আজ, প্রায় সবাই অনলাইন নির্ভর। সস্তা ডেটা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোনে অ্যাক্সেসের সাথে সাথে সারা দেশে (বাংলাদেশ) ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে এমন লোকের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর অর্থ হলো যেকোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যদি তাদের সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে চায়, তাদেরকে সম্পৃক্ত করতে চায়, ব্র্যান্ড সচেতনতা তৈরি করতে এবং তাদের কাছে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করতে চায় তবে তারা সহজেই একটি অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে এই কাজটি করতে পারে। আমরা আজ এই বিষয়টি জানার প্রয়াস চালাবো কেন ফেসবুক মার্কেটিং করবেন? কিভাবে ফেসবুক মার্কেটিং করবেন তার সঠিক গাইডলাইন।
ফেসবুক মার্কেটিং কি
ফেসবুক মার্কেটিং বলতে বুঝায় যার দ্বারা আপনার ব্যবসার পণ্য এবং সেবার ব্যাপারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে জানান দেয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পণ্য সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয় এবং বেশি পরিমাণ পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করা হয়।
চলুন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে সামান্য কিছু ধারনা নেওয়া যাক। যা আমাদের ফেসবুক মার্কেটিং এর পুরো কনসেপ্টটা বুঝতে অনেক সাহায্য করবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন? ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ইমেল মার্কেটিং কাজে লাগিয়ে পণ্য ও পরিষেবা গুলোর প্রচার ও বিক্রয় করার একটি প্রক্রিয়া। যা বর্তমানে খুব বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করতে চান, তাহলে আপনার অবশ্যই জানা উচিৎ ডিজিটাল মার্কেটিং কেবল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমেই সম্পাদিত হয়ে থাকে। বর্তমানের ব্যবসায়গুলি যেভাবে অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে তাদের সেরা সম্ভাবনা এবং গ্রাহকদের সামনে তাদের বার্তা উপস্থাপন করছে এটাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার
- ফ্রি ফেসবুক মার্কের্টিং
- পেইড ফেসবুক মার্কেটিং
ফ্রি বা অর্গানিক ফেসবুক মার্কেটিং
আপনি যখন নিজে নিজেই ফেসবুকে মার্কেটিং শুরু করবেন তখন তাকে ফ্রি বা অর্গানিক মার্কেটিং বলে। এধরণের মার্কেটিং এ আপনি আপনার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা একটি বিজনেস থেকেই করতে পারবেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ আপনি যদি নিজে মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টটি হতে হবে ষ্ট্যাণ্ডার্ড এবং আপ টু ডেট। সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষ অপরিচিত কাওকেই সহজে বিশ্বাস করতে চায় না আর যদি বিশ্বাস না হয় তাহলে মানুষ কোন কারনেই তার কোন কথা বা তার কাছ থেকে কিছুই শুনতে আগ্রহ প্রকাশ করবে না। আপনার নিজের এই পরিচিতি বাড়াতে হলে আপনাকে কিছু অবশ্যই করতে হবে আর এ উদ্দেশ্য আপনাকে নিয়মিত একটিভ থাকতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল বা ভিডিও শেয়ার করতে হবে এতে করে তাদের সাথে আপনার একটা যোগাযোগ তৈরী হবে। এভাবে নিয়মিত যোগাযোগ পোস্ট কমেন্ট এর মাধ্যমে আপনি সবার বিশ্বাস যোগ্য হয়ে উঠতে পারবেন। ফেসবুকের মাধ্যমে কিভাবে আপনার ছোট আকারের ব্যবসার প্রচার করবেন, সে বিষয়ে জানতে আমাদের এই ব্লগ পোষ্টটি অনুসরন করতে পারেন।
কোন ধরনের পেইড ডিস্ট্রিবিউশন ছাড়াই যত সংখ্যক মানুষ ফেসবুকে আপনার শেয়ার করা পোষ্ট দেখে বা পড়ে তাকে আমরা অর্গানিক রিচ বলে থাকি। এর সুবিধা হলো এ ধরনের পোষ্ট করার জন্য আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হয় না। তবে একথা সত্য যে, ফেসবুকে একজন ব্যবহারকারীর নিউজফিডে আসা শত শত পোষ্টের ভিড়ের কারণে বর্তমান সময়ে অর্গানিক রিচ পাওয়া যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। আপনি যদি পেইড প্রমোশনে অনাগ্রহী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনেক বেশি কৌশলী এবং ক্রিয়েটিভ আইডিয়ার মাধ্যমে আপনার পেজের রিচ বাড়াতে হবে।
