You are currently viewing অনলাইন মার্কেটিং কি? এবং কিভাবে অনলাইন মার্কেটিং করবেন?

অনলাইন মার্কেটিং কি? এবং কিভাবে অনলাইন মার্কেটিং করবেন?

বর্তমানে অনলাইন মার্কেটিং এর পরিধি দিন দিন বেড়েই চলেছে। করোনা মহামারীর সময়ে থেকে মানুষ ঘরবন্দী জীবন কে কাজে লাগাতে অনলাইন মার্কেটিং করেছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গত দুই বছরে বাংলাদেশের মানুষ আগের তুলনায় অনেক বেশি অনলাইন মার্কেটিং এর দিকে ঝুঁকছে। আগে যারা ব্যস্ততার জন্য অনলাইন মার্কেটিং এর পেছনে টাইম ওয়েস্ট করতে পারতেন না তারাও এখন এ কাজে বেশ আগ্রহী। 

অনলাইন মার্কেটিং কি 

অনলাইন মার্কেটিং হলো এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনার বিজনেস এর কোনো পণ্য বা সেবা কে কাস্টমারের কাছে পৌঁছানোর জন্য যে সব প্রচার প্রচারণা চালানো হয় তার সব কিছুই মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। আপনি আপনার পণ্যের মার্কেটিং বিভিন্ন উপায়ে করতে পারেন। আপনি যখন আপনার পণ্যের মার্কেটিং করার জন্য অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম কে বেঁছে নিবেন তখন সেটা হবে অনলাইন মার্কেটিং। 

কেন এবং কিভাবে করবেন অনলাইন মার্কেটিং 

ধরুন আপনার একটি বিজনেস আছে। শুধু বিজনেস থাকলেই তো আর হবে না। সবাইকে জানাতে হবে যে আপনার বিজনেস রয়েছে এবং আপনার বিজনেসের প্রোডাক্টস সবার জন্য কতটা উপকারী, ব্যবহার করলে কি কি লাভ হবে তা সবাইকে জানাতে হবে। আপনার পণ্যের ভালো দিক সবার সামনে প্রচারের মাধ্যমেই আপনার পণ্যের সেল বাড়বে। আপনি যত আপনার পণ্যের মার্কেটিং করবেন আপনার সেল ততোই বাড়তে থাকবে। এজন্যই বলা হয় প্রচারেই প্রসার। তাই আপনার বিজনেসের প্রোডাক্টগুলো কে সবার সামনে তুলে ধরতে অনলাইন মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেক। 

অনেক নতুন ব্যাবসায়ীরা কনফিউশনে পরে যায় তারা কিভাবে তাদের পণ্যের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এ মার্কেটিং করাবে। আপনি শুনে খুশি হবেন যে অনলাইনে এরকম অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখানে অনেক সহজে কোম্পানিগুলোর প্রোডাক্টসের মার্কেটিং করা যায়। যার ফলে আগের থেকে বহুগুণ সেল জেনারেট হয়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর মধ্যে অন্যতম একটি অনলাইন মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলের ফার্স্ট পেজে র‍্যাংক করিয়ে অনেক বেশি প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। এরকম আরও কিছু অনলাইন মার্কেটিং এর সেক্টর হলোঃ-

  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং 
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
  • ই-মেইল মার্কেটিং 
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 
  • অনলাইন এডভারটাইজিং

 

search-engine-optimization

 

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং 

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি মার্কেটিং কৌশল যার মাধ্যমে আপনি গুগল কে টাকা দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট টি কে গুগলের ফার্স্ট পেজে র‍্যাংক করাতে পারবেন। এটি গুগলের একটি পেইড মার্কেটিং মেথড। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর ফলে অতি দ্রুত আপনার কোম্পানির প্রচার প্রচারণা চালানো যায়। এমন কিছু ব্যবসায়ী আছে যারা অতি দ্রুত তাদের বিজনেস টা কে দাড় করাতে চায়। তাদের জন্য পেইড সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং অনেক কার্যকরী। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর ফলে আপনার বিজনেসের ওয়েবসাইট গুগলের ফার্স্ট পেজে র‍্যাংক করবে। এর ফলে আগের তুলনায় অনেক বেশি ট্রাফিক জেনারেট হবে এবং আপনার সেল আগের থেকে বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। 

