You are currently viewing অনলাইন ব্যবসায় ফেসবুক অ্যাড এর গুরুত্ব!

অনলাইন ব্যবসায় ফেসবুক অ্যাড এর গুরুত্ব!

অনলাইনে কেনাকাটার সাথে বর্তমানের সবাই টুকটাক পরিচিত। ফেসবুকে কেবল সময় কাটানোর জায়গা মনে করে যারা ফেসবুক ব্যবহার করা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চান তারা হয়তো জানেনই না বর্তমানের অনলাইন বিজনেসকে এগিয়ে নিতে এফকমার্স কতটুকু ভুমিকা পালন করছে! প্রায় ৯০০ মিলিয়ন মানুষ নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করায় এই ফেইসবুকের সাহায্যে খুব সহজে নিজের ক্রেতাসাধারণকে খুঁজে পাচ্ছে মার্কেটাররা।

ফেসবুকের পেজ খুলে ইকমার্স বিজনেস করলে কিভাবে সফল হওয়া যায় সে-সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। শুধুমাত্র ফেসবুকে একটি পেজ খুলেই ব্যবসা শুরু করা যায় অনেকই এই পেশায় যুক্ত হচ্ছেন এবং সফলও হচ্ছেন।

সেই সাথে যারা অনলাইন বিজনেসকে সিরিয়াসলি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি ওয়েবসাইট টার্গেট করেও কাজ করছেন তারা এই দুটি মাধ্যমের সমন্বয় ঘটিয়ে কিন্তু দারুণ কিছু করতে পারেন। এই দারুণ কিছু করার উপায় অনেকেই জানেন না। ফলে এতো বড় সুযোগ হারাতে হয় অনেককেই। ফেসবুকে ব্যবসা সম্পর্কিত একটি পেজ তৈরি করে তাতে যদি সমন্বয় ঘটিয়ে ভালোকিছু করা যায় তবে ক্ষতি কি? আজ আমরা এই মিক্সিংয়ের টিপস, গুরুত্ব এবং এর আউটপুট নিয়ে আলোচনা করবো।

 

কিভাবে ব্যবসার প্রোমোট করা হয়?

আপনার ব্যবসার সেলস বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে যখন আপনি এই মার্কেটিংয়ের কাজে ফেইসবুককে ব্যবহার করতে জানবেন এবং করবেন! ফেসবুকে বিজ্ঞাপন প্রদানের মাধ্যমে পন্য বিক্রয়ের মতো জটিল কাজটি খুব সহজেই সেরে ফেলা যায়। ফলে বিশ্বজুড়ে ছোট থেকে মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাছে এই মেথড খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। একজন ব্যবসায়ির জন্য ফেসবুক বিজ্ঞাপন হতে পারে সবচেয়ে দ্রুত ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর পারফেক্ট মাধ্যম। কেননা এখানে অসংখ্য ব্যবহারকারী রয়েছে।

ফেইসবুককে কাজে লাগিয়ে প্রোফাইল এবং পেইজকে পুঁজি করে মার্কেটিং করা হয় বলে দ্রুত ক্রেতার কাছে পৌঁছানো সহজ হয়। কারণ আজকাল সবাই ফেইসবুক আইডি এবং পেইজ নির্ভর। চোখের সামনে প্রয়োজনীয় পণ্য দেখলে কোনো ক্রেতাই তা এগিয়ে চলতে চাইবে না। সুতরাং এতে একটি বড় রকমের সুযোগ রয়েছে সেল হওয়ার!

 

ফেসবুক অ্যাডভারটাইজিং সার্ভিস

 

ব্যবসায় ফেসবুক অ্যাড এর গুরুত্ব ও সুবিধাঃ

ফেসবুকে এ্যাড দিয়ে আপনি আপনার ব্যাবসার প্রচার চালাতে পারবেন খুব সহজে ৷ আপনার বিজ্ঞাপনটিতে কতজন মানুষ ক্লিক করছে বা কতটি likes আসছে তা ঠিক করে দিবে এই এ্যাডের পেছনে আপনার বাজেটের পরিমাণ ও কি কি বিষয় নির্ধারন করেছেন! ওই ভিজিটর থেকেই তৈরি করে আপনার প্রয়োজনীয় গ্রাহক এবং সেল! ফেসবুকের বিজ্ঞাপন মূলত লাইক/রিচ বাড়ানোর হলেও প্রকৃতপক্ষে এর পেছনে রয়েছে সঠিক গ্রাহকের কাছে পণ্যের বিজ্ঞাপনকে পৌঁছে দেওয়া।

