You are currently viewing ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় গুলো কি কি

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় গুলো কি কি

আপনার ব্লগ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা কমার্শিয়াল যে ওয়েবসাইট-ই থাকুক না কেনো, সাইটগুলো তে যদি ভিজিটর না আসে তাহলে সেই ওয়েবসাইট টি মূল্যহীন হয়ে যায়। একটি ওয়েবসাইট কে মূল্যবান করে তোলে সেই ওয়েবসাইট ভিজিটর। তাই ধরেই নেওয়া যায় ওয়েবসাইটের প্রাণ হলো তার ট্রাফিক বা ভিজিটর। এই জন্যই একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করার সাথে সাথে সবাই ট্রাফিক জেনারেট করার দিকে নজর দেয়। আজকে ওয়েবসাইট এ ভিজিটর বাড়ানোর সেরা কি উপায় আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।

ওয়েবসাইট ভিজিটর কিঃওয়েবসাইট ভিজিটর

যাদের ওয়েবসাইট সম্পর্কে বেসিক ধারণা কম তারা হয়তো অনেকেই এই ট্রাফিক শব্দ টা নিয়ে বিভ্রান্তি তে পড়েন। ওয়েবসাইট এর ভিজিটর কে-ই মুলত ট্রাফিক বলা হয়। আরও স্পষ্ট করে বোঝাতে গেলে একটি উদাহরণ দিতে হবে। ধরুন আপনি কোনো প্রোডাক্ট কিনবেন অনলাইন থেকে। এখন স্বভাবগত কারনে সেই প্রোডাক্ট এর আদ্যোপান্ত জানার জন্য আপনি গুগলে ওই কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করলেন। এখন আপনার সামনে গুগলের ফার্স্ট পেজে থাকা অনেকগুলো ওয়েবসাইটের টপিক চলে আসলো যার ভেতরে আপনার সার্চকৃত কিওয়ার্ড টি বিদ্যমান।

এখন আপনি গুগলের ফার্স্ট পেজের ফার্স্ট টপিকটার ভেতরে প্রবেশ করলেন। এরপর উক্ত আর্টিকেল টি থেকে আপনার কাংখিত তথ্য টি পড়ে ফেললেন এবং আপনি উপকৃত হলেন। এখন আপনি যে ওয়েবসাইট এর টপিকে ক্লিক করে কন্টেন্ট টি পড়েছেন আপনি সেই ওয়েবসাইট এর একজন ভিজিটর। আর ও সহজ ভাবে বললে বিষয় টা এভাবে বলা যায়, যে ব্যক্তি একটি ওয়েবসাইট ভিজিট করে ওই ব্যক্তি টি ওই ওয়েবসাইট এর ভিজিটর। আর এই ভিজিটর কে-ই গুগলের ভাষায় ট্রাফিক বলা হয়ে থাকে।

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

একটি ওয়েবসাইটে ভিজিটরের প্রয়োজনীয়তাঃ

একজন মানুষের দেহে যদি প্রাণ না থাকে তাহলে সেই মানুষের কোনো মূল্য থাকে না। তেমনি একটি ওয়েবসাইটে যদি পর্যাপ্ত ট্রাফিক জেনারেট করা সম্ভব না হয় তাহলে সেটি মূল্যহীন হয়ে পড়ে। আপনার ব্লগ সাইট থেকে যদি এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ট্রাফিক জেনারেট করা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা, আপনার ওয়েবসাইট টি তে যত বেশি ট্রাফিক আসবে ততই আপনার বেশি ইনকাম হবে।

তাই সবাই চায় কিছু ট্রিকস ফলো করে তার ওয়েবসাইট এ ভিজিটর বাড়াতে। শুধু যে ব্লগ সাইট এর জন্য ট্রাফিক গুরুত্বপূর্ণ এমন টা কিন্তু নয়। আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য কিংবা ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর জন্যও ট্রাফিক সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ট্রাফিক যত বেশি আসবে আপনার ওয়েবসাইট এ তত বেশি প্রোডাক্ট সেল হবে আপনার অ্যাফিলিয়েট এবং কমার্শিয়াল সাইট থেকে। মুলত, ওয়েবসাইট কে সচল রাখতে ট্রাফিক এর ভূমিকা অবর্ননীয়।

যেভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো যায়ঃ নিচে অনেকগুলো ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় তুলে ধরা হলো। এই উপায়গুলো থেকে সবচেয়ে কার্যকর উপায় বেঁছে নিয়ে আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিটর আগের থেকে বহুগুণে বৃদ্ধি করতে পারেন।

ওয়েবসাইট ভিজিটরকন্টেন্টঃ

এক সময়কার শীর্ষ ধনী ব্যাক্তি বিল গেটস এক সম্মেলনে বলেছিলেন, কন্টেন্ট ইজ কিং। দিন যতই বাড়ছে ভালো কন্টেন্ট এর চাহিদা ও তত বেশি হচ্ছে। তাই আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিটর বাড়ানোর একটি উপায় হতে পারে ভালো কন্টেন্ট। আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজুয়াল পার্ট হচ্ছে কন্টেন্ট। কন্টেন্ট হতে পারে লেখা,অডিও, ভিডিয়ো, পিকচার। তবে ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রে লিখিত কন্টেন্ট অধিক লক্ষ্যণীয়। তাই আপনার ওয়েবসাইট এ ভালো, মান সম্মত কন্টেন্ট পাবলিশ করুন। তাহলে দেখবেন সুন্দর কন্টেন্ট পড়ার আশায় আপনা আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বেড়ে যাবে। তাই একটি ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর ক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে মান সম্মত কনটেন্ট।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ

ওয়েবসাইট এ ভিজিটর বাড়ানোর সব চাইতে কার্যকরী এবং সেরা উপায় টি হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( এস ই ও) অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট এস ই ও করাতে হবে । বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যেমনঃ গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদি। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হলো গুগল। 

আর গুগলের অ্যালগরিদম মেনে কন্টেন্টগুলো কে অপটিমাইজড করার প্রক্রিয়াই হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে বৈধ ভাবে গুগলের সমস্ত অ্যালগরিদম মেনে কন্টেন্ট বা আর্টিকেল কে অপটিমাইজড করাসহ ওয়েবসাইট এর অন পেজ এস ই ও  এবং অফ পেজ  এস ই ও অপটিমাইজড করা হয়।

আপনার ওয়েবসাইট টি কে এস ই ও করার ফলে এটি গুগলের ফার্স্ট পেজে র‍্যাংক করবে। গুগলের ফার্স্ট পেজে র‍্যাংক করা মানে হলো কোনো ব্যক্তি যদি আপনার আর্টিকেল এ বিদ্যমান এমন একটি কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট টি গুগলের ফার্স্ট পেজে যে ৬-১০ টা আর্টিকেল থাকে তার ভেতর স্থান করে নিবে।

আর একবার আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্টগুলো যদি গুগলে র‍্যাংক করে তাহলে ওয়েবসাইট এর স্বার্থকতা ঠেকায় কে! তাই আপনার ওয়েবসাইট কে একজন দক্ষ এস.ই.ও  এক্সপার্ট দ্বারা অপটিমাইজড করে নিন। আমাদের আছে দক্ষ এস.ই.ও  এক্সপার্ট যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট এর জন্য সঠিক ভাবে এস.ই.ও করতে পারেন।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন

প্রিমিয়াম থিম ইউজঃ

একটি ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম থিম অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর পেছনে অনেক গুলো কারণ আছে। প্রিমিয়াম থিম ইউজ করলে আপনি অনেক বেশি ফিচারস পাবেন। আপনার ওয়েবসাইট টি অন্য মানুষদের চেয়ে বেশি ইউনিক লুক দিবে। ধরুন, এক-ই নিশে একই কিওয়ার্ড নিয়ে আপনি এবং আপনার বন্ধু আপনাদের নিজেদের ওয়েবসাইট এ আর্টিকেল পাবলিশ করলেন।