কন্টেন্ট মার্কেটিং 

বলা হয়ে থাকে কনটেন্ট ইজ কিং। আপনি যদি ওয়েবসাইট এ কনটেন্ট লেখার মাধ্যমে আপনার বিজনেস এর প্রমোশন করাতে চান তাহলে সেটাই কন্টেন্ট মার্কেটিং। বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট, ওয়েবসাইট কনটেন্ট, স্লাইড, ইমেজ, ভিডিও এইসব কিছুই কন্টেন্ট মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য সুন্দর করে প্রমোশনাল ভিডিও বানিয়ে সেটা বুস্ট করে সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। 

 

ডিজিটাল মার্কেটিংসোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 

আমরা সবাই প্রায় কোনো না কোনো সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে যুক্ত। বন্ধুদের/পরিবারেরসাথে যুক্ত থাকতে কিংবা অফিশিয়াল কাজে আমরা সব সময় সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো হলো ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি। বিশ্বের প্রায় সকল মানুষই যেহেতু কোন না কোনো ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকে, তাই এই সুযোগ টাকে কাজে লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে মার্কেটিং করা হয় সেটাই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে। যেমনঃ 

  • পেইড মার্কেটিং 
  • ফ্রি মার্কেটিং 

সোশ্যাল মিডিয়া তে পেইড মার্কেটিং করা যায়। অর্থাৎ আপনার পেজ কিংবা গ্রুপকে প্রমোট করাতে পেইড মার্কেটিং মেথড অবলম্বন করা হয়। পেইড মার্কেটিং ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া তে ফ্রি মার্কেটিং ও করা যায়। আপনি চাইলে ফ্রি-তে গ্রুপ কিংবা পেজ খুলে আপনার কাস্টমারের সাথে কানেক্টেড থাকতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বিজনেসের পাবলিসিটি বাড়াতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এখানে আপনার বিজনেস এর পাবলিসিটি তো বৃদ্ধি পায়-ই এর সাথে সাথে কাস্টমারদের সাথে আপনার সম্পৃক্ততাও বাড়ে। কাস্টমারদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে রিভিউ পাওয়া যায়। আপনার প্রোডাক্ট মানসম্মত হলে কাস্টমার যখন আপনার বিজনেস গ্রুপে ভালো রিভিউ দিবে তখন অন্যান্য কাস্টমার এটি কিনতে আগ্রহী হবে। আবার আপনার প্রোডাক্ট এ যদি কোনো ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে আপনি সরাসরি কাস্টমারদের কাছ থেকে যেনে নিতে পারবেন। 

 

ডিজিটাল মার্কেটিংই-মেইল মার্কেটিং 

কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য টার্গেটেড কাস্টমার এর ই-মেইল কালেক্ট করে তাদের কে মেইল পাঠানোর মাধ্যমে যে মার্কেটিং করা হয় সেটাই ই-মেইল মার্কেটিং। ই-মেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ২টি পদ্ধতি অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। 

  • অপটিন ফর্ম 
  • ই-মেইল মার্কেটিং সার্ভিস 

ই-মেইল মার্কেটিং এর জন্য জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যার এর সাহায্য নিতে হয়। সেগুলো হলোঃ- 

