You are currently viewing ও‌য়েব ডেভেলপমেন্ট এর বর্তমান ও ভ‌বিষ্যৎ চা‌হিদা

ও‌য়েব ডেভেলপমেন্ট এর বর্তমান ও ভ‌বিষ্যৎ চা‌হিদা

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আয়ের যে সকল পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে কিছু কিছু সেক্টর বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টর! এই সেক্টরটির বর্তমান চাহিদাই প্রমাণ করছে এর ফিউচার কেমন হবে! বর্তমানে প্রায় সকল অফলাইন বিজনেস কোম্পানিগুলো ডিজিটাইলেজশন এর জন্য ওয়েবসাইট তৈরিকে বিশেষ গুরত্বের সাথে বিবেচনা করছে। যার দরুন সৃষ্টি হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ব্যাপক চাহিদা।

একজন নতুন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে বর্তমানে আপনার চাহিদা কতটুকু? এই চাহিদা ভবিষ্যতে কতটুকু বহাল থাকবে? এমন সব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের এই ও‌য়েব ডেভেলপমেন্ট এর বর্তমান ও ভ‌বিষ্যৎ চা‌হিদা সম্পর্কিত আর্টিকেল। আশা করি এই আর্টিকেলটি আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে পুরোপুরি সাহায্য করতে সক্ষম হবে।

 

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কিওয়েব ডেভেলপমেন্ট

PHP, ASP, Python, Perl, Ruby ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষার সাহায্যে একটি ওয়েবসাইটকে সাজানোই হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। পাশাপাশি এই ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজে ডাটাবেইজ হিসেবে MySQL, MS SQL, PostgreSQL ইত্যাদি ব্যবহার করতে হয় বলে এসব ভাষাও শিখতে হয়। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে যেকেউ প্রবেশ করতে পারে।

তবে কম্পিউটার সায়েন্স বা এর সাথে সম্পর্কিত বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পড়ালেখা করা ব্যাক্তিরা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন লেসন খুব দ্রুত ক্যাচ করতে পারে। নিজে নিজে প্রোগ্রামিং শেখাটা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার বলে একজন ওয়েব ডেভেলপারকে কেনো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত কোর্স করে নিতে হয়। এতে করে একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হয়ে নিজেকে সবার সামনে আনা যায়।

 

ও‌য়েব ডেভেলপমেন্ট এর বর্তমান চাহিদা কেমন?

আমরা প্রায় প্রতিদিনই মোবাইল অথবা কম্পিউটারে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে থাকি। আমাদের চারপাশে সবখানেই প্রযুক্তির ছড়াছড়ির পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ছড়াছড়ি সাথে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজিংয়ের প্রবণতা। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে থাকি। যা ওয়েবসাইট বৃদ্ধির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। আর এই ওয়েবসাইটের বাড়তি চাহিদাই প্রমাণ করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের বাড়তি চাহিদা।

যেকোনো সাধারন মানুষের কাছেই যেহেতু ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জগতটাকে অনেকটা কঠিন মনে হয় সেহেতু যেকেউ চাইলেই কোনো ওয়েবসাইট তৈরি কিংবা কোনো ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করে ফেলতে পারে না। এক্ষেত্রে আবার প্রয়োজনীয়তারও একটি বিষয় আছে। প্রয়োজনের তাগিদে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করতেই হবে। এমন পরিস্থিতিতে একজন সাধারণ মানুষ ওয়েব ডেভেলপারের শরণাপন্ন হয়।

উপরে সাধারণ মানুষের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত অপারগতা হলো বর্তমান ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের প্রচুর চাহিদার অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ। আবার ওয়েবসাইট গুলো যারা ডেভেলপ করে থাকে তারা রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করে শেষে একটি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের কাজ সম্পন্ন করে। এতে কঠোর পরিশ্রমের দরকার পড়ে। ফলে অনেকেই কঠিন কাজ ভেবে এই পথে আর আগায় না। ফলে বাড়ে ওয়েব ডেভেলপারের চাহিদা।ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন আইটি কোম্পানির পরিমাণ বেড়ে গেছে৷ যার ফলে সেসব কোম্পানিতে প্রযোজন পড়ছে একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপারের। যে কিনা অতি দক্ষতার সাথে কোম্পানির সকল ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ সম্পন্ন করবে এবং বিনিময়ে একটি এমাউন্ট সে পাবে। যা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

অনলাইনে ও অফলাইনে প্রচুর পরিমানে ডিমান্ড রয়েছে এই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের। কেননা আজকাল সকলেই অনলাইন বিজনেস করছে এবং তা কিভাবে প্রফেশনালি করে বাড়তি সেল জেনারেট করা যায় সে উপায় খুঁজছে। এক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন অপরিসীম। একজন ওয়েব ডেভেলপার এই প্রয়োজনীয়তার উদ্দেশ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলোতে কি পরিমানে তার ডিমান্ড রয়েছে তা তো আমরা বুঝতেই পারছি! এটি আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মার্কেটপ্লেসগুলিতে প্রবেশ করলেই বোঝা যায় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের জন্য একজন ডেভেলপারের চাহিদা কতটুকু। এতেই প্রমাণিত হয় বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা কেমন!