আপনার বন্ধু ব্যবহার করলো ফ্রি থিম এবং আপনি ব্যবহার করলেন প্রিমিয়াম থিম। এখন কোনো ব্যক্তি যদি আপনাদের ওয়েবসাইট এর উক্ত কিওয়ার্ড টি লিখে গুগলে সার্চ করে তাহলে বলুন তো গুগল কার আর্টিকেল টা উপরে শো করবে? নিশ্চয়ই আপনার টা কারণ আপনি প্রিমিয়াম থিম ইউজ করেছেন। আর গুগলের ফার্স্ট পেজে র‍্যাংক করা মানেই হলো ভালো ভিজিটর পাওয়া। তাই ভালো ভিজিটর পেতে প্রিমিয়াম থিম ইউজ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ফোরামফোরাম পোস্টিংঃ

ফোরাম পোস্টিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়াতে পারেন। ফোরাম পোস্টিং কি যারা বোঝেন না তাদের জন্য বিস্তারিত কিছু কথা। কমেন্ট বক্সে কিংবা এমন কিছু সাইট আছে যেখানে প্রশ্ন উত্তর এর ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে আপনি সঠিক নিয়ম মেনে কোনো ব্যক্তির প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলেন এবং সাথে আপনার ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল এর লিংক এড করে দিবেন। তখন অনেক মানুষ বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য ওই লিংকে ক্লিক করবে এবং আপনি প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর পেয়ে যাবেন এই এক্সটার্নাল লিংক এড করার মাধ্যমে। তাই ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়াতে ফোরাম পোস্টিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

সোশ্যাল মিডিয়াঃ

সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ অনেক সময় ব্যয় করে তাই আপনার ওয়েবসাইট এর প্রচার করার একটি অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে সোশাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় এডভারটাইজিং করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ প্রচুর ভিজিটর আনতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া যেমনঃ ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব ইত্যাদি। ইউটিউবে আপনি আপনার ওওয়েবসাইট এ থাকা আর্টিকেল এর ভিডিয়ো ক্রিয়েট করতে পারেন এবং ডেসক্রিপশন বক্সে আপনার ওয়েবসাইট এর লিংক এড করে দিতে পারেন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট এ ভিজিটর বাড়বে।

আবার ফেসবুকে এডভারটাইজিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট এর ব্র‍্যান্ডিং করতে পারেন। টুইটার, ইন্সটাগ্রাম এ পোস্ট করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট এর প্রচার বাড়াতে পারেন। এরকম আরও অনেক সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এর পাবলিসিটি বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। আমাদের মাধ্যমে খুব সহজেই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডভার্টাইজমেন্ট শুরু করতে পারেন এবং ব্যবসায় সফলতা অর্জন করুন।

মার্কেটিং

পরিশেষেঃ

এরকম অনেক মাধ্যম রয়েছে যা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়ানো যায়। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন এবং ভালো এস.ই.ও এক্সপার্ট দ্বারা আপনার ওয়েবসাইট টি কে অপটিমাইজড করিয়ে নিতে চান তাহলে আজই আমাদের  ইয়াপ্পোবিডি এর সাথে যোগাযোগ করুন

আমাদের আছে অভিজ্ঞ এস.ই.ও এক্সপার্ট যার দ্বারা যেকোনো ধরনের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ওয়েবসাইট বানিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি আপনি আমাদের কাছ থেকে দক্ষ এস.ই.ও এক্সপার্ট পেয়ে যাবেন।

আমরা ইউনিক কন্টেন্ট ক্রিয়েটসহ ফেসবুক এডভারটাইজিং এর সেবা দিয়ে থাকি। সর্বোপরি, আপনাকে যেকোনো ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেবা দিতে ২৪/৭ পাশে আছি আমরা। তাই আজই আমাদের সেবা নিতে যোগাযোগ করুন। সেবা নিন, ব্যবসায় স্বার্থকতা আনুন!

Facebook Comment