  • EBook 
  • Free webinar 
  • Coupon 
  • Cheat sheet of tips or resource ইত্যাদি 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি মার্কেটিং যেখানে আপনার নিজের কোনো বিজনেস কিংবা প্রোডাক্ট থাকবে না। কি অবাক হলেন? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি অন্যের বিজনেসের প্রোডাক্ট প্রোমোট করার জন্য নিজের ওয়েবসাইট এ সেই প্রোডাক্টগুলোর প্রচার চালাবেন। যাতে সবাই আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রোডাক্টগুলো কেনে। ভাবতে পারেন এতে আপনার লাভ কি? লাভ তো আছেই। আপনার ওয়েবসাইট থেকে কেও যদি কোনো প্রোডাক্ট কেনে তাহলে আপনি সেই প্রোডাক্টের উপর থেকে নির্ধারিত পরিমাণ কমিশন পাবেন। দারাজের কোনো প্রোডাক্ট আপনি বিক্রয় করে দিলে দারাজ প্রোডাক্ট প্রতি ৯% কমিশন দিয়ে থাকে। এরকম আমাজন, আলিবাবা ইত্যাদি অনলাইন বিজনেস রয়েছে, যেখান থেকে আপনার পছন্দসই পণ্য বাছাই করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

 

অনলাইন এডভারটাইজিং

আমরা অনলাইনে যে বিজ্ঞাপনগুলো দিয়ে থাকি প্রোডাক্ট এর প্রোমোশনের জন্য সেটাই হলো অনলাইন এডভারটাইজিং। অনলাইন এডভারটাইজিং অনেক রকমের হয়ে থাকে। যেমনঃ 

  • কস্ট পার ক্লিক (cpc)
  • কস্ট পার অ্যাকশন (cpa)
  • কস্ট পার ভিউ (cpv)
  • ডিসপ্লে এডভারটাইজিং
  • ফেসবুক বুস্ট ত্যাদি 

মার্কেটিং

 

কস্ট পার ক্লিক

আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট এর বিজ্ঞাপন গুগলে দিতে যান তাহলে একজন ভিজিটর যখন আপনার ওয়েবসাইট টি ভিজিট করবে ঠিক তখনই গুগল কে আপনার পে করতে হবে। এটাই হলো কস্ট পার ক্লিক। মজার বেপার হচ্ছে, আপনার ওয়েবসাইট টি গুগলের ফার্স্ট পেজে আসলো কিন্তু কোনো ভিজিটর সেটাতে ক্লিক করলো না। এইক্ষেত্রে আপনার গুগল কে টাকা দিতে হচ্ছে না। আপনি ঠিক তখনই গুগল কে টাকা দিবেন যখন কোনো ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট এ ক্লিক করবে। আর আপনার ওয়েবসাইট এর প্রোডাক্ট যত দামী হবে গুগল কে তত বেশি আপনার টাকা দিতে হবে। আপনার প্রোডাক্ট যদি কম দামী হয় তাহলে গুগল আপনার থেকে কম টাকা নিবে বিজ্ঞানের জন্য। এভাবেই কস্ট পার ক্লিক এর পেমেন্ট নির্ধারণ করা হয়। 

 

অনলাইন মার্কেটিং সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে।

 

        (১)  ফ্রি মার্কেটিং

        (২) পেইড  মার্কেটিং

 

 ফ্রি মার্কেটিং 

ফ্রি মার্কেটিং বলতে বুঝানো হয়েছে, যে সব মার্কেটিং করতে আপনার কোন প্রকার টাকা খরচ হয়না, শুধু বুদ্ধি খাটিয়ে,টেকনিক খাটিয়ে মার্কেটিং করাকেই ফ্রি মার্কেটিং বলা হয়।

পেইড  মার্কেটিং

পেইড মার্কেটিং হচ্ছে, আপনার বিজনেস বা আপনি যে বিষয় বস্তু মার্কেটিং করাতে চাচ্ছেন তা করতে গিয়ে আপনার টাকা খরচ হচ্ছে তখন তাকে পেইড মার্কেটিং বলা হয়। 

 