পেইড ফেসবুক মার্কেটিং
পেইড ফেসবুক মার্কেটিং বলতে বুঝানো হয়েছে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সেল করার জন্য বা অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য পেইজ বুষ্ট অথবা প্রোডাক্ট বুষ্ট করে যে অর্থ ব্যায় করেন। এক কথায় ফেসবুক বুষ্ট এর মাধ্যমে যে মার্কেটিং করা হয়ে থাকে তাকেই পেইড মার্কেটিং বলা হয়। এখানে আপনি নিজের পছন্দ মতো করে এ্যাড চালাতে পারবেন যেমনঃ কেমন ধরনের কাষ্টমার চাচ্ছেন,তাদের বয়স কেমন হবে,কোন এলাকার হবে বা তাদের টেস্ট কেমন হবে। সে ক্ষেত্রে আপনি সকল কিছু সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বুষ্ট করলে ভালো ফলাফল পাবার সম্ভাবনা থাকে।
এ ছাড়াও আরো কিছু মার্কেটিং মাধ্যম রয়েছে
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি হলো ফেসবুক মার্কেটিং এর এক অনন্য উদাহরণ। বর্তমানে প্রায় সকল ধরনের উৎপাদন এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসার প্রচার এর জন্য প্রথমত সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবক ব্যক্তিবর্গের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। কারণ, এটি একটি কার্যকর ডিজিটাল বিপণন কৌশল হিসাবে প্রমাণিত হচ্ছে ,কেননা বর্তমানে গ্রাহকরা কোন পণ্য কেনার ক্ষেত্রে, ব্যবহারকারীদের বাস্তবিক অভিজ্ঞতার উপর বেশী বিশ্বাস করে থাকে। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং’ ডিজিটাল মার্কেটিং এর একদম সর্বশেষ সংস্করণ বলা যেতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ বিজ্ঞাপন কৌশল
ফেসবুক বর্তমানে এতটাই অ্যাডভান্স অ্যাডভার্টাইজিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে,যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকদের টার্গেট করতে পারেন। ফেসবুকের অ্যাডভান্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পূর্ন অ্যাডভার্টাইজিং সিস্টেম এর মাধ্যমে আপনি বয়স, লিঙ্গ, লোকেশেন,পেশা ও পছন্দের ভিত্ত্বতে আপনার পণ্য/সেবার বিজ্ঞাপন আপনার নিজের মত করে গ্রাহকদের সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন। আর এই কারনেই দিন দিন ফেসবুক বিজ্ঞাপন এতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করছে, এবং ভবিষ্যতে এর সম্ভাবনার দিক আরো ব্যাপক।
ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য পেইজ কিভাবে সাজাবেন
- ব্যবসার জন্য উপযুক্ত ব্যান্ড বা প্রোডাক্ট নির্বাচন
- ফেসবুক বিজনেস পেজ তৈরি করুন
- প্রোফেশনাল মানের প্রোফাইল পিকচার ও কভার ছবি যুক্ত করুন
- Description box / About us সেকশন
- বাটন ও কাস্টমাইজ ট্যাব
- ফেসবুক পেজ URL / Username গঠন
- CTA বাটন যুক্ত করুন
- Like and followers
- ফেসবুক পেজের টাইমলাইনে কি পোস্ট করবেন?
এবার চলুন বিস্তারিত জানা যাক
আমরা এতক্ষণ ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। এবার আমরা ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য পেইজ কিভাবে সাজাবেন? এ বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করবো। ফেসবুকের মাধ্যমে কিভাবে আপনার ছোট আকারের ব্যবসার প্রচার করবেন এই বিষয় নিয়ে জানতে আমাদের ব্লগ পোষ্টটি পড়ুন। আমরা ফেসবুক মার্কেটিং কে ২ ভাগে ভাগ করেছি। প্রথমটি ফ্রি বা অর্গানিক মার্কেটিং এবং দ্বিতীয়টি পেইড বা মার্কেটিং এজেন্সির সাহায্য নিতে পারেন।