ইচ্ছে মতো যেকোনো নির্দিষ্ট দেশে এই এড চালানো যায় বলে খুব সহজে আপনি টার্গেটেড গ্রাহক খুঁজে পেতে পারেন। প্যারামিটার কিভাবে সেট করছেন তার উপর নির্ভর করবে আপনার এড কতজনের মাঝে পৌঁছানো হলো।

ফেসবুক সবসময় চেষ্টা করে বিজ্ঞাপন যেন সর্বোচ্চ সংখ্যক ইউজারের কাছে রিচ করতে পারে। এই রিচ আপনার পেইজের লাইক বাড়ানোর পাশাপাশি আপনার বিজনেসের পরিধিকেও বড় করবে। সেই সাথে এটি কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা খুঁজে বের করার কাজটিও হয়ে যাবে। নির্ধারিত বাজেটের বিজ্ঞাপন থেকে আপনি মোটামুটি ভালোই সেল পাবেন। ফলে ইনভেস্টের লাভ-লস নিয়েও আপনাকে খুব একটা ভাবতে হবে না। মূলত কোন দেশ, কোন বয়স, কোন লিঙ্গ, কোন ভাষার ব্যবহারকারী দেখবে তার উপরই নির্ভর করবে আপনার এই ইনভেস্ট বা বাজেট৷

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অল্প টাকার বিনিময়ে ফেইক ফেসবুক ইউজার দ্বারা এইসব বিজ্ঞাপন দেয় বলে আপনাকে অবশ্যই এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নয়তো পুরো শ্রমটিই পন্ড! কারন আপনি কিন্তু আপনার টার্গেট কাস্টমার না পাওয়ার ফলে সেলিংয়ের পরিমাণ কমে যাবে! বা আশানুরূপ হবে না।

ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমেঃ

এছাড়াও বর্তমানে ফেসবুক প্রোফাইল, অর্থাৎ অনেকে কোম্পানির নামে প্রোফাইল তৈরি করে অনলাইন ব্যবসাকে গ্রো করছে। এটি মানুষের মাঝে বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে এটি একবারেই ভিত্তিহীন এবং আনপ্রফেশনাল! তবে এক্ষেত্রে ব্যক্তির নামে প্রোফাইল তৈরি করা যায়। এতে কোনো সমস্যা নেই! কারণ এটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষদের আস্থা তৈরি করতে বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে।

এর পাশাপাশি ফেসবুক গ্রুপ ব্যবসায়িক পণ্যের কিংবা সেবার নামে গ্রুপ তৈরি করাটাও বেশ বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে। তবে অনলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক পেজ থাকার সুবিধাটাই সেরা আমার কাছে৷ কারণ পেজে অনেকজন অ্যাডমিন থাকার সুযোগ থাকায় অনেকজন মিলে পেজ ম্যানেজ করাসহ বিজনেসের প্রচারণা করার সুযোগ থাকে।

মার্কেটপ্লেসের বাইরে গিয়ে অনলাইনে এসব ব্যবসার ক্ষেত্রে, যে ক্রেতা, তার কাছে আপনি (ব্যবসার মালিক) একদম অপরিচিত হলেও পেইজে নিয়মিত সক্রিয় থাকার ফলে ক্রেতাসাধারণ আপনাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে। এক্ষেত্রে বিশ্বস্ততা এবং গ্রাহক বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ফেসবুক পেজটিতে ৩টি করে পোস্ট দেওয়া যেতে পারে। তার মধ্যে একটি পোস্ট কুইজ টাইপ করে রাখা যায়। সেই সাথে চাইলে সপ্তাহের একদিন ইনফোগ্রাফিকস ধরনের পোস্ট করা যায়! তবে ৩দিন পর পর কোন একটি পোস্টে আপনার ব্যবসার কথা বলা গেলেও সরাসরি প্রোডাক্ট সেলিংয়ের কথা না বলে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলতে পারেন৷ এতে কোনো ঝুঁকি থাকবে না! চেষ্টা করবেন পোস্টগুলি যেনো মানুষের জন্য উপকারী এবং আপনার ব্যবসা সম্পর্কিত হয়ে থাকে।

 

ফেইসবুক এড এবং অনলাইন বিজনেসে এর গুরুত্ব সম্পর্কে তো আলোচনা করা হলো!

