You are currently viewing ব্লগ টপিক নির্বাচনে যে বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে!

ব্লগ টপিক নির্বাচনে যে বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে!

আপনি কি অনলাইনে ইনকাম করতে চান? তাহলে আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে ব্লগ লেখা লেখি শুরু করেই দেখুন। বর্তমানে ব্লগিং পেশাটি সবার কাছে অতি পরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। যেমন পাঠক বাড়ছে তেমনি লেখালেখির মাধ্যমে আয়ও বাড়ছে। অনলাইনে আয় করার জন্য অনেকেই এই পেশাটিকে বেছে নিচ্ছেন। কেউবা সফল হচ্ছেন কেউবা ব্যর্থ হচ্ছেন। কিন্তু এই ব্যর্থতার পিছনে কারণটি কি? বলতে পারেন? কারণ হচ্ছে একটাই। ভালো টপিক বা বিষয় নির্বাচন না করা। ব্লগিং এর জন্য একটি ভালো ও আকর্ষণীয় টপিক নির্বাচন করা জরুরি এবং ব্লগ টপিক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। 

টপিক নির্বাচনে কেন সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সেটি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

কেন ভালো টপিক প্রয়োজনঃ

যখন আপনি একটি ওয়েবসাইট পরিচালনা করবেন তখন তার জন্য ভাল মানের আর্টিকেল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। যদি ভালো টপিক নির্বাচন করা না হয় তাহলে ভালো আর্টিকেল লেখা সম্ভব হয় না। ভালো টপিক নির্বাচন না করা হলে একজন ব্লগারের ব্লগ টি লেখার জন্য তথ্য সংগ্রহ কষ্টকর হয়ে যায়। ব্লগারের মন মত যদি টপিক হয়, তাহলে তিনি নিজের ইচ্ছে মতন ওয়েবসাইটে আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারবেন। যদি আপনি ভালো টপিক নির্বাচন না করেন, তাহলে পাঠকদের বুঝতে অসুবিধা হবে। ভালো টপিক এর আর্টিকেল ভিজিটরদের  মন সন্তুষ্ট করে এবং আস্থা অর্জন করে। আপনি যখন ভালো মানের আর্টিকেল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবেন দেখবেন অল্প পরিশ্রমেই আয় করতে পারছেন ও গুগলে রেঙ্ক করছে। তবে এর জন্য টপিক হওয়া চাই সহজ, সুন্দর ও ভালো মানের। এতে আপনিও সহজে আর্টিকেল লিখতে পারছেন, পাশাপাশি কম রিসার্চ করে বেশি কাজ করতে পারছেন। তথ্য কালেক্ট করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে না। ইউজারদের চাহিদামত তথ্য দিতে পারছেন। তাই অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা লাভ করার জন্য ও বেশি বেশি ভিজিটর পাওয়ার জন্য ভালো টপিক নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।

 

ব্লগিংব্লগিং বিষয় নির্বাচন করুনঃ

আপনার সামনে খাতা কলম থাকলে নিয়ে বসে যান আর চিন্তা করতে থাকুন কোন বিষয় নিয়ে আপনার আগ্রহ বেশি। কোন বিষয় টি নিয়ে আপনি ভালো লিখতে পারবেন। আপনি যে বিষয়ে জানেন না অথবা বোঝেন না এবং যে বিষয়ে আপনার ধারণা নেই সে টি নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন না। কেননা এতে করে হয়তো কয়েক টি পোস্ট, কয়েক টি কনটেন্ট পাবলিশ করার পর আপনার ব্লগিং জগতে কন্টেন্ট পাবলিশ করার ইচ্ছা থাকবে না। কেননা আপনি সে পর্যন্ত হাঁফিয়ে যাবেন। তাই যে টপিক বা বিষয় নিয়ে আপনার উৎফুল্ল রয়েছে, আপনার আগ্রহ বেশি, সেই কাজের উপর বিষয় বা টপিক নির্বাচন করে একটি ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। যেমন আমি আমার এই ব্লগে টেকনোলজি নিয়ে ব্লগিং করছি কারন আমার টেকনোলজি সম্পর্কে সকল বিষয় ভালো লাগে এবং টেকনোলজি বিষয়ে আমি কিছু কিছু অংশ জানি যে বিষয়গুলো নিয়ে  ব্লগে আলোচনা করে থাকি।