এখানে আপনাকে প্রথমেই তৈরী করতে হবে একটি ভালো ফেসবুক বিজনেস প্রোফাইল। ফেসবুকে যাবতীয় ইনফরমেশন দিয়ে সুন্দর একটা প্রোফাইল পিকচার দিয়ে একটি একাউন্ট প্রস্তুত করুন। কোন প্রকার ভুল ইনফরমেশন না দিয়ে প্রোফাইল প্রস্তুত করুন। একটি ভালো মানের অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার অ্যাকাউন্টটি সাজানো গোছানো হতে হবে। চেষ্টা করুন নিজেকে স্পেশাল করতে তাহলেই সহজে সবার কাছে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারবেন। আপনার বিজনেস নিয়ে কিছু বর্ননা দিতে হবে। এ ছাড়াও আপনার যদি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে Learn More বাটন যুক্ত করতে পারেন। এরই সাথে পেইজের Username (URL) সুন্দর ভাবে সেট কতে হবে। এবার আপনাকে ফ্রেন্ড যুক্ত করার ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে। আপনি যদি আপনার টার্গেটেড কাষ্টমারকে পেইজের ফলোয়ার হিসাবে যুক্ত করতে পারেন তবে আপনি খুব সহজেই ভালো সেল পাবেন। মনে রাখবেন আপনাকে পেইজে মোটামুটি রেগুলার একটা নিদৃষ্ট সময়ে পোষ্ট করতে হবে তা হতে পারে আপনার প্রোডাক্ট অথবা আপনার বিজনেস রিলেটেড কিছু। এতে করে আপনার পেইজে এনগেজমেন্ট ভালো থাকবে। আপনি এমন কোন ফ্রেন্ড কে এড করবেন না যে নিজেও একজন মার্কেটার বা আপনার বিজনেস রিলেটেড না। তবে মাঝে মাঝে কিছু চলে আসতে পারে, তা নিয়ে চিন্তা করার তেমন কারন নেই। তাহলে দেখা যাবে যে আপনি যে মার্কেটিং করছেন তা কোন কাজেই আসছে না। তাই আপনাকে ফ্রেন্ড অ্যাড করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
তবে আপনি যদি মনে করেন আপনি সঠিক ভাবে বুজতে পারেন নাই বা পেইজ সাজাতে পারছেন না সে ক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিন্তে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।
ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করব
ফেসবুক মার্কেটিং কি ভাবে করবেন তা বুঝতে হলে আপনাকে পুনরায় উপরের কিছু লাইনের কথা স্মরণ করতে হবে । অর্থাৎ মার্কেটিং এর যে প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিলো সেখানে সুন্দর ভাবে মার্কেটিং করার কিছু ধরন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
আপনাকে সবার মধ্য গ্রহণযোগ্য করে তুলতে হবে আর সে লক্ষ্য আপনাকে নিয়মিত পোস্ট, কমেন্ট ইত্যাদি করার মাধ্যমে নিজেকে পরিচিত করে তুলবেন। সময়ের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট কন্টেন্ট তৈরি করে পোস্ট করুন। মজাদার কার্টুন, পোস্ট শেয়ার করে একটিভ থাকুন। আপনি যে বিষয়ে মার্কেটিং করবেন সেই বিষয় সম্পর্কে ভালো মন্দ লেখার চেষ্টা করুন এতে করে আপনার একটা ভালো প্রোফাইল তৈরি হবে। চেষ্টা করুন নিজেকে এ বিষয়ে দক্ষ প্রকাশ করার তাতে করে মানুষ আপনার কাছে সাহায্য এমনিতে চাইবে এবং আপনার মার্কেটিং এর সময় ভালো সাপোর্ট পাবেন। চেষ্টা করুন সবার প্রশ্নের জবাব দিতে এতে করে আপনার স্বচ্ছতা তৈরি হবে। চেষ্টা করুন গ্রুপ খুলে এ বিষয়ে আলোচনা করতে, নিজের গ্রুপকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করুন, এতে করে আপনি এখানেও আপনার মার্কেটিং করেতে পারবেন। যে কোন বিষয়ে প্রচারনা করার জন্য আপনাকে কৌশলী হতে হবে এবং আপনাকে সেই কৌশল এর ব্যাবহার করে মার্কেটিং করতে হবে। ডিরেক্ট মার্কেটিং করা থেকে বিরত থাকুন এতে করে আপনার প্রতি তাদের ভালো মনোভাব তৈরি হবে। বিভিন্ন গ্রুপ বা আলোচনাতেও আপনার মার্কেটিং করতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলের সাহায্যে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং জনপ্রিয় কেন
সোশ্যাল মিডিয়ার একটি অংশ হলো ফেসবুক । এ ছাড়াও ইনস্টাগ্রাম,ইউটিউব ইত্যাদি আর কিছু সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে তবে আমাদের দেশের মানুষ বেশির ভাগ সময়েই বিনোদনের জন্য ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম,ইউটিউব ব্যবহার করে থাকে। ফলে আপনি যদি আপনার প্রোডাক্টের মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে করে থাকেন তবে অনেক বেশি পরিমান ট্রাফিক পেয়ে যাবেন। সেই কারনেই বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অনেক বেশি জনপ্রিয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং করলে কি সুবিধা পাওয়া যাবে