ফ্রি অনলাইন মার্কেটিং করার উপায়

বর্তমানে যারা বিজনেস করছেন তারা অনেকেই ফ্রি মার্কেটিং বিষয়টা সঠিক ভাবে জানেন না । আপনি যদি সঠিন ভাবে ফ্রি মার্কেটিং করেন তাহলে দেখা যাবে ৩০%-৪০%  রেজাল্ট পেয়ে যাবেন । এছাড়া কিছু ফ্রি মার্কেটিং করার উপায় রয়েছে। ধাপে দাপে ব্লগটি পড়ুন আশা করি সুন্দর ভাবে বুঝতে পারবেন সকল বিষয়টি। যেমন – 

 

১. ইমেল ডেটা ক্যাপচার

এর মাধ্যমে আপনার টার্গেটেড কাস্টমারের ইমেইল সংগ্রহ করে তাদের কাছে আপনার আপনার প্রোডাক্টের সুন্দর বিবরন দিয়ে ইমেল সেন্ড করতে হবে। 

২.নিজস্ব ব্লগ লিখা

ব্লগ লেখা বলতে সাধারণত আমরা ওয়েবসাইটে লেখা লেখি করাকে বুঝাচ্ছি ।  ধরুন আপনি একটা মোবাইল কিনবেন । কেনার আগে অবশ্যই আপনি গুগলে সেই মোবাইলের বিবরন দেখবেন কোন একটা সাইটে। ধরুন সেই সাইটেই আবার ঐ মোবাইটি কেনার লিংক দেয়া আছে। আপনি কিন্তু খুব সহজেই সেখান থেকে মোবাইলটি কিনে নিতে পারবেন। ঠিক একই ভাবে আপনাকে আপনার বিভিন্ন পণ্যের বিবরন দিয়ে ব্লগ লিখে সেখানে সেল করার জন্য কোন লিংক অথবা যোগাযোগের মাধ্যম রাখতে হবে। এতে করে কিন্তু আপনার ফ্রি মার্কেটিং হয়ে যাচ্ছে।

৩. ভিডিও মার্কেটিং

আপনি ইউটিউবের মাধ্যমে আপনার প্রত্যেকটি পণ্যের আলাদা আলাদা সুন্দর করে ভিডিও বানিয়ে সকল বিবরন দিয়ে পোষ্ট করতে পারেন। এবং ডেস্ক্রিপশনে আপনার সাথে যোগাযোগের মাধ্যম দিয়ে রাখতে পারেন এতে করে  কোন কাস্টমারের পছন্দ হলে আপনার সাথে যোগাযোগ করে ক্রয় করতে পারবে।

৪. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া বলতে এখানে ফেসবুক,টুইটার,লিংকডিন  ইত্যাদিকে বুঝানো হয়েছে। আপনি এ সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার পণ্যের সুন্দর ছবি এবং সাথে সকল পণ্যের সঠিক বিবরন দিয়ে পোষ্ট করতে পারেন।

৫. গুগলে পোস্ট করা

সোশ্যাল মিডিয়ার মত করে ঠিক একই ভাবে আপনি গুগলে পোষ্ট করতে পারেন। যেমনঃ গুগল নিউজ,গুগল মাই বিজনেস ইত্যাদিতে আপনি ছবি সহকারে আপনার পণ্যের বিবরন সুন্দর করে সাজিয়ে পোষ্ট করতে হবে। সময়ের সাথে সাথে আপনার পন্যে গুলো মানুষের কাছে যাবে।

 

পেইড অনলাইন  মার্কেটিং করার উপায়

 

১.ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মার্কেটিং

বর্তমানে মানুষ অনলাইন মুখী হবার সাথে সাথে প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে বিস্তর ভাবে জানার জন্য বিভিন্ন ব্লগ সাইটে ঘুরে ঘুরে আর্টিকেল পড়ে। যার ফলে তারা মোটামুটি অনেকটা সময় আর্টিকেলে অবস্থান করে। আর এটাই মার্কেটিং এর নতুন একটা উপায়। আপনি ভালো ভালো ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ করে অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট পরিমান কমিশনের ভিত্তিতে তাদের ব্লগে আপনার পণ্যের মার্কেটিং করতে পারেন।  এ ছাড়াও তাদের ব্লগের সাইডবারে অথবা ব্লগের মাঝে ব্যানার আকারেও আপনার পণ্যের মার্কেটিং করতে পারেন।