 

ইভারগ্রিন টপিক/বিষয়ঃ 

ইভারগ্রিন টপিক বলতে বুঝায় যেখানে আপনার ওয়েবসাইটে সারা বছর একই পরিমাণে ভিজিটর থাকবে এবং সেই সাথে ইনকাম হতে থাকবে। আপনাকে ব্লগিং এর জন্য টপিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইভারগ্রিন টপিক অনুযায়ী নির্বাচন করতে হবে। যে সকল টপিকে সারাবছর সমান ভাবে সার্চ হয় বা মানুষ সমানভাবে খুঁজতে থাকে, সেগুলো হলো এভারগ্রীন টপিক। তাই আপনি যদি ইভারগ্রিন টপিক অনুযায়ী টপিক আপনার ওয়েবসাইট এ রাখেন, তাহলে ওয়েবসাইট ডাউন করবে না এবং গুগলে র‍্যাংকে থাকবে। ধরুন, আপনি একটি কিওয়ার্ড রিসার্চ করেছেন, “How to buy a Good Domain” এটি সারা বছর সমানভাবে সার্চ হবে এবং সারাবছর আয় হতে থাকবে। এটা হলো ইভারগ্রীন কীওয়ার্ড।

 

কিছু লাভজনক ব্লগ টপিক যা নিয়ে লিখা উচিতঃ

ব্লগিং করার জন্য যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি লাভজনক হিসেবে চিহ্নিত সেই সকল টপিকগুলো আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। এই সমস্ত টপিকগুলো যদি আপনি বেশি বেশি আপনার ওয়েবসাইটে আলোচনা করেন তাহলে আপনি সার্চ ইঞ্জিন এ রেঙ্ক করতে পারবেন এবং আপনার প্রচুর পরিমাণে ইনকাম হবে। এ সকল  টপিকগুলোর সিপিসি এর পরিমাণ খুব বেশি হওয়ার কারণে যত জনই ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে, তারা আপনাকে খুব বেশি পরিমাণে আয় করাতে সহায়তা করবে। যেমন, আপনি যদি নতুন ওয়েবসাইট তৈরী করেন এবং সেখানে যদি বিভিন্ন ক্যারিয়ার, জব সংক্রান্ত আর্টিকেল পাবলিশ করেন  তাহলে দেখবেন খুব বেশি পরিমাণে ভিজিটর পাচ্ছেন। এ সকল ওয়েবসাইটগুলোতে কম্পিটিশন এর পরিমাণ খুব কম থাকে এবং যে কেউ চাইলে খুব সহজেই যে কোন টপিক নিয়ে সহজে র‍্যাংক করার মতো ক্ষমতা অর্জন করতে পারে।

এছাড়া বর্তমান সময়ে ৫০ শতাংশ মানুষ গুগলে সার্চ করেন হেলথ এবং ফিটনেস এর ব্যাপারে তথ্য জানার জন্য। আপনি যদি ব্লগিং থেকে লাভজনক কোন কিছু আশা করেন, তাহলে অবশ্যই হেলথ এবং  ফিটনেস নিয়ে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট  তৈরি করার চিন্তাভাবনা করবেন। কারণ এই সমস্ত টপিকগুলো খুব বেশি ট্রাফিক জেনারেট করে এবং এগুলো গুগলে র‍্যাঙ্ক করে সহজেই। তারপর আপনি ফুড এবং রেসিপি রিলেটেড একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার মাধ্যমে  বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ফুড ও রেসিপি রিভিউ করতে পারেন এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইটে শিক্ষা নিয়ে, মোটিভেশনাল সংক্রান্ত, প্রোডাক্ট রিভিউ এগুলো নিয়ে ব্লগ রাখতে পারেন। যেগুলো নিয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত জানতে চায় এবং এই লাভজনক টপিকগুলোর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।