ব্যানার, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ফেস্টুন, পেপার, রেডিও, বা টিভি বিজ্ঞাপন থেকে ফেসবুক বিজ্ঞাপন অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ কারণ – এতে কম খরচে অধিক ফল পাওয়া যায়। ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি সর্বোচ্চ পর্যায়ের মার্কেটিং করতে পারবেন।ফেসবুক মার্কেটিং করলে আপনি আপনার মার্কেটিং ফলাফল তাৎক্ষনিক চেক করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে আপনার রানিং বিজ্ঞাপন বন্ধ করে নতুন ভাবে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। ফেসবুকের মার্কেটিং করলে আপনি আপনার ফলাফল পর্যালোচনা করতে পারবেন। ফেসবুকের বিজ্ঞাপন খরছ খুবই কম। কিন্তু আপনি কি জানেন ফেসবুক মার্কেটিং কি? বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিশেষ করে ফেসবুকের ব্যাপক প্রসারের কারণে প্রায় সব মানুষ ই একে অপরের সাথে যুক্ত তাই আপনি অতি সহজেই আপনার একটি বার্তা অন্যের নিকট পৌঁছে দিতে পারবেন। সরকারি-বেসরকারি ছোট , বড় কিংবা স্টার্টআপ সকল প্রতিষ্ঠানের জন্যই অনলাইন উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে ফলে সবার জন্যই প্রচারণা বর্তমান সময়ে ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুকের বিজ্ঞাপনে আপনার আসার সবথেকে বড় কারণ হতে পারে কমসময়ে কম খরছে অধিক প্রচার সম্ভাবনা। আপনি একজন ছোট ব্যবসায়ী বা একটি বৃহৎ কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী যাই হোন না কেন, গ্রাহক ধরে রাখার জন্য বা ব্র্যান্ডের প্রচার প্রচারণা বাড়ানোর জন্য এবং আপনার ব্যবসার বিস্তৃতি বাড়ানোর জন্য ফেসবুক হলো একটি মূল্যবান মার্কেটিং মাধ্যম। যেখানে আপনি সব লেভেল থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের কাছে আপনার বার্তা পাঠাতে পারবেন। কোন ব্রান্ড সৃষ্টির জন্য ফেসবুক মার্কেটিং এর বিকল্প নেই। তবে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল সঠিক ভাবে জানতে হবে। তা না হলে আপনার মার্কেটিং কোন কাজেই আসবে না।
ডিজিটাল মার্কেটিং বাংলাদেশে কিভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে
আপনি কি জানেন ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন ? বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা আজ বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ইমেল এবং ওয়েবসাইট ইত্যাদি ব্যবহার করে তাদের সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে অতি সহজে সংযোগ স্থাপন করতে পারছে। আর ব্যবসায়ীরাও তাদের গ্রাহকদের চাহিদার উপর প্রাধান্য দিয়ে তাদের সুবিধার ভিত্তিতে মার্কেটিং কৌশল প্রয়োগ করে থাকে। যদিও রেডিও বিজ্ঞাপন এবং টেলিভিশন বিজ্ঞাপন দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুত্রপাত হয়েছিল আজ তা প্রায় অনেকাংশেই সংকুচিত হয়ে আসছে।
যদিও টিভি অনেক ব্যবসায়ের এক প্রধান বিজ্ঞাপন ক্ষেত্র হিসাবে রয়ে গেছে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে স্থানান্তরিত বিজ্ঞাপনদাতাদের অনলাইনে গ্রাহকদের লক্ষ্য করে বিশ্বব্যাপী মার্কেটিং এর এক অনন্য দিক উন্মোচন করে দিয়েছে। এই ক্ষেত্রটি যেমন এক তীব্র গতিতে বাড়তে আছে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং-এর কাজের সংখ্যাও দিন দিন যেভাবে বাড়ছে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
পরিশেষে
এছাড়া আপনি পেইড মার্কেটিং করতে পারেন বিভিন্ন মার্কেটারের সাহায্য বা আপনি নিজেও পেইড মার্কেটিং করতে পারেন। পেইড মার্কেটিং একটি অনেক বড় মার্কেটিং স্ট্রাটেজি , এখানে আপনাকে মার্কেটিং করে সফল হতে হলে অনেক বিষয় সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। আর আপনি যদি ফেসবুক অ্যাড সম্পর্কে হাতেখড়ি হয়ে থাকেন তার জন্য তো আমরা আছি। আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ফেসবুক অ্যাড তৈরি করতে চান তাহলে YappoBD এর সাথে যোগাযোগ করুন। আমরা আমাদের ক্লাইন্টদের প্রজেক্ট নিয়ে বিস্তারিতো আলোচনা করে তাদের কাজ সঠিক ও সুন্দর ভাবে করে দেওয়ার চেষ্টা করি।