বিজনেস ওয়েবসাইট

২.সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর উপায় হলো আপনাকে আপনার ফেসবুকের পেইজ মধ্যমে আপনার পন্য মার্কেটিং করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি বুষ্ট কি ভাবে করে তা জেনে থাকেন তা হলে আপনি নিজেই সুন্দর ভাবে বুষ্ট করে মার্কেটিং করতে পারবেন। বুষ্ট এর ক্ষেত্রে কেমন ধরনের ট্রাফিক আপনার পন্য দেখবে,তাদের বয়স কেমন হবে,তাদের পছন্দ কেমন হবে, কোন লোকেশনের মানুষ দেখবে এ সকল বিষয় সুন্দর ভাবে সেট করা যায়। এতে করে আপনার যেমন টাকা সঠিক ভাবে খরচ হয় এবং টার্গেটেড ট্রাফিক পাওয়া যায় । আর আপনার যদি বুষ্ট নিয়ে তেমন কোন আইডিয়া না থাকে আপনি ভালো কোন এজেন্সি এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ইয়াপ্পোবিডি হতে পারে আপনার পছন্দের তালিকায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে সফলতার সাথে ফেসবুক অ্যাডভার্টাইজিং সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে। তবে দেরি কেন, আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার প্রযোজনীয় সার্ভিস গ্রহন করুন।

 

৩.ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং

আমি ভেবে নিচ্ছি আপনি ইতিমধ্যে ইনফ্লুয়েন্স মার্কেটিং এর নাম শুনেছেন। বিশেষ করে ২০২২ সালে এই শব্দটি অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেমন করোনা কালিন সময়ে একটি গান গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কিটো ভাই নামক একজন ব্যক্তিত্ব খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।  ধরুন কোন প্রতিষ্ঠান তাদের নতুন পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন কিটো ভাই এর দ্বারা তৈরি করে নিলেন এবং কিটো ভাই তার পেইজে বা চ্যানেলে পোষ্ট করবেন। তখন কিটোভাই হলেন একজন ইনফ্লুয়েন্সারইনফ্লুয়েন্সার তারাই যারা মানুষকে বিভিন্ন ভাবে ইনফ্লুয়েন্স করে। এই ধারণাটিকে আরেকটু সুন্দর করে বোঝার স্বার্থে চলুন আর একটি উদাহরণ দেখে নেই।

মনে করুণ একজন ফেমাস নায়ক/নায়িকা রয়েছে যার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট গুলোতে লক্ষাধিক ফ্যান ফলোয়ার্স আছে। ওই নায়ক/নায়িকার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে পোষ্ট করলে প্রতিদিন লক্ষাধিক ভিউজ হয়। এখন যদি কোন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনটি নায়ক/নায়িকাকে দিয়ে তৈরি করিয়ে নেন তবে তা হবে ইনফ্লুয়েন্স মার্কেটিং। এক্ষেত্রে ওই  পণ্যের বিজ্ঞাপনটি একদিনের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। এর মধ্যে হয়তো কয়েক হাজার মানুষ পন্যটি কিনেও ফেলবে। এভাবে ইনফ্লুয়েন্স মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠানে তাদের বিক্রয় বারিয়ে থাকে।

পরিশেষে

আপনার বিজনেস কে বড় করতে চাইলে অথবা আপনার ওয়েবসাইট এর বিজ্ঞাপন সবার কাছে পৌঁছে দিয়ে সেল জেনারেট করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। উপরে উল্লেখিত সমস্ত সেবা আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি তে প্রোভাইড করা হয়। যেকোনো ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস সম্পর্কে জানতে আজই yappobd এর সাথে যোগাযোগ করুন। ডিজিটাল সেবা নিন, আপনার ব্যবসাকে প্রশারিত করুন।

Facebook Comment