 

ব্লগ টপিকব্লগ টপিক নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বনঃ 

ব্লগিং শুরু করার জন্য বিনিয়োগ কম লাগলেও পরিশ্রম আপনাকে একটু বেশিই করতে হবে। আপনি যত শ্রম ও পরিশ্রম করবেন ততই আপনি উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবেন। তবে আপনাকে বিষয় নির্বাচনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ব্লগ টপিক নির্বাচন করার সময় সতর্কতার সাথে নির্বাচন করতে হবে যদি এটি না করেন তাহলে পাঠক আপনার ব্লগ পড়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আপনাকে পাঠকপ্রিয় বিষয় নির্বাচন করতে হবে। কারণ ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে পাঠকই হল প্রাণ। তাই ব্লগিং টপিক নির্বাচনে প্রথমে  সতর্ক থাকতে হবে  যে কোন টপিকে পোস্ট লিখলে ভিজিটর বেশি পাওয়া যাবে এবং বেশি ইনকাম করা সম্ভব। যদি আপনি সঠিক টপিক নির্বাচন না করে পোস্ট লিখতে থাকেন তাহলে আপনার সময় এবং শ্রম দুটোই বৃথা যাবে। আপনাকে টপিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে –

  • আপনি যে টপিক নিয়ে ব্লগিং শুরু করবেন ভাবছেন ওই টপিক  এর কম্পেটিশন কেমন রয়েছে এটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। 
  • ওয়েবসাইটের টপিক নির্বাচন করার সময় ভিজিটর এর কথা চিন্তা করতে হবে যেন খুব দ্রুত কিন্তু ভালো রেসপন্স পাওয়া যায়। 
  • ইচ্ছামত একটা টপিকে ব্লগিং শুরু করলে সেখান থেকে খুব ভালো ইনকাম আশা করা যায় না। যেমনঃ একটু রিসার্চ করলে জানতে পারবেন কোন কোন ওয়েবসাইটে 10 হাজার ভিজিটর থেকে 100 ডলার ইনকাম হয়। আবার কোন কোন ওয়েবসাইটে ওই দশ হাজার ভিজিটর থেকে মাত্র 40 বা 50 ডলার ইনকাম হয়। এখানে ভিজিটর বেশি তবে ইনকাম কম বেশি।

এর কারণ হলো অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রুভ হওয়ার পর গুগল আমাদের ওয়েবসাইটের টপিকের উপর ভিত্তি করে ওই টপিক রিলেটেড অ্যাড শো করায়। ফলে অ্যাডগুলোতে বেশি বেশি ক্লিক পড়ে। ব্লগিং এর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই আরেক টি বিষয় দেখতে হবে,  আপনি যে টপিক টি নির্বাচন করছেন সে টি ইউজাররা কি পরিমাণে সার্চ করেন বা সার্চ ভলিউম কেমন। যে সকল টপিকে সার্চ বেশি হয় সেই টপিক নিয়ে কাজ করা উচিত। তাহলে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে এবং ইনকামও ভালো হবে। 

 

পরিশেষেঃ 

আমাদের ব্লগগুলো ভালো লাগলে  নিয়মিত আমাদের ব্লগ পড়ুন, এবং আপনার যেকোন মতামত আমাদের কমেন্ট বক্স এ শেয়ার করুন। এবং যেকোনো ধরনের ডিজিটাল সেবা নিতে ইয়াপ্পোবিডি এর সাথে যোগাযোগ করুন।

 

ইকমার্স ওয়েবসাইট

Facebook Comment