ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ডিজিটাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে অনলাইন এ কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা। ডিজিটাল এই যুগে বিজনেস কে গ্রো করানোর, সবার কাছে বিজনেস এর পরিচিতি বাড়ানোর একটি অন্যতম উপায় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভেতরে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ফেসবুক এড ইত্যাদি অন্যতম। নিচে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন সেক্টরগুলো নিয়েও আলোচনা করা হলো।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ইতিহাসঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ইতিহাস জানতে হলে প্রায় ৩২ বছর পিছনে যেতে হবে। ১৯৯০ সালের কথা, তখন বিশ্বের প্রথম সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে আর্চির যাত্রা শুরু হয় মাত্র কয়েক শো ওয়েব লিস্টিং এর মাধ্যমে। কিন্তু এই সংখ্যা টা এখন বিলিয়ন এ রুপ লাভ করেছে। আর এই আর্চির যাত্রার মাধ্যমেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সূত্রপাত ঘটেছে। এরপর থেকে ডিজিটাল মাধ্যম গুলো যত বেশি উন্নত হতে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং ও তত বেশি ডেভেলপ করতে থাকে৷ ১৯৯৪ সালে আরেকটি এক সময়কার জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহু তার কার্যক্রম শুরু করে। হটবোট, লুক স্মার্ট, অ্যালেক্সা রিলিজ করে তাদের ছোট ছোট সার্চ ইঞ্জিন বোট ১৯৯৬ সালে। এই সার্চ ইঞ্জিন বোটগুলো স্পাইডার এর মতো কাজ করে যা নিজে নিজে ওয়েবে রিলিজ হওয়া ডাটা কালেক্ট করতে সক্ষম। ১৯৯৭ সাল তখনও মাইক্রোসফট এর এম, এস, এন এবং গুগলের যাত্রা শুরু হয়নি তখন প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া সাইট হিসেবে সিক্স ডিগ্রি ডট কম এর যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৮ সালে গুগলের যাত্রা শুরু হয় এবং ইয়াহু তে সার্চ অপশন এড করা হয়, এর পাশাপাশি মাইক্রোসফট এর এমএসএন এর যাত্রা শুরু হয়। গুগল, ইয়াহু সার্চ ইঞ্জিনগুলো আসার পর ২০০০ সালে নেট দুনিয়ায় এক রেভ্যুলেশন আসে। এ সময় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগের থেকে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। প্রথম মোবাইল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালু করে ইউনিভার্সাল মিউজিক ২০০১ সালে। বর্তমানে জনপ্রিয় একটি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট হলো লিংকড ইন। যার পদ চারণা ২০০২ সাল থেকে৷ ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে এখন অধিকাংশ ওয়েবসাইট-ই তৈরি করা হয়। আর এই ওয়ার্ডপ্রেস এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৩ সালে এবং একই সাথে মাইস্পেসের ও। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুক এর কার্যক্রম শুরু হয় এবং একই সময় গুগল নিয়ে আসে জি-মেইল এর ব্যবহার। ২০০৫ সালে ইউটিউব এর যাত্রা শুরু হয়। টুইটার এর যাত্রা শুরু হয় ফেসবুক এর ও পরে ২০০৬ সালে। কিন্তু বিখ্যাত ব্যক্তিদের টুইটারে টুইট করতেই বেশি দেখা যায়। এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইট টি তারা বেশ ভালোই ব্যবহার করে থাকেন। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল আই ফোন এর লঞ্চ হয় একই সাথে টাম্বলার এর। ২০০৯ সালে গুগল তার অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয় এবং ইন্সটেন্ট সার্চ রেজাল্ট চালু করে। ২০১০ সালে আরেকটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট হোয়াটসঅ্যাপের যাত্রা শুরু হয় এবং একই সাথে গুগল বাজ ও যাত্রা শুরু করে। গুগল পান্ডা এবং গুগল প্লাস রিলিজ হয় ২০১১ সালে গুগল বাজ শাট ডাউন হওয়ার পর। ২০১২ সালের দিকে এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করে যার ফলে সোশ্যাল মিডিয়া বাজেট ৬৪% এ রুপ লাভ করে৷ যদিও বর্তমানে এর থেকে অনেক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪ সালের দিকে মোবাইল ব্যবহারকারীদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। এর কারণ হতে পারে মোবাইল ফোনের এর অপ্রতুলতা, সহজলভ্যতা। আর এই সময় মানুষ কম্পিউটার এর থেকে মোবাইল দিয়েই বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করতো। এই সময় ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ কে কিনে নেয় এবং ফেসবুক তার অন্যতম জনপ্রিয় ফিচারস মেসেঞ্জার এড করে। এই সালেই লিংকড-ইনের টেইলর্ড এড ফিচার টি যুক্ত হয়। স্ন্যাপচ্যাট এটির ডিসকাভার ফিচার টি যুক্ত করে ২০১৫ সালে। ফেসবুক লাইভ এর যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে। এরকম যত আপডেট সোশ্যাল মিডিয়াগুলো তে আসতে থাকে ততই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো কে কেন্দ্র করে ডিজিটাল মার্কেটিং গড়ে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং সার্চ ইঞ্জিন গুলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর পথ সুগম করে তুলেছে। এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করার ফলে মানুষ এখন এই প্ল্যাটফর্মগুলো কে-ই কেন্দ্র করে অনলাইন বিজনেস গড়ে তুলছে। আর এই অনলাইন বিজনেস কে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদ্ভব হয়েছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টরসমূহঃ
বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা মিলিয়ন ছাড়িয়ে কয়েক বিলিয়নে রুপ লাভ করেছে। পরবর্তী তে এই সংখ্যা টা আরও বৃদ্ধি পাবে। আর মানুষ যত স্মার্ট ফোন ব্যবহার করবে তত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বে। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করলে তারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবেই। এ জন্যই সবাই এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলো কে কেন্দ্র করে অনলাইন বিজনেস গড়ে তুলছে। আর অনলাইন বিজনেস কে মানুষের দোড় গোরায় পৌঁছে দেওয়ার এক মাত্র পন্থা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক সেক্টর রয়েছে যেগুলো বলে হয়তো শেষ করা সম্ভব নয়। তাই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলো এখানে অল্প পরিসরে আলোচনা করা হলো।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে গুগলের সকল ধরনের অ্যালগরিদম মেনে বৈধ উপায়ে একটি কিওয়ার্ড কে গুগলের ফার্স্ট পেজে র্যাংক করানো হয়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটা অফ পেজ আরেকটি অন পেজ। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অনলাইন বিজনেস এর ক্ষেত্রে কিভাবে কাজ করে তা ভালোভাবে জানতে হলে নিচের উদাহরণ টি মন দিয়ে পড়ুন। ধরুন, আপনি একজন বিজনেস ম্যান। আপনি আপনার অনলাইন বিজনেস এর জন্য একটি রেডি মেড ই-কমার্স ওয়েবসাইট ইয়াপ্পোবিডি থেকে কিনলেন এবং তাদের এজেন্সির দক্ষ এসইও এক্সপার্ট দ্বারা ওয়েবসাইট টি কে এসইও করে নিলেন তাহলে আপনার লাভ কি হবে? আরও পড়তে থাকুন। এখন ধরুন আপনি একজন কাস্টমার। এখন আপনি একটি প্রোডাক্ট অনলাইন থেকে কিনবেন। প্রোডাক্ট টি অনলাইন থেকে কেনার আগে গুগলে কিওয়ার্ড টি লিখে সার্চ করলেন। এখন স্বভাবগত কারনেই আপনি গুগলে থাকা ফার্স্ট পেজের কন্টেন্টগুলোই পড়বেন। এখন সর্ব প্রথমে থাকা টপিক টা তে আপনি ক্লিক করলেন এবং আপনার পছন্দের প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানলেন। এখন ওই ইই-কমার্স ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট এবং প্রোডাক্ট এর প্রাইজ আপনার বাজেট ফ্রেন্ডলি হওয়ায় ওই ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আপনি প্রোডাক্ট টি কিনে ফেললেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন একজন বিজনেস ম্যান হিসেবে আপনার কেনো ওয়েবসাইট কে এস.ই.ও করতে হবে। ওয়েবসাইট এস.ই.ও করার ফলে একটি ওয়েবসাইটের কিওয়ার্ডগুলো গুগলের ফার্স্ট পেজে র্যাংক করার সাথে সাথে ওয়েবসাইটটির পরিচিতি বৃদ্ধি পায় এবং সেল বেশি হয়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ৩ভাবে করা হয়ে থাকে।
- হোয়াইট হ্যাট মেথড ( সম্পূর্ণ গুগল এর অ্যালগরিদম মেনে বৈধ উপায়ে কিওয়ার্ড কে অপটিমাইজড করা হয়।)
- গ্রে হ্যাট মেথড ( হোয়াইট হ্যাট এবং ব্ল্যাক হ্যাট মেথড এর সংমিশ্রণ)
- ব্ল্যাক হ্যাট মেথড (গুগলের অ্যালগরিদম মানে না, অবৈধ উপায়ে কিওয়ার্ড কে গুগলে র্যাংক করানোর প্রক্রিয়া)
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংঃ
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অন্যতম একটি মার্কেটিং। এখানে আপনি আপনার ব্যবসার দ্রুত সেল বৃদ্ধির লক্ষ্যে গুগল কে টাকা দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট কে গুগলের ফার্স্ট পেজে র্যাংক করালেন। তবে এক্ষেত্রে প্রবলেম হলো গুগল কে যে যত বেশি টাকা দিবে তাদের ওয়েবসাইট এর মার্কেটিং করার জন্য গুগল সেই ওয়েবসাইট টি কে সবার প্রথমে শো করবে। তাই আপনার বাজেট যদি কম হয়ে যায় তাহলে গুগল আপনার ওয়েবসাইট টি কে নিচে ফেলে দিবে তাই গুগলের অ্যালগরিদম মেনে কিওয়ার্ডগুলো কে এসইও এক্সপার্ট দ্বারা অপটিমাইজড করে নেওয়াই ভালো। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর সুবিধা হলো এখানে পিপিসি মেথড এ পেমেন্ট করতে হয়। অর্থাৎ গুগল এডস এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট টি গুগলের ফার্স্ট পেজে চলে আসবে এবং আপনার ওয়েবসাইট টির ভেতর যদি কেও ক্লিক করে তবেই গুগল কে আপনার পেমেন্ট করতে হবে। একে পিপিসি বা পে পার ক্লিক মেথড বলা হয়। তাই আপনার ওয়েবসাইট কে একজন দক্ষ এস.ই.ও এক্সপার্ট দ্বারা অপটিমাইজড করে নিন। আমাদের আছে দক্ষ এস.ই.ও এক্সপার্ট যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য সঠিক ভাবে এস.ই.ও করতে পারেন।
কন্টেন্ট মার্কেটিংঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভেতর কন্টেন্ট মার্কেটিং একটা। আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেস এর প্রোডাক্টগুলোর প্রোমোশনের কাজ চালাতে পারেন। কন্টেন্ট টি হতে পারে কোনো ভিডিও, অডিও কিংবা এই ব্লগটির মতো টেক্সট।
ফেসবুক এডভারটাইজিংঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভেতর ফেসবুক এডভারটাইজিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭২৮ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে, তাহলে বুঝতেই পারছেন ফেসবুকে আপনার বিজনেসের মার্কেটিং করলে সফলতা আসবেই। ফেসবুক এড এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিজনেস এর মার্কেটিং করতে পারবেন। যার ফলে আপনার বিজনেস এর সেল বাড়বে। এছাড়া ফেসবুকে এড বুস্টিং করার মাধ্যমে আপনার বিজ্ঞাপন টি টার্গেটেড কাস্টমার এর কাছে পৌঁছানো যায়। এভাবে আপনি আপনার বিজনেস এর জন্য বিজ্ঞাপন তৈরি করতে পারেন। এর ফলে আপনার সেল অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং, বুস্টিং আপনার অনলাইন বিজনেস এর সেল বাড়ানোর অন্যতম একটি উপায়। আমাদের রয়েছে ফেসবুক অ্যাডভারটাইজিং সার্ভিস।
ই-মেইল মার্কেটিংঃ
ই-মেইল মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। ই-মেইল মার্কেটিং করে আপনার বিজনেস এর প্রোমোটিং করতে চাইলে আপনাকে সবার প্রথমে টার্গেটেড কাস্টমারদের ই-মেইল কালেক্ট করতে হবে। অবশ্য ই-মেইল কালেক্ট করার অনেক যুগান্তকারী প্রক্রিয়া রয়েছে। ই-মেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং শুধু মাত্র টার্গেটেড কাস্টমার এর কাছেই পৌঁছে। তাই এক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা অপচয় হয় না।
এরকম আরও অনেক ডিজিটাল মার্কেটিং রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। আপনি ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ও মার্কেটিং এর কাজ করতে পারবেন কন্টেন্ট এস.ই.ও করার মাধ্যমে। তাই আপনার অনলাইন বিজনেস এর জন্য এখনই ডিজিটাল মার্কেটিং কে বেঁছে নিন।
পরিশেষেঃ
ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসায় সফলতা আনে, বিজনেস এর পরিচিতি বাড়ায় এবং সেল বৃদ্ধি করে। তাই আপনার অনলাইন বিজনেস এর সফলতার চাবিকাঠি হতে পারে এই ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি কি বহুদিন ধরে একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি খুঁজছেন? ইয়াপ্পোবিডি ওয়েবসাইট এমন-ই একটি ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি। এখানে আপনি আপনার পছন্দসই যেকোনো ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস পেয়ে যাবেন। আমাদের সেবার ভেতর উল্লেখযোগ্য হলোঃ ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যান্ড এডভারটাইজিং, ফেসবুক মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ডিজাইন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, রেডি মেইড ওয়েবসাইট, ওয়েবসাইট মেইনটেন্যান্স এর সুবিধা। তাই আপনার যে কোনো ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং সহায়তায় পাশে আছে YappoBD । আর দেরি না করে আজই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন সেবা নিন।