্রয় বাড়াতে চাচ্ছেন তাহলে আপনার অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে আপনার টার্গেটেড কাস্টমার কারা। আপনার যদি একটি বিউটি স, থ্রি পিচ, শাড়ি, লেহেঙ্গা এর অনলাইন শপ থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার টার্গেটেড কাস্টমার হবে তরুণী এবং মহিলারা। আবার আপনার যদি টেক রিলেটেড অনলাইন শপ থাকে তাহলে টার্গেটেড কাস্টমার হবে অবশ্যই ছেলেরা কারণ ছেলেরা এই সব বিষয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে থাকে। এবং এ ক্ষেত্রে আপনার উচিৎ হবে এমন ভাবে ফেইসবুকে এ্যাড বানানো যাতে আপনার অনলাইন শপ এর প্রেজেন্টেশন দেখেই তরুণ তরুণীরা  টি কিনতে আগ্রহী হয়। মেয়েদের কে নান্দনিকতা অনেক বেশি আকৃষ্ট করে। মুলত আপনি আপনার টার্গেটেড কাস্টমার নির্ধারণ করুন এবং সে অনুযায়ী আপনার ফেসবুক এ্যাড তৈরি করুন। বেশিরভাগ মানুষ তাদের কাস্টমার কে?, এটা বুঝতে ভুল করে যার ফলে তাদের মূল্যবান সময়, শ্রম ও অর্থের অপচয় হয়। 

এ্যাড বিড এবং বাজেটঃ 

ফেসবুক এ্যাড এর ক্ষেত্রে বাজেট এবং বিড একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অর্থাৎ এর উপর-ই ডিপেন্ড করে ফেসবুক আপনার  এর এ্যাড শো করবে। আপনার বাজেট যদি আপনার কম্পিটিটর এর থেকে কম হয় তাহলে দেখা যাবে আপনার এ্যাড ফেসবুক পরিমানে কম দেখাচ্ছে। আপনার কাস্টমার এর কাছে রিচ বাড়াতে এ্যাড বিড একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফেসবুক কে ডেইলি পেমেন্ট অথবা লাইফটাইম পেমেন্ট এর মাধ্যমে আপনার বিজনেস এর এ্যাড সবার কাছে পৌঁছাতে পারেন। কাস্টমার দের কাছে রিচ যত বাড়বে আপনার বিক্রয় ও তত বাড়বে। 

ফেসবুক অ্যাডভারটাইজিং সার্ভিস

ফেসবুক এ্যাড এর  মাধ্যমে সহজেই প্রচার করা যায়ঃ 

বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি ও বেশি। আর যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের ৮০% লোকের ফেসবুক আছে। আর যারা ফেসবুক ব্যবহার করে তাদের ভেতর ৮০-৯০% মানুষ-ই তরুণ তরুণী। তারাই মুলত অনলাইন থেকে পণ্য সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনের অধিকারী। তাই বোঝাই যাচ্ছে যে যত ভালো ফেইসবুক এ বিজ্ঞাপন দিবে সে তত  তরুণ তরুণীদের কাছে পৌঁছাতে পারবে, বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। ফেসবুকে এ্যাড দেওয়ার মাধ্যমে সহজেই আপনি কোটি কোটি তরুণ তরুণীদের কাছে আপনার  পৌঁছে দিতে পারলেন। কিন্তু অনলাইন মার্কেট প্লেস ছাড়া কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছানো কখনোই সম্ভব নয়। তাই ফেসবুক এ্যাড এর মাধ্যমে আপনার বিজনেস এর প্রোডাক্ট এর প্রচার প্রচারণা হয়ে গেছে এখন আরও সহজ।

টার্গেটেড এরিয়াঃ 

ফেইসবুক এ্যাড এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেস টি কে ছড়িয়ে দিতে পারবেন বাংলাদেশের সব জায়গাতে। কোনো কাস্টমার আপনার টি কেনার জন্য পেমেন্ট করলে আপনি কুরিয়ার এর মাধ্যমে আপনার কাস্টমার কে টি ডেলিভারি দিবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার এরিয়ার আশে-পাশের কাস্টমার দের কে টার্গেট করতে পারেন অথবা নির্দিষ্ট কোন অঞ্চল কে টার্গেট করতে পারেন। যাতে আপনার পন্য টি বিক্রি করতে এবং সঠিক ভাবে ডেলিভারি দিতে আরও বেশি সুবিধা হয়। 

এর গুণগত মান ও প্রাসঙ্গিকতাঃ 

প্রতিযোগিতাময় এই সময়ে টিকে থাকতে হলে আপনাকে আপনার  এর গুণগত মানের দিকে নজর দিতে হবে। আপনার গুলোর মান ভালো হলে সবাই আপনাকে খুজবে। যেমনঃ আ্যাপেল কোম্পানি এর ফোন, ল্যাপটপ ঘড়ি, আই-পড ইত্যাদি জিনিস বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক এক্সপেন্সিভ, বলা চলে আপনার একটা কিডনির সমান দাম😆। তবুও বাংলাদেশের ইয়াং জেনারেশন কিডনি বেচে হলেও আই-ফোন কিনতে চায়। এর পেছনে কারণ কি? কারণ হলো আই-ফোন এর স্ট্যান্ডার্ড সবচেয়ে ভালো। এর ফিচারস অন্য সব ফোন থেকে একদম আলাদা। তাই দাম বেশি হলেও সবাই ভালো জিনিস টা ক্রয় করতেই বেশি আগ্রহী। ধরুন আপনি একটি  বিক্রয় করলেন কিন্তু আপনার প্রোডাক্টের মান ভালো না। তাহলে আপনার কাস্টমার স্যাটিসফাইড হবে না এবং পরবর্তীতে আর আপনার থেকে কখনোই প্রোডাক্ট কিনবে না। অপরদিকে আপনার প্রোডাক্টের মান যদি ভালো হয় তাহলে কাস্টমার  টি কিনে স্যাটিসফাইড থাকবে এবং তার ফ্রেন্ড সার্কেলকে ও আপনার থেকে  কিনতে উৎসাহিত করবে। এতে করে আপনার পাবলিসিটি এবং বিক্রয় বাড়বে। সবসময় প্রোডাক্ট এর মান ভালো রাখার চেষ্টা করুন। মানুষ চায় দাম একটু বেশি হলেও ভালো মানের পন্য টি ক্রয় করতে। কাস্টমার দের  সাথে সব সময় ভালো ব্যবহার করুন। পুরাতন কাস্টমার দের কে সবসময় হাতে রাখুন। কারণ একটা আস্থা তৈরি হলে তারা আপনার থেকে রেগুলার প্রোডাক্ট নিবে। 

পরিশেষেঃ

আর্টিকেল টা পড়ে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য ফেসবুক এ্যাড কতটা কার্যকরী। তাই আজই আপনি ও বানিয়ে ফেলুন আপনার মার্কেট এর ফেসবুক এ্যাড। 

এখন আপনি যদি আপনার অনলাইন বিজনেস এর বিজ্ঞাপন তৈরি করে কাস্টমার দের কাছে পৌঁছাতে চান এবং কিভাবে আপনি ফেসবুক এ্যাড তৈরি করবেন এই নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে সমাধান আপনি এখনই পেয়ে যাবেন। আপনার বিজনেস এর বিক্রয় বাড়ানো ফেসবুক এ্যাড তৈরি, কাস্টমারদের কাছে রিচ বাড়ানো, বুস্টিং ইত্যাদি বিষয়ের দায়িত্ব নিচ্ছে yappobd.com । এমন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হাত ছাড়া না করতে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

Facebook Comment