ই-কমার্স বর্তমান সময়ে সবচেয়ে পরিচিত একটি নাম। নামটি শুনলেই আমরা বুঝে নেই যে, অনলাইনে পণ্য কেনা-বেচা করার নাম ই-কমার্স। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়ন আর সাবলম্বী হওয়ার সহজ একটি মাধ্যম এই ই-কমার্স। কিন্তু, বর্তমান সময়ে অনলাইনের এই প্লাটফর্মে ই-কমার্সের কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার ফলে গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আর তাই এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর গোটা খাত টি এখন ভুগছে আস্থার সংকটে। অল্প সময়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া এই ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ গ্রাহক ও মার্চেন্টদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। প্রথম দিকে অভিযুক্ত ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে ‘অস্বাভাবিক’ সব অফার দেয়। এরপর দেখা যায়, অগ্রিম অর্থ নিলেও প্রতিশ্রুতি মোতাবেক তারা সময়মত পণ্য সরবরাহ করছে না।
ভোক্তাদের অভিযোগ, পণ্যের টাকা পরিশোধ করা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে তারা পণ্য পাচ্ছেন না। কিন্তু অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য সরবরাহকারী বা মার্চেন্টরা বলছেন, দিনের পর দিন তাদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করা হচ্ছে না। আর ঠিক এভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে এ অর্থ আটকে থাকছে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। কয়েক মাস পর “পণ্য স্টকে নেই” বলে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রাহক বা মার্চেন্টদের সাথে কোন যোগাযোগই রাখছে না ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো (e-commerce website)। এই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর খুব অল্প সময়ে লাখ লাখ গ্রাহকের সংখ্যা বৃদ্ধির পাওয়ার পেছনে মূলত কাজ করেছে নানা আকর্ষণীয় অফার। যেখানে গ্রাহকেরা সময় ও অর্থ দুটিই ব্যয় করছেন। ই কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো শুরুতে কিছু গ্রাহকের কাছে পণ্য সরবরাহ করলেও কয়েকদিনের মাথায় বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়েও যথা সময়ে পণ্য সরবরাহ, সেইসঙ্গে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করছে না বলে অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে হাতে গোনা কয়েক টি প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্ভাবনাময় ই কমার্স খাতটি বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
আরো বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।
ই-কমার্স বিজনেস এর সুবিধাঃ
অনলাইনের মাধ্যমে আমরা যখন কোন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করি তখন তাকে ই-কমার্স বলে। ই কমার্সের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ঘরে বসেই মাত্র কয়েক ক্লিকের মাধ্যমে পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী পণ্য ক্রয় করা সম্ভব। কেননা ঘরে বসে মাত্র কয়েক ক্লিকের মাধ্যমে পণ্য কেনার মজাই আলাদা। সময়ের সাথে সাথে যেমন মানুষের চাহিদার পরিবর্তন ঘটেছে তেমনি পরিবর্তন ঘটেছে বাজার চাহিদারও। সরাসরি বাজারে না গিয়েই মানুষ অনলাইন মার্কেট থেকে পন্য ক্রয় করছে। ঘরে বসেই যদি মান সম্পন্ন পণ্য ক্রয় করা যায় তাহলে মানুষ কেন আর কষ্ট করে বাজারে যাবে। মাত্র কয়েক ক্লিকের মাধ্যমে ঘরেই চলে আসছে পণ্য, এমন সুবিধা পেলে মানুষ অনলাইন মার্কেটে ঝুঁকবে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানে ই-কমার্সের প্লাটফর্মে তরুণ উদ্যোক্তাই বেশি। তরুণ উদ্যোগতা বেশি হওয়ার কারণ যদি ধরি, তাহলে প্রথমেই বলতে হবে এই ব্যবসায় ইনভেস্ট কম এবং কম সময়ে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। অন্যদিকে একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে খুব বেশি অর্থও লাগে না। কারণ বর্তমানে অনেক কম খরচে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা অনেক কম খরচে ই কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে (e commerce in bangladesh)। তাই খরচ ও সময় কম ব্যয় হওয়ায় এই ব্যবসার জন্য অনেকই এখন প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
ই-কমার্স নামে প্রতারণাঃ