বাইরের বিভিন্ন দেশের মতো বর্তমানে আমাদের দেশেও ওয়েবসাইটের চাহিদা হু হু করে বাড়ছে। ফ্যাশন হোক কিংবা প্রফেশনাল লুক আনার জন্য হোক…প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই চায় তাদের নিজেদের একটি ওয়েবসাইট থাকুক। ফলে তারা একজন ওয়েব ডেভেলপার হায়ার করে থাকে। যিনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করে একটি ওয়েবসাইটকে সঠিকভাবে বিল্ড আপ করে৷

আমরা অনেকেই Theme Forest এর বিভিন্ন থিম সম্পর্কে মোটামুটি জানি। তারা বিভিন্ন থিম সেল করে ইনকাম জেনারেট করে থাকে। আজকাল আমরা শটকার্ট ওয়েতে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রেডিমেড থিম ব্যবহার করে থাকি। আচ্ছা, আপনি কি জানেন এসব থিম কারা তৈরি করে? এসব থিম একজন ওয়েব ডেভেলপার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের সাহায্যে তৈরি করে থাকে এবং পরবর্তীতে তা Theme Forest ওয়েবসাইটে বা থিম মার্কেটপ্লেসে পাবলিশ করে। আমাদের এই রেডিমেড থিমের পেছনে দৌঁড়ানোটাও প্রমাণ করে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা বর্তমানে কতটুকু বেড়েছে।

শুধু তাই নয়! আপনি যদি নিজেকে একজন ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলেপমেন্ট সম্পর্কে এক্সপার্ট হিসেবে তৈরি করে তুলতে পারেন তবে আপনার কাজের অভাব হবে না। কেননা আজকাল অনেকে রেডিমেড ওয়েবসাইট কিনতে চায়। চাইলে আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ওয়েব ডিজাইনিং করে নানানরকমের এবং নানান ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট তৈরি করে তা সেল করতে পারেন। প্রাইজিংয়ের ক্ষেত্রে আপনি ডোমেইন এবং হোস্টিংসহ নিজের শ্রম বিবেচনা করে তবে প্রাইজিং সিলেক্ট করতে পারেন। দেখবেন ধুমচে আপনার ওয়েবসাইট সেল হচ্ছে! এর কারণ কি? এর কারণ হলো বর্তমানে রেডিমেড ওয়েবসাইটের বাড়তি চাহিদা! যা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম উদাহরণ!

 

ও‌য়েব ডেভেলপমেন্ট এর ভবিষ্যৎ চা‌হিদা কেমন?

ও‌য়েব ডেভেলপমেন্ট এর ভবিষ্যৎ চা‌হিদা সম্পর্কে জানার আগে আমরা এই সেক্টরে নিজদের ক্যারিয়ার ফোকাস করবো কিনা সেটা ঠিক করে নিবো। তবে একথা ঠিক যে ওয়েব ডিজাইন দিয়ে অনলাইন ক্যারিয়ার শুরু করার অন্যতম প্রধান কারন হিসেবে আমরা এর ফিউচার চাহিদার দিকে ফোকাস করতে পারি। যেহেতু এই ডিজিটাল সময়ে প্রতি ১ মিনিটে প্রায় ৫৭১ টি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে সেহেতু ভবিষ্যতে এর পরিমাণ আরো বাড়তে পারে। কেননা প্রতিটি কোম্পানি বাড়তি সুবিধা পেতে চাইলে একটির অধিক ওয়েবসাইট তৈরির দিকে ফোকাস করবে। ফলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা বেড়ে যাবে।

আপনি জানেন কি বর্তমানে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা ওয়েব প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কাজে বেশ দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। একটা সময় গিয়ে এই দক্ষ জনগোষ্ঠীর পরিমাণ বেড়ে গেলে দেখা যাবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ক্লায়েন্টরাও কেবল বাংলাদেশী ওয়েব ডেভেলপারদের খুঁজছে। এতে করে যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা বাড়বে তেমনই বাড়বে ওয়েব ডেভেলপারের চাহিদা।

এছাড়াও আশার ব্যাপার হলো নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরির তুলনায় নতুন নতুন ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলপারের সংখ্যা কিন্তু বাড়ছে না। ফলে ওয়েব ডেভেলপার সংকটে পড়ছে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ। সুতরাং আপনি যদি এখনই সময় নিয়ে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখে নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের ম্যাক্সিমাম কাজই পড়বে আপনার ভাগ্যে। ফলে ইনকামটাও থাকবে আপনার দখলে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স

বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে তরুণদের কাছে সবচেয়ে সহজ উপায়ে আর্ন করার জন্য পারফেক্ট প্লেস হলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এবং পারফেক্ট কাজ হলো ফ্রিল্যান্সিং। আর এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বেশ জনপ্রিয়। প্রায় সকলেই এইদিকেই ঝুঁকছে। কেননা এর ফিউচার যেমন ব্রাইট তেমন এর বর্তমান চাহিদাও কোনো অংশেই কম নয়।

ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়ীক উদ্দ্যেশ্যে ইন্টারনেটের উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীলতা সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো ওয়েবসাইটের আধিক্য! এই ওয়েবসাইট তৈরিতে বাড়ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের এবং দক্ষ ওয়েব ডেভেলপারের চাহিদা। আপনিও চাইলে এই বাড়তি চাহিদার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভালো পরিমাণের একটি এমাউন্ট মান্থলি জেনারেট করতে পারেন। আজই প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা থেকে শুরু করে তাতে পরিপূর্ণ দক্ষ হয়ে উঠার চ্যালোঞ্জে নেমে পড়ুন। সুদিন আসবেই।

Facebook Comment