এবার চলুন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ফেইসবুক এ্যাড বা মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে সে-সম্পর্কে আলোচনা করা যাক!

ইকমার্স ওয়েবসাইট

ডেটা সংগ্রহঃ

অনলাইন বিজনেস করতে হলে, এডভান্স মার্কেটিং করতে হলে বিজনেসের খাতিরে ফেইসবুক মার্কেটিং করতে হবে। এতে শুধু সেলই আসবে না পরবর্তী ওয়েবসাইট বা মার্কেটিংয়ের জন্য ডেটাও সংগ্রহ করা যাবে। এই ডেটা এনালাইসিস করে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্দিষ্ট গ্রাহকের কাছে বারবার পৌঁছানো যাবে সহজেই। মার্কেটিং করে যদি আপনার কোন রিটার্ন না আসার সম্ভাবনা থাকে তবে এই এক্সট্রা ক্যাম্পেইন হতো পারে পারফেক্ট উপায়। ফেসবুক এ্যাড তথা মার্কেটিংকে বেছে নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই ডেটা সংগ্রহের উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। এতে এক্সট্রা সুবিধা পেতে পারেন। অন্যথায় রিটার্ন ক্লায়েন্ট আসার সম্ভাবনা পুরোপুরি নাও থাকতে পারে!

ফেইসবুক এ্যাড নিয়ে কাজ করার সময় আপনি টার্গেটেড ক্লায়েন্টের আইডি ঘাটাঘাটি করে তাদের সম্পর্কে টুকটাক রিসার্চ করে নিতে পারেন। কোন বয়সের, কোন প্রোডাক্টের প্রতি তারা আগ্রহী, পূর্বের অনলাইন বায়িং সম্পর্কে ধারণা আছে কিনা সবকিছু রিসার্চ করে নিবেন! পরবর্তীতে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিয়ে তাদের কাছে আবার মার্কেটিং করার প্রস্তুতি নিন। এতে করে মোটামুটি কয়েকবার যখন আপনি তাদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন তখন তারা আপনার প্রোডাক্ট কেনার ব্যাপারে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। যা আপনার বিক্রি বহুগুণে বাড়িয়ে দিতে কার্যকর ভুমিকা পালন করবে।

ওয়েবসাইট রিটার্গেটঃ

ধরুন আপনার কোন বিজনেস ওয়েবসাইট অথবা সার্ভিস ওয়েবসাইট রয়েছে। সেই ওয়েবসাইটে আপনি ফেইসবুক মার্কেটিং বা এ্যাড থেকে ভিজিটর নিয়ে গেলে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর তো তৈরি হয়ে গেলো! পাশাপাশি আপনার কিছু পার্মানেন্ট ভিজিটরও তৈরি হওয়ার চান্স থাকলো। পরবর্তীতে আপনি ইজিলি ওই ভিজিটরদেরকে আবার রিটার্গেট করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারেন। কিন্তু এই সিস্টেম যদি না থাকতো তবে আপনার টার্গেটেড ক্লায়েন্ট খুঁজতে গিয়ে পড়তে হতো মহা ঝামেলায়! খুঁজে বের করতে করতে দেখা যেতো মার্কেটিং করারই সময়-সুযোগ মিলছে না! আশা করি পুরো ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন!

 

পরিশেষেঃ

অনলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব নিজেকে স্বচ্ছ রাখার চেষ্টা করবেন। এই এ্যাডের ভিড়ে কৃত্রিমতাকে কোনোভাবেই প্রাধান্য দিবেন না। এতে আপনাকে গ্রাহক হারাতে হতে পারে! এ ছাড়াও আপনারা যদি প্রফেশনাল মানের অ্যাড রান করতে চান আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের রয়েছে এক্সপার্ট মার্কেটার যিনি আপনার প্রয়োজন বুঝে সকল ধরনের রিসোর্স দিয়ে আপনার অ্যাড রান করে দিবেন। তাই আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। আজকে এতোটুকুই! ধন্যবাদ সবাইকে! সাথে থাকার জন্য! আপনাদের কোন মতামত বা সাজেশন থাকলে তা অবশ্যাই কমেন্ট করে জানাবেন।

search-engine-optimization

Facebook Comment