প্রতিনিয়ত একের পর এক নামি – দামি ই কমার্স প্রতিষ্ঠান যেমনঃ ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, রিং আইডি, ই অরেঞ্জ, কিউকম, ধামাকা শপিং ও দালাল প্লাসের এর বিরুদ্ধে অনিয়ম প্রতারণার অভিযোগ উঠছে। এতে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকেই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছেন। সম্প্রতি দেশে কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধারদের গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী । সেই সাথে গ্রাহকরা আসলেই তাদের ক্ষতিপূরণ পাবেন কিনা সেটি এখনো অজানা। করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে পণ্য ক্রয় করতে গিয়ে ক্রেতারা অহরহ নানা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। অগ্রিম অর্থ পরিশোধ করার পরও সময়মতো পণ্য না পাওয়া; পরিশোধিত অর্থের বিপরীতে প্রাপ্ত পণ্যের গুণগত মান ঠিক না থাকা, এমন নানা বিড়ম্বনার শিকার হলেও এ থেকে পরিত্রাণের উপায় তাদের অজানা। তাই, ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষার জন্য একটি যথাযথ নীতিমালা ও ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করি আমরা। পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে, বিশেষ করে ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের চটকদার বিজ্ঞাপনে সাড়া দিয়ে ক্রয়কৃত পণ্য হাতে পাওয়ার আগেই টাকা পাঠানো থেকে ক্রেতাকে বিরত থাকতে হবে।
নির্দেশনা দেওয়া আছে কাগজে-কলমেঃ
বাংলাদেশে ই-কমার্স এর অবস্থা আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে এবং ই-কমার্স খাতে আস্থার জায়গা ধরে রাখতে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনায় নীতিমালা ও নির্দেশিকা জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এসব নির্দেশনা আসলেই কতটুকু বাস্তবে প্রয়োগ হচ্ছে, এটি নিয়ে নজরদারির যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। নতুন নির্দেশিকায় প্রধানত পণ্য সরবরাহ ও রিফান্ড দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, ভিন্ন শহরে অবস্থান করলে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। যদি ই কমার্স প্রতিষ্ঠান ও ক্রেতা একই শহরে অবস্থান করে তবে পাঁচ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। যদি পণ্য স্টকে না থাকে সেটার কোন পেমেন্ট গ্রহণ করা যাবে না। ক্রেতার অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পণ্যটি ডেলিভারি ম্যান বা ডেলিভারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করে তা টেলিফোন, ই-মেইল বা এসএমএসের মাধ্যমে জানাবে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি ম্যান পণ্য টি ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেবে।
সরকারের করনীয় কিঃ
বর্তমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু অনৈতিক কার্যকলাপের ফলে ক্রেতারা আস্থা হারিয়ে ফেলছে। তাই তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেছেন, মন্ত্রণালয় যে ই-কমার্স নীতিমালা ও নির্দেশিকা জারি করেছে সেটা যদি মেনে চলা যায়, তাহলে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করা যাবে ও আস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পক্ষে তিনি নন। এর কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে আটকে যাওয়া টাকা বা পণ্য উদ্ধার করা কঠিন হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে সরকার কে আলাদা একটি সেল বা কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যাদের দায়িত্ব হবে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করা এবং সেগুলোতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ফিরিয়ে আনা। একটি প্রতিষ্ঠান তাদের ক্রেতা বাড়াতে নানা ধরণের ডিসকাউন্ট অফার দিতে পারেন, কিন্তু এটা ব্যবসায়ী কৌশল নাকি প্রতারণা সেটা মনিটর করার দায়িত্ব হবে ওই কমিটির। এছাড়া মানুষ যেন সহজেই ডিজিটাল কমার্স সেল বা ভোক্তা অধিকার অধিদফতরে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন সেজন্য একটি হটলাইন চালু করা যেতে পারে। মি. কবির বলেন, “ভোক্তারা অনলাইনে অফারের ফাঁদে না পড়ে যেন যাচাই করে দেখেন, প্রতিষ্ঠানটির রিভিউ পড়েন, শর্তগুলো দেখে নেন, আর মার্চেন্টদের বোঝাতে হবে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা করা অগ্রাধিকার দেয়া কেন জরুরি। প্রতিশ্রুতি রক্ষা, সেই সঙ্গে স্বচ্ছ রিফান্ড ও রিটার্ন নীতি থাকলে ব্যবসার প্রসার এমনিতেই বাড়বে।” (ই কমার্স নীতিমালা)
করোনা পরিস্থিতিতে ই-কমার্স খাতের ভূমিকাঃ
কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারি পৃথিবীজুড়েই অধিকাংশ খাতকেই নানাভাবে বিপর্যস্ত করেছে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি খাত কিন্তু এর মধ্যে এগিয়ে গিয়েছে। ভালোর যেমন খারাপ দিক থাকে, তেমনি খারাপেরও কিছু ভালো দিক থাকে। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত হওয়াকে আমরা বলতে পারি এর ভালো দিক হিসেবে। এর অবশ্য কারণও রয়েছে। এ মহামারীর মধ্যে প্রযুক্তিই কিন্তু আমাদের জীবনযাত্রা কে সচল রেখেছে সেটা বাসায় বসে শিক্ষাগ্রহণ থেকে শুরু করে, অফিসের কাজ করা, সবকিছুতেই। তেমনি কেনাকাটাও কিন্তু মানুষ ঘরে বসে করেছেন। বাসার পাশের ছোট ছোট মুদি দোকান ও রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে বড় দোকানগুলোতে ও এখন সবাই অনলাইনে ডেলিভারি করছে। এটা কিন্তু ই কমার্সের খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অন্যতম কারণ। সেই সাথে ই কমার্স কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে তরুণ প্রজন্মের জন্য এবং নতুন উদ্যোক্তাদের যুক্ত করেছে ই-কমার্সের সাথে এবং নানাভাবে সমৃদ্ধ করে চলেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের যাত্রা কে। পাশাপাশি দেশের ই-কমার্সের সফল এ পথে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে দারাজ বাংলাদেশ। দেশের বৃহত্তম ই কমার্স প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেশের অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সেতুবন্ধনে কাজ করছে দারাজ। এছাড়াও অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ডেলিভারির সক্ষমতা ও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সমান তালে বাড়ছে ডিজিটাল পেমেন্ট অবকাঠামো।
নিরাপদ অর্থ লেনদেনে নতুন পদ্ধতি আসছেঃ
ক্রেতাদের পাশাপাশি কয়েকটি ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানও আস্থা রাখতে পারছে না কোনো কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের উপর। তাই, নিরাপদ পরিশোধ ব্যবস্থার জন্য শিগগিরই একটি ‘এসক্রো সার্ভিস’ করা হবে। এটা একটা মধ্যস্বস্তভোগী সংস্থার মতো। এসক্রো সার্ভিস চালু হলে ক্রেতারা আগাম টাকা পরিশোধ করলেও পণ্য সরবরাহ না হওয়া পর্যন্ত ওই টাকা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে জমা হবে না। এছাড়া সময়মত পণ্য ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হলে সাতদিনের মধ্যে মূল্য ফেরত দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
ই-কমার্স এর জন্য আলাদা আইনঃ
বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনায় আলাদা কোন আইন নেই ৷ তবে ন্যাশনাল ডিজিটাল কমার্স পলিসি ২০১৮ নামে একটি নীতিমালা রয়েছে ৷ ই-কমার্সের ব্যবসার কাঠামো এবং ইকো-সিস্টেম কেমন হবে সেই বিষয়টিও এই নীতিমালাতে রয়েছে বলে জানান শমী কায়সার ৷ তার ভিত্তিতেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি ডিজিটাল সেল গঠন করা হয়েছে ৷ ডিজিটাল সেল এবং ই-সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে এই খাতের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করেন তিনি৷
এখন যা করণীয়ঃ
গত কয়েক বছরে ও ই-কমার্স কিন্তু অতটা সক্রিয় ছিল না, যত টা বর্তমানে হয়েছে। কোভিড-১৯ সময়ে মানুষ যখন ঘর থেকে বের হচ্ছিল না, ঠিক সেই সময় ই কমার্স এর মাধ্যমে মানুষের হাতে পণ্য পৌছে গিয়েছে সহজ উপায়ে। যদিও বর্তমানে কিছু প্রতিষ্ঠান এর অনৈতিক কর্মকান্ডে ক্রেতারা আস্থা হারিয়ে ফেলছে। তবে, মানুষ যেহেতু দিন দিন প্রযুক্তির দিকে নির্ভরশীল হয়ে ঝুঁকে পড়ছে, তাই ভবিষ্যতে ই-কমার্স ব্যবসা অনেকগুনে প্রসারিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতি কে মোকাবেলা করতে সবার আগে দরকার কাস্টমার এর আস্থা অর্জন এবং তাদের স্যাটিসফাইড রাখা। তাই অনলাইন ভিত্তিক বিজনেস এ সফলতা পেতে হলে আপনার একটি ই কমার্স ওয়েবসাইট থাকা আবশ্যক। কারণ ফেসবুক গ্রুপ এবং পেইজ এর পাশাপাশি একটা প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ই-কমার্স ওয়েবসাইট এনে দিতে পারে আপনার ব্যাবসায় সফলতা এবং কাস্টমারদের আস্থা। আর আপনি যদি মান সম্মত একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে চান তাহলে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে । আমাদের রয়েছে রেডিমেড ই-কমার্স ওয়েবসাইট যা আপনারা খুব সহজেই নিজেরাই ব্যবহার করতে পারবেন। পছন্দ অনুযায়ী পন্য আপলোড/প্রোডাক্ট ডেস্ক্রিপশন এ্যাড করতে পারবেন এবং ছোট খাটো কিছু বিষয় নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারবেন।
পরিশেষেঃ
বর্তমান বিশ্বে ই কমার্স বিজনেস যেহেতু এক রেভ্যুলেশন নিয়ে এসেছে তাই আপনি কেনো পিছিয়ে থাকবেন? যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপনিও হতে পারেন একজন সফল বিজনেস ম্যান। তবে, ই-কমার্স বিজনেস করতে গেলে আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকা বাধ্যতামূলক। আর এই কথা মাথায় রেখে ইয়াপ্পোবিডি নিয়ে এসেছে আপনার জন্য প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ই-কমার্স ওয়েবসাইট। তাই দেরি না করে আপনি ও বানিয়ে নিন আপনার পছন্দসই ই কমার্স ওয়েবসাইট। অথবা যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।